করাচি: করোনায় মৃত্যু হয়েছে ১৯৯৩-এর মুম্বইয়ের ধারাবাহিক বিস্ফোরণের মূল অভিযুক্ত দাউদ ইব্রাহিমের! গতকালই শোনা যায়, করোনায় আক্রান্ত হয়ে সস্ত্রীক দাউদ করাচির সেনা হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। একই সঙ্গে দাউদের ব্যক্তিগত দেহরক্ষী ও কয়েকজন কর্মীও এই ভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন বলে শোনা যায়। শনিবার আরও এক ধাপ এগিয়ে দাউদ ইব্রাহিমের মৃত্যুর খবর ছড়িয়ে পড়ল নেট দুনিয়া!
সূত্রের খবর, শুক্রবার রাতে করোনায় আক্রান্ত হয়ে মৃত্যু হয়েছে দাউদের। গতকাল থেকেই করাচির লিয়াকত সামরিক হাসপাতালে চূড়ান্ত ব্যস্ততা দেখা গিয়েছে। পাক সেনার শীর্ষই আধিকারিক ও গোয়েন্দা সংস্থা আইএসআইয়ের বেশ কয়েকজন অফিসারকে ওই হাসপাতালে গম্ভীর মুখে প্রবেশ করতে ও বেরতে দেখা গিয়েছে। আগেই করাচির সামরিক হাসপাতালে করোনা আক্রান্ত হয়ে সস্ত্রীক ভরতি রয়েছে দাউদ বলে জানা যায়। যদিও ডনের ভাই অনিস ইব্রাহিমের দাবি, তার দাদা ও বৌদি কারোরই শরীরে কোভিড জীবাণু মেলেনি। তবে সূত্রের খবর, দাউদের সমস্ত রক্ষী সহচরদের কোয়ারেন্টাইনে পাঠিয়ে দেওয়া হয়েছে।
আরও পড়ুন: এক ইঞ্চি জমি ছাড়ব না, চিনের সরকারি মুখপত্রে হুঁশিয়ারি ভারতকে
বিগত বেশ কয়েক বছর ধরেই বারে বারে দাউদের অসুস্থতার খবর সামনে এসেছে বিভিন্ন মাধ্যমে। ২০১৭ সালের এপ্রিল নাগাদ খবর ছড়ায়, দাউদ হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি, অবস্থা আশঙ্কাজনক! কিন্তু সে সময় দাউদ ঘনিষ্ট ছোটা শাকিল দাবি করেছিল, সুস্থ রয়েছে দাউদ! খবর ভিত্তিহীন। এ বারেও অবশ্য দাউদের করোনায় আক্রান্ত হওয়ার খবর ‘গুজব’ বলে উড়িয়ে দিয়েছে তার ভাই আনিস ইব্রাহিম। একটি সংবাদ সংস্থাকে আনিস ইব্রাহিম জানিয়েছে, ৬৪ বছরের দাউদ সম্পূর্ণ সুস্থ রয়েছে।
এর আগে দেশি-বিদেশি নানা গোয়েন্দা সংস্থা ও সংবাদ মাধ্যম করাচির সেনা ব্যারাকের অভিজাত এলাকার ক্লিফটন হাউস ও সংলগ্ন এলাকায় দাউদের গতিবিধি ও উপস্থিতির নানা ছবি তুলে ধরেছে। যদিও তার পরেও পাকিস্তান সে দেশে দাউদের অস্তিত্ব স্বীকার করেনি। দুবাইয়েও দাউদের গতিবিধির প্রমাণ পেয়েছেন ভারতের কেন্দ্রীয় গোয়েন্দারা। কিন্তু তা-ও মুম্বই বিস্ফোরণের মূল চক্রীর নাগাল পায়নি ভারত।
আরও পড়ুন: রাস্তায় হাঁটু গেড়ে বসে ফ্লয়েড হত্যার প্রতিবাদ কানাডার প্রধানমন্ত্রী জাস্টিন ট্রুডোর