Site icon The News Nest

টুইটার কিলার! সোশ্যাল মিডিয়ায় বন্ধুত্ব, ৮ তরুণী-সহ ৯ জনকে খুনের দায়ে মৃত্যুদণ্ড জাপানে

twitter killer and his victims

সে ‘টুইটার কিলার’ (Twitter Killer)। সোশ্যাল মিডিয়ায় কেউ আত্মহত্যার ইচ্ছা প্রকাশ করলেই তাঁরা হয়ে উঠতেন তার ‘টার্গেট’। টুইটারের (Twitter) মাধ্যমে তাদের সঙ্গে যোগাযোগ করত সে। তারপর তাদের বাড়িতে ডেকে এনে নৃশংস ভাবে খুন করত! অবশেষে জাপানের (Japan) তাকাহিরো শিরাইশি নামের সেই বছর তিরিশের মানসিক বিকারগ্রস্ত খুনিকে মৃত্যুদণ্ডের আদেশ দিল টোকিওর এক আদালত। এদিন তার সাজা ঘোষণার দিন আদালতে উপচে পড়েছিল ভিড়। আমজনতার জন্য যেখানে বরাদ্দ মাত্র ১৬টি আসন, সেখানে উপস্থিত ছি‌ল ৪৩৫ জন!

তাকাহিরোর মূল টার্গেট ছিল মানসিক ভাবে দুর্বল কিশোরী বা তরুণীরা। সোশ্যাল মিডিয়ায় কেউ আত্মহত্যার ইচ্ছে বা হতাশা প্রকাশ করলেই তাঁদের সঙ্গে টুইটারের মাধ্যমে যোগাযোগ করত তাকাহিরো। তার পর তাঁদের আত্মহত্যার পরিকল্পনায় সাহায্য করবে বা নিজেও তাঁদের সঙ্গে আত্মহত্যা করবে বলে আশ্বস্ত করত। অবশেষে নিজের বাড়িতে ডেকে অঙ্গপ্রত্যঙ্গ কেটে, খুন করত তাঁদের। ২০১৭ সালের অগস্ট থেকে অক্টোবরের মধ্যে এই ভাবে অন্তত ৯টি খুন করে সে। তবে শেষ পর্যন্ত ধরা পড়ে যায় পুলিশের হাতে। তার পরেই জাপানে তার নাম হয়ে যায় ‘টুইটার কিলার’।

আরও পড়ুন: ভারতীয় বিজ্ঞানী ডঃ ইউসুফ হামিদকে শ্রদ্ধা, বদলে গেল কেমব্রিজের রসায়ন বিভাগের নাম

আদালতে খুনের কথা স্বীকার করেছে তাকাহিরো। তবে তার আইনজীবীরা ফাঁসির বদলে কারাদণ্ডের আর্জি জানিয়েছিলেন। তাঁদের যুক্তি ছিল, নিহতরা টুইটারে আত্মহত্যার পথ বেছে নিতে চেয়েছিলেন এবং তাঁদের সম্মতি ছিল। তাকাহিরো তাঁদের সাহায্য করেছে। কিন্তু বিচারকের পর্যবেক্ষণ, ‘‘নিহত ৯ জনের কেউ খুনের সম্মতি দেননি। এমনকি, নীরব সম্মতিও দেননি।’’ এই যুক্তিতেই প্রাণদণ্ডের আদেশ দিয়ে বিচারকের মন্তব্য, ‘‘৯টি তরতাজা প্রাণ শেষ করে দেওয়া হয়েছে। এটা অত্যন্ত গুরুতর অপরাধ।’’

গত মাসে বিচার চলাকালীন আদালতে উপস্থিত ছিলেন এক নিহত তরুণীর বাবা। নিজের ২৫ বছরের মেয়ের মৃত্যুতে শোকাহত সেই ব্যক্তি জানিয়ে দিয়েছিলেন, ‘‘ওই লোকটাকে আমি ওর মৃত্যুর পরেও ক্ষমা করতে পারব না।’’ তাঁর এই আক্ষেপ যেন নতুন করে বুঝিয়ে দেয় তাকাহিরোর বীভৎস অপরাধের গভীরতা।

আরও পড়ুন: জড় বস্তুর সোজা যৌন সম্পর্ক! এই মহিলা বিয়ে করলেন নিজের ব্রিফকেসকে

Exit mobile version