Site icon The News Nest

মর্মান্তিক! ঘরে খাবার নেই, ক্ষুধার্ত শিশুকে ভোলাতে পাথর ‘রান্না’ মায়ের

ওয়েব ডেস্ক: ঘরে খাবার নেই। আটটা বাচ্চা। খিদের জ্বালায় কাঁদছে এক্কেবারে ছোট্ট শিশুটা। সন্তানের কান্না থামাতে পাত্রে পাথর সেদ্ধ বসালেন মা। খানিকবাদেই খাবার তৈরি হবে, এটা ভেবে যদি ক্ষণিকের জন্য কান্না থামায় ছোট্ট মেয়েটা। যদি কিছুক্ষণের জন্যে ঘুমিয়ে পড়ে, তাহলে এই জ্বালা যন্ত্রণা থেকে খানিক রেহাই পাবেন কেনিয়ার পেনিনা বাহাতি কিটসাও। 

কেনিয়ার মোম্বাসা শহরের এক মায়ের মর্মস্পর্শী কাহিনি নিয়ে প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে সংবাদমাধ্যম বিবিসি।কয়েক মাস আগে অপরাধ জগতের এক দলের হাতে খুন হন তাঁর স্বামী। তার পর থেকেই অনটন বাড়িতে, দারিদ্র্য নিত্যসঙ্গী। পেনিনাহ লেখাপড়া শেখেননি। পড়শিদের বাড়িতে জামাকাপড় কাচার কাজ করতেন। তা দিয়েই আট সন্তানের পেট ভরাতে হত। করোনা সংক্রমণের ভয়ে সে উপার্জনও বন্ধ। মোম্বাসার বাসিন্দা ভেবেছিলেন, এ বোধহয় কয়েক দিনের ব্যাপার। কিন্তু কয়েক মাস কেটে গেল, পরিস্থিতি স্বাভাবিক হওয়ার নামগন্ধ নেই। তাঁর কথায়, ‘বাচ্চাদের খাওয়ানোর মতো কিছু ছিল না আমার কাছে। তাই ডেকচিতে পাথর ফেলে রান্না করতাম। যাতে ওদের মনে হয়, খাবার তৈরি হচ্ছে।’ সাময়িক ভাবে এ কৌশল কাজও দেয়। পেটে খিদে ও মনে আশা নিয়ে ঘুমিয়ে পড়ে সন্তানরা। কিন্তু ক’দিনেই বুঝে যায়, মা মিথ্যা বলছেন।

আরও পড়ুন: ফ্লাই পাস্ট থেকে সেনা ব্যান্ড, করোনা যোদ্ধাদের সেলাম জানাতে ৩ বাহিনীর বিশেষ অনুষ্ঠান, দেখুন ভিডিও

হয়তো এ রকমই অসহায় থেকে যেতেন। তবে ঘটনাটি তাঁর প্রতিবেশীদের নজরে পড়ে সম্প্রতি। কেউ কেউ সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দেন। এক জন আবার সে ঘটনা সংবাদমাধ্যমকে জানান। নিজেও পেনিনার নামে একটি ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট খোলেন। তার পর? এ দিক, ও দিক থেকে টুকটাক করে সাহায্যের হাত এগিয়ে এসেছে পেনিনাহের দিকে। কেনিয়ার বিভিন্ন প্রান্ত থেকে ফোনও পাচ্ছেন তিনি। সকলেই চান তাঁর ও তাঁর সন্তানদের পাশে দাঁড়াতে। ঘোর কাটে না মায়ের। সরল মনে প্রশ্ন করেন, ‘মানুষ এখনও এতো ভালোবাসতে পারে?’

পূর্ব আফ্রিকার দেশ কেনিয়ায় করোনায় আক্রান্তের সংখ্যা এখন প্রায় ৪০০। মৃত্যু হয়েছে ১৭ জনের। দরিদ্র দেশে খুজলে পরে আরও অনেক এমন কিতসাদের পাওয়া যাবে, বলছেন কেনিয়ার জনগণ। 

আরও পড়ুন: কোভিড রোগীদের উপর প্রয়োগ করা যাবে রেমডেসিভির, অনুমতি মার্কিন প্রশাসনের

Exit mobile version