Site icon The News Nest

New Parliament Inauguration: সেঙ্গলের সামনে সাষ্টাঙ্গ প্রণাম মোদীর, তিথি – নক্ষত্র মেনে সংসদে প্রতিষ্ঠিত রাজদণ্ড

IMG 20230528 WA0000

দেশের নতুন সংসদ ভবনের উদ্বোধন করলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (PM Modi)। তার আগেই বিশেষ পুজোপাঠের সঙ্গে ঘড়ি ধরে নির্দিষ্ট তিথি মেনে হল সেঙ্গল স্থাপনা। সকাল ঠিক ৭টা ৫২ মিনিটে মোদির হাতে ওই ‘ন্যায়দণ্ড’ তুলে দেয় ২১টি অধিনাম। বিশিষ্ট জ্যোতিষী পণ্ডিত গজানন কৃষ্ণ মহারাজ জানাচ্ছেন, এই সময়কালকে বেছে নেওয়ার নির্দিষ্ট কারণ রয়েছে।

তিনি টুইটারে এই বিষয়ে বিস্তারিত জানিয়েছেন। তাঁর পোস্টে তিনি লিখেছেন, এদিন জ্যেষ্ঠ মাসের শুক্লপক্ষে অষ্টমী তিথি। যে সময় সেঙ্গল মোদির হাতে তুলে দেওয়া হয় সেই সময়ে সূর্য ছিল বৃষ রাশিতে, শুক্র মেষ রাশিতে ও চাঁদ ছিল সিংহ রাশিতে। পূর্বফাল্গুনী নক্ষত্রের মিথুন লগ্নের দ্বিতীয় চরণ শুক্রের সঙ্গে সহাবস্থানে রয়েছে। শনি রয়েছে নিজের অবস্থানেই। এই লগ্নেই সেঙ্গল তুলে দেওয়া হল প্রধানমন্ত্রীর হাতে। এই ‘শুভ মুহূর্তে’ সেঙ্গল স্থাপনার কথা জানিয়ে ওই জ্যোতিষী লিখেছেন, ‘এবার আপনারা ‘অভয় ভারত’ দেখতে পাবেন।’

এতদিন প্রয়াগরাজের জাদুঘরে রাখা ছিল এই সোনার রাজদণ্ড বা সেঙ্গল। এর মাথায় রয়েছে নন্দী ষাঁড়। বিজেপির তরফে দাবি করা হয়েছিল যে ‘স্বাধীনতার প্রতীক’ সেঙ্গলকে ‘যথাযথ সম্মান’ দেয়নি কংগ্রেস। জাদুঘরে ‘হাঁটার ছড়ি’ হিসেবে রাখা ছিল এই রাজদণ্ড। এদিকে কংগ্রেস দাবি করে, এই সোনার দণ্ড ক্ষমতা হস্তান্তরের প্রতীক নয়। এর কোনও প্রমাণ নেই। যার জবাবে গতকাল প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী মুখ খোলেন। নাম না করেও বিরোধী কংগ্রেসকে তোপ দাগেন। আর আজ সেঙ্গল প্রতিষ্ঠার আগে সাষ্টাঙ্গে প্রণাম করেন এই রাজদণ্ডটিকে।

কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহর দাবি, ক্ষমতা হস্তান্তরের প্রতীক হিসেবে রাজদণ্ড হাতে নেওয়ার পরামর্শ দেন নেহরুকে দেন স্বাধীন ভারতের শেষ গর্ভনর জেনারেল চক্রবর্তী রাজাগোপালাচারি। প্রাচীন চোল রাজাদের মধ্যে এই রীতি ছিল। রাজ্যাভিষেকের সময় শাসকের হাতে রাজদণ্ড তুলে দিতেন প্রধান পুরোহিত। সেই ঐতিহ্য মেনেই নেহরুকে এই পরামর্শ রাজাগোপালাচারি দেন বলে দাবি করেছেন শাহ।

অন্যদিকে এই ইস্যুতে মুখ খুলেছেন খোদ রাজাগোপালাচারির নাতি তথা তাঁর জীবনীকার রাজমোহন গান্ধী। তিনি বলেন, “রাজাজির এই ভূমিকার কথা আমি শুনিনি। আশা করি এই সংক্রান্ত নথি প্রকাশ করে বিশ্বাসযোগ্যতা প্রমাণ করবে কেন্দ্র।”

পাশাপাশি, কেন্দ্রের দেওয়া যুক্তি নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন কংগ্রেস ও বিরোধী দল-সহ ঐতিহাসিকদের একাংশ। তাঁদের যুক্তি ক্ষমতা হস্তান্তরের সময় তৎকালীন দেশ-বিদেশি সংবাদমাধ্যমে যে প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়েছিল, তার সঙ্গে কেন্দ্রের দেওয়া তথ্য মিলছে না। স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকের প্রকাশিত ছবিতে কেন তৎকালীন ভাইসরয় লর্ড লুই মাউন্টব্যাটনের সঙ্গে তামিল মঠের সন্ন্যাসীদের ছবি নেই? প্রশ্ন তুলেছেন তাঁরা।

 

Exit mobile version