Site icon The News Nest

‘লাশ গুনতে গুনতে ক্লান্ত’, বার্তা লিখে স্ত্রী-সন্তানদের খুন বিষাদগ্রস্ত চিকিৎসকের

murder plan

মহামারী (Pandemic) কাউকে ছাড়বে না।” তাই স্ত্রী ও সন্তানদের খুন করে তাঁদের সমস্ত কষ্ট থেকে ‘মুক্তি’ দিলেন কানপুরের (Kanpur) এক চিকিৎসক! উত্তরপ্রদেশের (UP) কানপুরের একটি বেসরকারি হাসপাতালের চিকিৎসক সুশীল কুমার (Sushil Kumar)। চিকিৎসকের এ ধরনের বার্তা পেয়েই ঘটনাস্থলে ছুটে যান তাঁর ভাই। তিনি গিয়ে দেখেন একটি ঘরে রক্তাক্ত অবস্থায় পড়ে রয়েছেন তাঁর বৌদি। অন্য ঘরে ভাইপো-ভাইঝি। এর পরই তিনি পুলিশে খবর দেন।

পুলিশ কমিশনার অসীম অরুণ (Police Commissioner Ashim Arun) জানিয়েছেন, খুন করার আগে স্ত্রী (চন্দ্রপ্রভা ৪৮), পুত্র (শিখর সিং ১৮) ও কন্যাকে (খুশি সিং) মাদক খাইয়েছিলেন চিকিৎসক। এরপর তাঁরা আচ্ছন্ন হয়ে পড়লে প্রথমে স্ত্রীকে শ্বাসরোধ করে খুন করেন, এরপর দুই সন্তানের মাথায় হাতুড়ির বাড়ি মেরে খুন করেন।

আরও পড়ুন: ‘ষড়যন্ত্রের শিকার শাহরুখ খান’, বিশিষ্টজনদের সঙ্গে আলাপচারিতায় মুখ খুললেন মমতা

পুলিশ জানিয়েছে, স্ত্রীকে শ্বাসরোধ করে এবং দুই সন্তানকে হাতুড়ি দিয়ে মাথার খুলি ফাটিয়ে খুন করেছেন চিকিৎসক। পুলিশকে চিকিৎসকের ভাই জানিয়েছেন, তাঁর দাদা মানসিক অবসাদে ভুগছিলেন। কিন্তু প্রশ্ন উঠছে, ওমিক্রন আতঙ্কেই কি খুন নাকি এর পিছনে অন্য কোনও রহস্য আছে। যদিও এই ঘটনার পর থেকে পলাতক চিকিৎসক। তদন্তকারীরা চিকিৎসকের ঘর থেকে একটি ডায়েরি উদ্ধার করেছেন। সেখানে তিনি খুনের কথা লিখেছেন। শুধু তাই নয়, ওমিক্রনের কথাও সেখানে উল্লেখ করেছেন তিনি।

ডায়েরিতে তিনি খুনের কথা স্বীকার করেছেন। জানিয়েছেন, তিনি নিজে একটি কঠিন ব্যধিতে আক্রান্ত। কর্মজীবনেও অখুশি। আরও লেখেন, “করোনা থেকে কারও নিস্তার নেই।” ডায়েরির খাপছাড়া লেখায় উল্লেখ করেন, “আমি নিজের ভুলের জন্য কেরিয়ারের এমন জায়গায় আটেক গেছি, যেখান থেকে আমার আর মুক্তি নেই।”

আরও পড়ুন: লড়াই শেষ, প্রয়াত প্রবীণ সাংবাদিক বিনোদ দুয়া

Exit mobile version