Site icon The News Nest

লখিমপুর নিয়ে প্রশ্ন করতেই মেজাজ হারালেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী, তেড়ে মারতে গেলেন সাংবাদিককে!

ajay mishra

লখিমপুরকাণ্ডে অভিযুক্ত ছেলে তথা বর্তমানে জেলবন্দি আশিস মিশ্রের ব্য়াপারে কেন্দ্রীয় মন্ত্রী অজয় মিশ্রকে প্রশ্ন করেছিলেন সাংবাদিকরা। আর তাতেই মেজাজ হারালেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী অজয় মিশ্র। তিনি এরপর সংশ্লিষ্ট সাংবাদিকদের নানাভাবে হেনস্থা করেন বলে অভিযোগ। আর সোশ্য়াল মিডিয়ায় ভাইরাল হয়েছে সেই ভিডিও। আর এরপরই কার্যত নিন্দার ঝড় উঠেছে সোশ্যাল মিডিয়ায়।

স্থানীয় সূত্রে খবর মন্ত্রী তাঁর এলাকায় একটি প্রকল্প উদ্বোধনের জন্য় গিয়েছিলেন। সেখানেই লখিমপুর খেরি নিয়ে তাঁকে প্রশ্ন করা হয়েছিল। তখনই কার্যত তেলেবেগুনে জ্বলে ওঠেন তিনি। ভিডিয়োতে দেখা গিয়েছে, ওই সাংবাদিকের উপর বেশ চটে যান মন্ত্রী। তাঁর বুম কেড়ে নেওয়ার চেষ্টা করেন। মাইক বন্ধ করার জন্য বলেন। ওই সাংবাদিককে ‘চোর’ বলতেও শোনা গিয়েছে ভাইরাল হওয়া ভিডিয়োটিতে। সাংবাদিকের উদ্দেশ্যে তাঁর মন্তব্য, ‘একজন নিরীহ ছেলেকে জেলে পাঠিয়েছেন, আপনাদের লজ্জা করে না। আগে মাইক বন্ধ করুন। কী জানতে চান আমার থেকে।’ এরপরেই দেখা গিয়েছে নিজের হাতেই মাইক সরিয়ে দিচ্ছেন মন্ত্রী।

আরও পড়ুন: ১৭ মিনিটের বিয়েতে আপত্তি, ‘জয় শ্রী রাম’ স্লোগান দিয়ে মণ্ডপে খুন মধ্যপ্রদেশে

এদিকে, লখিমপুরকাণ্ডে মঙ্গলবারই উত্তরপ্রদেশ সরকার গঠিত সিট আদালতে তদন্ত রিপোর্ট জমা করেছে। সেখানে স্পষ্ট উল্লেখ, কৃষকদের পিষে মারার ঘটনা ‘পূর্ব-পরিকল্পিত ষড়যন্ত্র’। কেন্দ্রীয় মন্ত্রীর অভিযুক্ত পুত্র আশিস মিশ্র সহ ১২ জনের বিরুদ্ধে ৩০৭ ধারায় অর্থাৎ খুনের চেষ্টার মামলা রুজুর জন্য সিট আদালতের থেকে অনুমতি চেয়েছে। আর তারপর থেকেই রাজনীতিতে উত্তাপ ছড়িয়েছে। সেই আঁচ বুধবার পড়েছে সংসদে।

উত্তরপ্রদেশের বিশেষ তদন্তকারী দলের দেওয়া রিপোর্টের উপর আলোচনা চেয়ে এ দিন লোকসভায় মুলতুবি প্রস্তাব আনেন কংগ্রেস সাংসদ রাহুল গান্ধী। পাশাপাশি স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকের রাষ্ট্রমন্ত্রী অজয় মিশ্র টেনিকে বহিষ্কারেরও দাবি জানিয়েছেন রাহুল ৷ কিন্তু লোকসভার অধ্যক্ষ তাতে রাজি হননি। এরপরই কংগ্রেস সহ বিরোধী দলগুলি কেন্দ্রীয় প্রতিমন্ত্রীর ইস্তফা দাবি করতে থাকে। ফলে বিরোধী সাংসদদের চেঁচামিচিতে মুলতুবি হয়ে যায় অধিবেশন।

পরে কেন্দ্রীয় মন্ত্রী তথা বিজেপি নেতা পীযূষ গোয়েল বিরোধীদের দাবি ‘ভিত্তিহীন’ বলে দাবি করেছেন। জানিয়েছেন, লখিমপুর খেরির বিষয়টি বিচারাধীন। ফলে তদন্ত-বিচারের শেষেই সব সিদ্ধান্ত হবে।

আরও পড়ুন: Chopper Crash: সাতদিনের লড়াই শেষ, প্রয়াত গ্রুপ ক্যাপ্টেন বরুণ সিং

 

 

 

Exit mobile version