Site icon The News Nest

বিরল দৃশ্য! ফ্লয়েড খুনে হাঁটু গেড়ে বসে ক্ষমা চাইল পুলিশ, চোখ ভিজল মার্কিন বিক্ষোভকারীদের

ওয়াশিংটন: শ্বাসরোধ করে খুনই করা হয়েছিল ৪৬ বছরের জর্জ ফ্লয়েডকে। শ্বেতাঙ্গ পুলিশের হাতে কৃষ্ণাঙ্গ যুবকের মৃত্যু ঘিরে গত এক সপ্তাহ ধরে বিক্ষোভের আগুনে জ্বলছে গোটা আমেরিকা। তার মধ্যেই জর্জ ফ্লয়েডের ময়নাতদন্তের রিপোর্ট সামনে এসেছে। তাতে সাফ বলা হয়েছে, হাঁটু দিয়ে তাঁর গলা চেপে ধরেছিল পুলিশ। এর ফলে শ্বাসকষ্ট শুরু হয় জর্জ ফ্লয়েডের। হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে মৃত্যু হয় তাঁর। এটা খুনের ঘটনা।

এর আগে, জর্জ ফ্লয়েডের পরিবারের তরফে আলাদা করে ময়নাতদন্ত করা হয়েছিল। তাতেও গোটা ঘটনাকে খুন বলে উল্লেখ করা হয়েছিল। শরীরে অক্সিজেন পৌঁছতে না পারায় তাঁর মৃত্যু হয়েছিল বলে জানানো হয়। এ বার হেনেপিন কাউন্টি মেডিক্যাল একজামিনারের দফতরের তরফে যে ময়নাতদন্তের রিপোর্ট প্রকাশ করা হয়েছে, তাতেও একই দাবি করা হয়েছে। বলা হয়েছে, গলায় চাপ পড়ায় কার্ডিয়োপালমোনারি অ্যারেস্টে আক্রান্ত হন জর্জ।

আরও পড়ুন: ‘ভারত সীমান্তে চিন আগ্রাসী হয়ে উঠছে’, নিন্দায় সরব মার্কিন বিদেশ মন্ত্রক

এ ছাড়াও জর্জ হৃদরোগজনিত সমস্যায় ভুগছিলেন এবং তাঁর শরীরে মেথাম্ফেটামাইন ওষুধের উপস্থিতি মিলেছে বলেও জানানো হয় ওই রিপোর্টে। তবে গোটা ঘটনাকে খুন বলে উল্লেখ করলেও, ইচ্ছাকৃত ভাবে তাঁকে খুন করা হয়েছে নাকি অনিচ্ছাকৃত ভাবে, তা বলা সম্ভব নয় বলে জানানো হয়েছে।

সোশ্যাল মিডিয়ার দৌলতে সেই ভিডিয়ো সামনে আসতেই বিক্ষোভ শুরু হয় দেশ জুড়ে। গত কয়েক দিনে দেশের বিভিন্ন জায়গায় তা হিংসাত্মক আকারও ধারণ করেছে। গোটা ঘটনায় ডেরেক শওভিন নামের ওই পুলিশকর্মীর বিরুদ্ধে ইতিমধ্যেই থার্ড ডিগ্রি মার্ডার এবং নরহত্যার চার্জ আনা হয়েছে। আগামী সপ্তাহে কোর্টে তোলা হবে তাঁকে। ঘটনার সময় তাঁকে সাহায্য করার জন্য আরও তিন পুলিশকর্মীকে বহিষ্কার করা হয়েছে। আন্দোলন দমনে পুলিশ কড়া মনোভাব নিলেও মানবিক মুখও ধরা পড়ে যাচ্ছে। বিরাট অন্যায় হয়েছে, স্বীকার করে ফেলছেন বহু অফিসারই।

সোমবার বিক্ষুব্ধ জনতা মিয়ামির রাস্তায় জমায়েত করেছিল। অন্য দিনগুলিতে পুলিশ বারবার বিক্ষুব্ধ জনতার উপর চড়াও হয়েছে। কিন্ত এদিন দেখা যায় গোটা বাহিনী ফ্লয়েডের জন্য ক্ষমাপ্রার্থী হয়ে হাঁটু মুড়ে বসে আছে। রনসজ্জায় সজ্জিত পুলিশের এই ক্ষমাপ্রার্থনার ভঙ্গি চোখ ভিজিয়ে দেও বহু বিক্ষোভকারীর।

বিরল চিত্র ধরা পড়ে ডেনভার শহরেরও দেখা যায়, অস্ত্র ছেড়ে বিক্ষুব্ধদের সঙ্গেই হাঁটছেন ডেনভারের পুলিশ প্রধান পল পাজেন। খাস নিউইয়র্ক শহরেও বিক্ষুব্ধদের সঙ্গে হাত মেলাতে দেখা যায় পুলিশকে।

আরও পড়ুন: গেম চেঞ্জার! ওষুধ প্রয়োগ প্রথম শুরু করছে রাশিয়া

Exit mobile version