পানিহাটি হত্যাকাণ্ডে নয়া মোড়। রবিবার দুপুরে পানিহাটির গিরিবালা ঘাটে উদ্ধার হয় একটি দেহ। সেই খুনের ঘটনায় তদন্তে নেমে গভীর রাতে পানিহাটির হরদয়াল বসু রোড থেকে মূল অভিযুক্ত বিপ্লব দাসকে গ্রেফতার করে খড়দহ থানার পুলিস। ধৃতকে জেরা করেই তদন্তকারীদের হাতে আসে চাঞ্চল্যকর তথ্য।
জানা গিয়েছে, একজনকেই নয়, কয়েকদিনের ব্যবধানে দু’জনকে খুন করেছে সে। পুলিশের জেরায় অকপটে এসব কথা স্বীকারও করেছে ধৃত ব্যক্তি। পানিহাটির যুবক শিবনাথ দাসকে একা গঙ্গার পাড়ে দেখতে পেয়ে হত্যার ছক করে, এবং মাথার পিছনে আঘাত করে হত্যাকাণ্ড ঘটায়। ধৃতকে আজ বারাকপুর আদালতে পেশ করে নিজেদের হেফাজতে নেওয়ার আবেদন করবে পুলিশ।
পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, রবিবার ভোরে পানিহাটি গিরিবালা ঠাকুরবাড়ির গঙ্গার ঘাট থেকে উদ্ধার হয় মৃতদেহ। মৃত ব্যক্তির শিবনাথ দাস। বছর চল্লিশের শিবনাথ তিনি পানিহাটির শ্মশানঘাট সংলগ্ন অঞ্চলের বাসিন্দা। এই ঘটনার তদন্তে নেমে বিপ্লব দাস নামে একজনকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করে পুলিশ জোড়া খুনের হদিশ পায়। জানতে পারে, গত ১৯ ডিসেম্বর একই জায়গা থেকে উদ্ধার হয়েছিল একটি মৃতদেহ। মৃত ব্যক্তির নাম শেখর পাল। তাকেও শিবনাথের মতো মাথার পিছনে আঘাত করে খুন করেন বিপ্লব।
আরও জানা গিয়েছে, শিবনাথের সঙ্গে মদ্যপানের আসরে বিপ্লবের বচসা বেঁধেছিল। এরপর শিবনাথ একা গঙ্গার ঘাটে চলে যায়। সেখানে তাঁকে একা দেখেই খুনের পরিকল্পনা করে বিপ্লব। যেমন ভাবা, তেমন কাজ। মাথা থেঁতলে খুন করা হয় তাঁকে। শেখর পালের খুনের বিষয়ে বিপ্লব বলে, শেখর গঙ্গায় ছিপ দিয়ে মাছ ধরতে গিয়েছিল । বিপ্লব ছিপ ধরতে চাইলে তা না দেওয়ায় শেখরকেও খুন করে সে । এই গিরিবালা ঘাটে রাতের অন্ধকারে অনেকের থেকে জিনিসপত্র ছিনতাই করত বিপ্লব । তার কাছ থেকে কিছু মাদকও উদ্ধার হয়েছে ।
তার মানসিক স্থিতি সম্পর্কে সংশয়প্রকাশ করছেন তদন্তকারীরা। মনে করা হচ্ছে, মানসিক অস্থিরতা থেকেই পরপর দু’জনকে খুন করেছে বিপ্লব। আজ তাকে পেশ করা হচ্ছে বারাকপুর আদালতে। তদন্তের স্বার্থে ১৪ দিনের পুলিশি হেফাজতের আবেদন জানানো হবে পুলিশের পক্ষ থেকে।
আরও পড়ুন: পদ্মশিবিরে ফের ভাঙন! গ্রুপ ছাড়লেন বাঁকুড়ার চার বিধায়ক, তৃণমূলে ফিরলেন জলপাইগুড়ির নেতা