কোভিড রোগীদের উপর প্রয়োগ করা যাবে রেমডেসিভির, অনুমতি মার্কিন প্রশাসনের

Share on facebook
Share on twitter
Share on linkedin
Share on telegram
Share on whatsapp
Share on email
Share on reddit
Share on pinterest

নিউ ইয়র্ক: করোনা রোগীদের উপর প্রয়োগ করে সুফল মেলার পরেই ইবোলার ওষুধ রেমডেসিভিরকে আমেরিকায় জরুরি পরিস্থিতিতে কোভিড ১৯ রোগীদের উপর প্রয়োগ করার অনুমতি দিল ফুড অ্যান্ড ড্রাগ অ্যাডমিনিস্ট্রেশন। শুক্রবার এই সিদ্ধান্তের কথা ঘোষণা করেন আমেরিকার প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প।

শুক্রবার রেমডেসিভিরের নির্মাতা সংস্থা গিলেড সায়েন্সেসের সিইও ড্যানিয়েল ও’ডে-কে সঙ্গে নিয়ে ট্রাম্প বলেন, “এটা সত্যিই খুব আশাপ্রদ ঘটনা। হাসপাতালে ভর্তি রোগীদের উপর প্রথম পর্যায়ের প্রয়োগে আমরা খুশি। আমরা নিশ্চিত করব, এই ওষুধের সুবিধা আমেরিকার প্রত্যেকে পেয়ে থাকেন।” করোনা মোকাবিলায় এই ওযুধের ব্যবহারকে ‘খুব আশাব্যঞ্জক পরিস্থিতি’ বলে উল্লেখ করেছেন তিনি। গিলেড সায়েন্সেসের পরীক্ষায় দেখা গিয়েছে, এই ড্রাগের প্রয়োগে করোনা রোগীরা অনেক কম সময়ে সুস্থ হয়ে উঠতে পারেন। এই ফল মেলার পরেই এই ড্রাগ ব্যবহার করার অনুমতি দেওয়া হয়েছে আমেরিকায়।

দিন কয়েক আগে চিনের ক্লিনিক্যাল ট্রায়ালে এই ওষুধ ব্যর্থ বলে জানা গিয়েছিল। কিন্তু তার পরেই শীর্ষস্থানীয় মার্কিন মহামারি বিশেষজ্ঞ অ্যান্টনি ফসি দাবি করেন, এই অ্যান্টিভাইরাল ওযুধটি করোনা-চিকিৎসায় কাজ দিচ্ছে। তার পর সারা বিশ্বের চিকিৎসক মহলে আলোচনা শুরু হয় রেমডেসিভিরকে নিয়ে।

করোনার থাবার বিশ্ব জুড়ে প্রাণ হারিয়েছেন ২ লক্ষ ৩৮ হাজারেরও বেশি মানুষ। করোনা থেকে মুক্তি কী ভাবে মিলবে তা নিয়ে যখন সারা বিশ্ব কমবেশি দিশেহারা, তখন ফসি দাবি করেন, ‘‘আমরা বহু পরীক্ষা চালিয়ে দেখেছি, করোনা আক্রান্ত রোগীদের সারিয়ে তুলতে রেমডেসিভির প্রায় ৩১ শতাংশ বেশি দ্রুততার সঙ্গে কাজ করছে। প্রায় ১১ দিনে সুস্থ হয়ে উঠছেন অনেকে।’’ এই ওষুধ প্রয়োগে রোগীদের কোনও পার্শ্ব-প্রতিক্রিয়ার শিকার হতে হয়নি বলেও জানিয়েছিলেন তিনি। এই দাবিই করোনা প্রতিরোধে আশার আলো দেখায়।

আরও পড়ুন: Lockdown 3: কলকাতা, হাওড়া-সহ রাজ্যের ১০টি রেড জোন, কী করবেন ও কী করবেন না, জানুন

এর পরই হোয়াইট হাউসের তরফে মিলল রেমডেসিভির ব্যবহারের অনুমতি। আমেরিকার ফুড অ্যান্ড ড্রাগ অ্যা়ডমিনিস্ট্রেশন (এফডিএ)-র তরফে জানানো হয়েছে, কোভিড-১৯ আক্রান্তদের মধ্যে যাদের অবস্থা গুরুতর, যাদের রক্তে অক্সিজেনের হার ব্যাপক ভাবে কমে গিয়েছে, যাদের ভেন্টিলেটরে রাখা হয়েছে তাদের উপরেই প্রথম প্রয়োগ করা হবে এই ওষুধ।

স্ট্যানফোর্ড ইউনিভার্সিটিতে রেমডেসিভির নিয়ে গবেষণা শুরু হয়েছিল মার্চেই। দু’টি পর্যায়ে রোগীদের উপর ট্রায়াল শুরু হয়েছে। কিছু রোগীকে পাঁচদিন ধরে একটা নির্দিষ্ট ডোজে রেমডেসিভির খাওয়ানো হয়েছে, অন্যদের দশ দিন ধরে ওই ওষুধের ডোজ দেওয়া হয়েছে। দুই ক্ষেত্রেই একই রেজাল্ট পাওয়া গেছে। পাঁচদিনের কোর্সে যাঁরা ওষুধ খেয়েছিলেন তাঁদের সংক্রমণ যতটা কমেছে, দশদিনের কোর্স করা হয়েছিল যাঁদের উপরে তাঁরাও একইভাবে উপকৃত। স্ট্যানফোর্ড আরও দাবি করেছে, পাঁচদিনের কোর্সে ওষুধ খাওয়ানো হয়েছিল যাঁদের, তাঁদের মধ্যে অধিকাংশই সেরে ওঠার পথে। সব ঠিক থাকলে আর সপ্তাহ দুযেকের মধ্যেই তাঁদের ছেড়ে দেওয়া হবে।

ভারতেও এই ওষুধের পরীক্ষামূলক প্রয়োগ করা হচ্ছে বলে জানিয়েছে ইন্ডিয়ান কাউন্সিল অব মেডিক্যাল রিসার্চ (আইসিএমআর)। এপিডেমোলজি অ্যান্ড কমিউনিকেবল ডিজিজের প্রধান রমন আর গঙ্গাখেদকার বলেছেন, আক্রান্তদের চিকিৎসার জন্যই ব্যবহার করা হয়েছে রেমডেসিভির। তাতে দেখা গেছে, ৬৮ শতাংশ রোগীর শ্বাসের সমস্যা কমিয়েছে এই ওষুধ।

আরও পড়ুন: অসুস্থতার জল্পনা ওড়ালেন কিম,কারখানা পরিদর্শনে এসে হাসিমুখে তুললেন ফটো

Gmail 4
Share on facebook
Share on twitter
Share on linkedin
Share on telegram
Share on whatsapp
Share on email
Share on reddit
Share on pinterest