Site icon The News Nest

বাংলাদেশকে করোনার ওষুধ দেওয়ার প্রতিশ্রুতি চিনের! নজর কি রাখছে দিল্লি?

The News Nest: এমনিতেই পড়শিদের ভারতের বিরুদ্ধে উস্কানি দিচ্ছে চিন। সরাসরি প্রমাণ না মিললেও বোঝা যাচ্ছে। বাণিজ্যিক লগ্নিতে ছাড় দিয়ে ঢাকাকে কাছে পাওয়ার চেষ্টা আগেই করেছে চিন। এবার করোনার ওষুধকে হাতিয়ার করল তারা। করোনাভাইরাসের প্রতিষেধক যদি চিন আবিষ্কার করতে পারে। তবে বন্ধুরাষ্ট্র হিসেবে অগ্রাধিকার দিয়ে বাংলাদেশকেই প্রথম তা দেওয়া হবে। এমনই জানিয়েছে বেজিং।

জুনের শুরুতেই বাংলাদেশে করোনাভাইরাস মহামারীর পরিস্থিতি খতিয়ে দেখতে ঢাকা পৌঁছেছিল চিনা প্রতিনিধি দল। ওই দলের সফর শেষে বেজিংয়ের তরফে ঢাকাকে অগ্রাধিকারের বিষয়টি জানানো হয়েছে। চিনের সঙ্গে যৌথ স্বাস্থ্য সংক্রান্ত ভার্চুয়াল অনুষ্ঠানে অংশ নেওয়ার পর সাংবাদিকদের ‘চিনা সাহায্যে’র কথা স্বীকার করেছেন বাংলাদেশের স্বাস্থ্য দফতরের পরিচালক অধ্যাপক ড. আবুল কালাম আজাদ।

আরও পড়ুন : লাদাখে ফের ভারতীয় এলাকা দখল করল চিন, ‘ফল ভুগতে হবে’ হুঁশিয়ারি ভারতের

ঢাকায় চিনা দূতাবাসের তরফে সাংবাদিক বৈঠকে জানানো হয়েছিল, ‘বাংলাদেশ চিনের অত্যন্ত ঘনিষ্ঠ এক বন্ধু। করোনাভাইরাস মোকাবিলায় চিন সবসময় বাংলাদেশের পাশে রয়েছে। চিনে পাঁচটি সংস্থা করোনার ওষুধ তৈরির চেষ্টা করছে। চিন সফল ভাবে করোনাভাইরাসের ওষুধ তৈরি করতে পারলে, বন্ধুরাষ্ট্র হিসেবে বাংলাদেশকে অগ্রাধিকার দেবেই।’

যদিও বাংলাদেশের মানুষের মধ্যে করোনা সচেতনতা নিয়ে আক্ষেপ প্রকাশ করে চিনা প্রতিনিধি দল। চিনা দূতাবাসের মিশন উপ-প্রধান হুয়ালং ইয়ানের কথায়, ‘বাংলাদেশ করোনা সংক্রমণের চূড়ায় এখনও পৌঁছয়নি। তবে করোনা মোকাবিলায় বৈজ্ঞানিক ভাবে লকডাউন প্রয়োজন। এদেশের মানুষের মধ্যে সচেতনতার অভাব খুবই রয়েছে।’ করোনাভাইরাস মোকাবিলায় বাংলাদেশ সরকারের হাতে নিজেদের সুপারিশ তুলে দিয়েছে চিনা প্রতিনিধি দল।


কূটনৈতিক মহলের একাংশের মতে, লাদাখে ভারত-চিন সেনা সংঘাতের পর থেকেই ভারতের পড়শিদের পাশে পেতে নতুন উদ্যমে কাজে নেমেছে বেজিং। দক্ষিণে শ্রীলঙ্কা-মলদ্বীপ, উত্তরে নেপাল-ভুটান, কারোর সঙ্গেই আগের মতো উষ্ণ সম্পর্ক নেই ভারতের। প্রতিবেশী দেশগুলির মধ্যে একমাত্র বাংলাদেশের সঙ্গেও নানা টানাপোড়েন সত্ত্বেও পরীক্ষিত সুসম্পর্ক রয়েছে নয়াদিল্লির।

এবার ঢাকাকে নিশানা করেছে বেজিং। বিভিন্ন ক্ষেত্রে বাংলাদেশে লগ্নি বাড়িয়েছে চিন। জুলাই থেকেই বাংলাদেশ থেকে চিনে রফতানি হওয়া পণ্যের ৯৭% শুল্কমুক্ত করে সুবিধা ঘোষণা করেছে বেজিং। কূটনীতিকদের একাংশের মতে, প্রতিবেশী দেশগুলির সঙ্গে সম্পর্ক বিষিয়ে দিয়ে দক্ষিণ এশিয়ায় ভারতকে একঘরে করে ফেলার কৌশল নিয়েছে চিন।

আরও পড়ুন : রাষ্ট্রপুঞ্জের গাড়িতে বসে উদ্যাম যৌনতা! ভিডিয়ো ফাঁসে তোলপাড় নেটপাড়া, তদন্ত শুরু

Exit mobile version