Site icon The News Nest

Tajmahal: ৩৭০ বছরের ইতিহাসে এই প্রথম! এক কোটি টাকা কর মেটাতে নোটিস তাজকে

taj mahal

Taj Mahal front view reflected on the reflection pool, an ivory-white marble mausoleum on the south bank of the Yamuna river in Agra, Uttar Pradesh, India. One of the seven wonders of the world.

তাজমহলের (Taj Mahal) বিরুদ্ধে কর ফাঁকি দেওয়ার অভিযোগ! আগ্রার প্রশাসনের তরফে জানানো হয়েছে, এক কোটি টাকারও বেশি অঙ্কের কর বকেয়া রয়েছে তাজমহলের। সম্পত্তি কর থেকে জলের কর-বাকি রয়েছে সবকিছুই। এই মর্মে এএসআইকে চিঠি দিয়েছে আগ্রা নগর নিগম।

বকেয়া যে বিল তাজমহল কর্তৃপক্ষকে পাঠানো হয়েছে তা ২০২১-২২ এবং ২০২২-২৩ অর্থবর্ষের, নোটিসে এমনটাই জানিয়েছে পুরনিগম। শুধু তাই-ই নয়, পুরনিগম হুঁশিয়ারি দিয়েছে, ১৫ দিনের মধ্যে এই বকেয়া না মেটালে সম্পত্তি ‘বাজেয়াপ্ত’ করা হবে।  তাজমহলের তত্ত্বাবধানে যারা রয়েছে, সেই ভারতীয় সর্বেক্ষণ বিভাগ (এএসআই) বকেয়া টাকা মেটানোর নোটিস পেয়ে স্তম্ভিত। তাদের দাবি, ৩৭০ বছরের ইতিহাসে এই প্রথম কর দেওয়ার জন্য নোটিস পেল তাজমহল। তবে এটা ভুলবশত পাঠানো হয়েছে বলেই মনে করছে এএসআই।

আরও পড়ুন: Cigarette Ban: ঘুম উড়তে চলেছে ধূমপায়ীদের! ‘সিঙ্গল সিগারেট’ নিষিদ্ধের পথে কেন্দ্র

জানানো হয়েছে, তাজমহলের সম্পত্তি কর হিসাবে ১ লক্ষ ৪০ হাজার টাকা বকেয়া রয়েছে। আগ্রা (Agra) নগর নিগমের দাবি, জল কর হিসাবেও ১ কোটি টাকা মেটায়নি এই স্থাপত্য। নোটিসে আরও বলা হয়েছে, নির্ধারিত সময়ের মধ্যে বকেয়া কর না মেটালে বাজেয়াপ্ত করা হবে এই বাড়িটি। ২০১৭ সালে এই বিষয়টি নিয়ে ভাবনা চিন্তা শুরু করেছিল আগ্রা প্রশাসন। অবশেষে ২০২২ সালে এএসআইকে নোটিস পাঠানো হয়, এমনটাই জানিয়েছেন আগ্রা নগর নিগমের এক আধিকারিক। ১৫ দিনের মধ্যে বকেয়া মিটিয়ে দেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে তাজমহলকে।

জানা গিয়েছে, বার্ষিক ১১ হাজার ৯৮ টাকা কর ধার্য করা হয়েছে তাজমহলের উপর। দীর্ঘদিন ধরে কর না দেওয়ার ফলে এই করে সুদের পরিমাণ দাঁড়িয়েছে ৪৭ হাজার টাকা। সব মিলিয়ে সম্পত্তি করের পরিমাণ দাঁড়িয়েছে ১ লক্ষ ৪৭ হাজার টাকা। শুধু তাজমহল নয়, করের নোটিস ধরানো হয়েছে তাজমহল সংলগ্ন ইৎমাদ-উদ-দৌল্লার সমাধিকেও। জাহাঙ্গিরের স্ত্রী নূর জাহানের পিতার স্মৃতির উদ্দেশ্যে তৈরি করা ‘বেবি তাজের’ বিরুদ্ধেও নোটিস জারি করা হয়েছে।

এক সংবাদমাধ্যমকে এএসআইয়ের এক শীর্ষ আধিকারিক রাজকুমার প্যাটেল জানিয়েছেন, “আমাদের মনে হয়, এই ধরনের নোটিস ভুল করে পাঠানো হয়েছে। কোথাও একটা ভুল হয়েছে। প্রথমত, কোনও সৌধের ক্ষেত্রে সম্পত্তি কর প্রযোজ্য নয়। উত্তরপ্রদেশ-সহ দেশের অন্যান্য রাজ্যের আইনে এ বিষয়ে উল্লিখিত আছে।” কেন জলকর চাওয়া হল, সে বিষয়টিও স্পষ্ট নয় বলে দাবি প্যাটেলের। তাঁর কথায়, “এ ধরনের দাবি আগে কখনও করা হয়নি। বাণিজ্যিক ক্ষেত্রে আমরা জল ব্যবহার করি না।”

আরও পড়ুন: Duare Sarkar: সেরার স্বীকৃতি পেল দুয়ারে সরকার, পুরস্কার দেবে কেন্দ্র

 

 

Exit mobile version