Site icon The News Nest

আজ ইস্টার! জেনে নিন দিনটির নেপথ্যে থাকা আসল কাহিনি

Good Shepherd Church066

ওয়েব ডেস্ক: ইস্টার বা ইস্টার সানডে হল যিশুর পুনরুত্থানের দিন। তাই গোটা বিশ্বের খিস্টান ধর্মাবলম্বী মানুষজন অত্যন্ত উত্সাহ ও উদ্দীপনার সঙ্গে এই দিনটা পালন করে থাকেন। নিউ টেস্টেমেন্ট অনুসারে, রোমানদের হাতে ক্রুশবিদ্ধ হয়ে মৃত্যুবরণ করার পরের তিন নম্বর দিনে, পবিত্র রবিবারেরই পৃথিবীতে ফিরে এসেছিলেন যিশু। ইস্টার সানডে বা পবিত্র রবিবার হল খ্রিস্টিয় ক্যালেন্ডারের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ ধর্মীয় উৎসব। খ্রিস্টানরা আজকের এইদিনে মৃত্যুর বিরুদ্ধে যিশুখ্রিস্টের বিজয় উদযাপন করে। খ্রিস্টে বিশ্বাসীদের কাছে এটি পুরাতন জীবনের অবসানের পরে নতুন জীবনের শুরুর প্রতীক।

আরও পড়ুন: করোনার জেরে ‘রং ফিকে’ হালখাতার, ম্লান এবারের বাংলা নববর্ষ

ইস্টারের দিনক্ষণ নিয়ে এক কালে নানা মত ছিল, গোড়ায় ‘স্প্রিং ইকুইনক্স’ বা মহাবিষুব-এর সময় এই উৎসব পালন করা হত। খ্রিস্টধর্মের আদি পর্বের ইতিহাসে বিস্তর লোককাহিনি ও উপকথার ভিড়। প্রথমে ধরা হয়েছিল, যিশু ৩৩ খ্রিস্টাব্দে ক্রুশবিদ্ধ হন, তখন গুড ফ্রাইডে পালন করা হত ৩ এপ্রিল। স্যর আইজাক নিউটন গ্রহ-নক্ষত্রের গতিবিধি মেপে সময়টাকে ৩৪ খ্রিস্টাব্দে নিয়ে আসেন। এখন পশ্চিম ইউরোপের চার্চগুলি এই দিন স্থির করে গ্রেগরিয়ান ক্যালেন্ডার মেনে, আর পূর্ব ইউরোপে অনুসরণ করা হয় জুলিয়ান ক্যালেন্ডার।

পুনরুত্থানের এই পার্বণটি খ্রিস্টানদের জন্য এক দীর্ঘ ধর্মীয় পর্বের শেষ বা চূড়ান্ত পর্যায়। ইস্টারের আগের বিশ্বের বহু ধর্মপ্রাণ খ্রিস্টান, যিশুর উপবাসের অনুকরণে ৪০ দিনব্যাপী প্রার্থনা ও উপবাস করেন। বাৎসরিক এই উপবাস পর্বটি একটি বুধবারে শুরু হয়, যাকে ইংরেজিতে অ্যাশ ওয়েডনেসডে (Ash Wednesday) বলে ডাকা হয়। উপবাস পর্বটি সমাপ্ত হয় পুণ্য শনিবার, অর্থাত্ ইস্টার সানডের আগের দিন। উপবাসের শেষের সপ্তাহটিকে পবিত্র বা পুণ্য সপ্তাহ নাম দেওয়া হয়েছে। এই সপ্তাহের বৃহস্পতিবারটি হল মন্ডি থার্সডে (যা যিশুর লাস্ট সাপারকে চিহ্নিত করে), গুড ফ্রাইডে ( ক্রুশবিদ্ধ হওয়ার দিন)। পুনরুত্থান পার্বণ একটি ররিবার পালিত হলেও এর সংশ্লিষ্ট ধর্মীয় পর্বটি আরও আটটি রবিবার পর্যন্ত বজায় থাকে।

আরও পড়ুন: টোকে অনেকেই কিন্তু বাদশাহর মত ঋণ স্বীকার করতে পারে কজন!

বিশ্বের বিভিন্ন চার্চগুলিতে শনিবার রাত থেকেই ইস্টারের প্রস্তুতি পর্ব শুরু হয়ে যায়। ধর্মীয় আচার অনুষ্ঠানের বাইরে এইদিন যিশুর পুনঃজন্মের প্রতীক হিসাবে এদিন ‘ইস্টার এগ’ বিতরণ করা হয়। যেগুলোতে নানা রঙ দিয়ে কারুকার্য করা হয়। আজকাল চকোলেট দিয়েও তৈরি ডিম্বাকৃতির এই ‘ইস্টার এগ’ বিতরণ করা হয়ে থাকে। ছোটদের জন্য রবিবার রাস্তায় রাস্তায় ‘ইস্টার বানি’ সেজে ঘুরে বেড়ানোর প্রথা রয়েছে-তাঁরা ছোটদের চকোলেট এগ উপহার দেয়। এছাড়াও নানান জায়গায় ইস্টার এগ নিয়ে মজার খেলার আয়োজন করা হয়ে থাকে।

এই বছর করোনার কবলে গোটা বিশ্ব। তাই এই বছর লকডাউনের মধ্যে গুড ফ্রাইডের প্রার্থনা হয় অনলাইনে। বাড়ি থেকেই প্রার্থনার আহ্বান জানানো হয়েছিল চার্চের তরফ থেকে। অনলাইনে লাইভ স্ট্রিমিংয়েরও ব্যবস্থা করা হয়।

আরও পড়ুন: করোনা সঙ্কট: মিস ইংল্যান্ড মুকুট খুলে রোগীদের পাশে বঙ্গতনয়া ভাষা

Exit mobile version