Site icon The News Nest

মসনদের লড়াই! ‘গৃহবন্দি’ জর্ডানের প্রিন্স হামজা বিন হুসেইনি

salman

প্রশাসনিক স্তরে অশান্তি দেখা গেল জর্ডনে। জর্ডনের প্রিন্স হামজা বিন হুসেনকে গৃহবন্দি করে রাখা হয়েছে। হামজা দেশটির নেতাদের বিরুদ্ধে দুর্নীতি ও অযোগ্যতার অভিযোগ তুলছিলেন।

ক্ষমতাসীন বাদশাহ দ্বিতীয় আবদুল্লাকে উৎখাত করতে চাইছেন স্বয়ং যুবরাজ হামজা বিন হুসেইনি। এই অভিযোগের ভিত্তিতে প্রিন্সকে গৃহবন্দি করল জর্ডন সেনা। শুধু তাই নয়। বাদশাহ-অপসারণের চক্রান্তে হামজাকে মদত যোগাচ্ছেন অনেক উচ্চপদস্থ সরকারি আধিকারিকও। যার জেরে আরও ২০ জনকে আটক করা হয়েছে বলে বিবিসি সূত্রে জানা গিয়েছে।

প্রয়াত নবাব হুসেইনি এবং তাঁর মার্কিন বংশোদ্ভূত স্ত্রী নুরের ছোট ছেলে হামজা। যিনি সম্পর্কে বর্তমান বাদশাহ আবদুল্লার সৎ ভাইও বটে। সম্প্রতি বেশ কয়েকটি ইস্যুতে সোশ্যাল মিডিয়ায় সরকার-বিরোধী মন্তব্য করেছিলেন হামজা। বিবিসি-কে দেওয়া সাক্ষাৎকারে তাঁর দাবি, ওই মন্তব্যের শোধ নিতেই তাঁকে আটক করা হয়েছে। যদিও জর্ডন সেনা এই অভিযোগ অস্বীকার করেছে। তাঁদের দাবি, প্রিন্স আদতে রাজাকে সরিয়ে অভ্যুত্থানের চেষ্টা করছেন। পাশাপাশি এই চক্রান্তে বিদেশি শক্তি জড়িয়ে রয়েছে বলেও প্রাথমিকভাবে অনুমান করা হয়েছে।

আরও পড়ুন: পথে নামলেই মাথায় গুলি করব! হুমকির পরেই মায়ানমারে সেনার নিশানায় কমপক্ষে ৫০ আন্দোলনকারী

শনিবার অবশ্য গৃহবন্দি যুবরাজ একটি সাক্ষাৎকারে তাঁর বিবৃতি পেশ করেন। হামজা জানান, জর্ডানে বাড়তে থাকা দুর্নীতি নিয়ে বরাবরই মুখ খুলেছেন তিনি৷ তাই এবার তাঁকে চুপ করানোর চেষ্টা চলছে। আপাতত তাঁকে রাজভবনের ভেতরেই থাকতে হবে। বাইরের কোনও লোকজনের সঙ্গে দেখাসাক্ষাৎও কর‍তে পারবেন না বলে নিশ্চিত করেন তিনি। তবে ষড়যন্ত্রের অভিযোগ অস্বীকার করেছেন প্রিন্স হামজা।

ভিডিও বার্তায় জানিয়েছেন, কোনও ধরনের অন্যায় কাজে তিনি জড়িত নন। এমনকী বিদেশি কোনো ষড়যন্ত্রেও তাঁর হাত নেই। শুধু দেশের শাসন ব্যবস্থায় দুর্নীতির সমালোচনা করেছেন। এজন্যই তাকে গৃহবন্দি করে রাখা হয়েছে। পাশাপাশি এদিন হামজা জোর গলায় বলেন, ‘সরকারের ভাঙন কিংবা দুর্নীতির জন্য আমি দায়ি নই। গত ১৫-২০ বছর ধরে দেশজুড়ে ব্যর্থতার রাজত্ব চলছে। আর যত দিন যাচ্ছে, সেটা ক্রমশ খারাপ চেহারা নিচ্ছে।’

আরও পড়ুন: মিশরের রাস্তায় শোভাযাত্রায় সামিল হাজার বছর আগের রাজারানিরা!

Exit mobile version