Site icon The News Nest

Behala Double Murder Case: গয়না চুরির জন্য খুন, ধৃত দুই মাসতুতো ভাই

behala scaled

বেহালার পর্ণশ্রীর আবাসনে মা-ছেলের গলাকাটা মৃতদেহ উদ্ধারের ঘটনার কিনারা করল পুলিশ। গ্রেফতার মৃতার দুই মাসতুতো ভাই। দিদির গয়না হাতাতেই খুন বলে জানাচ্ছে লালবাজার।

গত সোমবার বেহালার পর্ণশ্রীর আবাসনে মা ও ছেলের গলাকাটা মৃতদেহ উদ্ধার হয়। তদন্তে নেমে কলকাতা পুলিশের গোয়েন্দা বিভাগ মহেশতলা থানার বাসিন্দা দুই ভাইকে গ্রেফতার করে। প্রাথমিক ভাবে পুলিশের অনুমান, টাকার জন্যই খুন। রবিবার কলকাতা পুলিশের যুগ্ম কমিশনার (ক্রাইম) মুরলীধর শর্মা জানান, দিদির সোনার গয়নার উপর নজর ছিল ধৃত সন্দীপ ও সঞ্জয় দাসের। মাকে খুন করার ঘটনা দেখে ফেলেছিল ছেলে। তাই ছেলেকেও খুন করে সন্দীপ ও সঞ্জয়।

পুলিশ সূত্র জানা গিয়েছে, মহেশতলা থানা এলাকার শ্যামপুর ঘোষ পাড়ার বাসিন্দা সঞ্জয় ও সন্দীপ দাস। সম্পর্কে তারা দুইভাই। মৃতা সুস্মিতা মণ্ডল ছিলেন সঞ্জয় ও সন্দীপের মাসতুতো বোন। তদন্তকারীরা জানিয়েছেন, তদন্ত শুরুর পর থেকেই সঞ্জয়ের ভূমিকা ভাবাচ্ছিল তাঁদের। পরবর্তীতে শনিবার রাতে বাড়ি থেকে আটক করা হয় তাকে। লালবাজারে টানা জিজ্ঞাসাবাদ চলে। মুরলীধর শর্মা জানিয়েছেন, রাত দুটো নাগাদ খুনের কথা স্বীকার করে নেয় সঞ্জয়। সেই সময়ই গ্রেপ্তার করা হয় তাকে। ভোর ৪ টে নাগাদ গ্রেপ্তার করা হয় সঞ্জয়ের ভাই সন্দীপকে।

আরও পড়ুন: নয়া কায়দায় ফের অনলাইন প্রতারণা, এক মেসেজেই অ্যাকাউন্ট থেকে গায়েব ১ লক্ষ ১৭ হাজার

কী কারণে ও কীভাবে খুন? পুলিশের দাবি ধৃত সঞ্জয় জানিয়েছে, বেশ কিছুদিন ধরেই আর্থিক সমস্যায় ভুগছিল সে। প্রচুর ধার হয়ে গিয়েছিল। কোনওভাবেই সমস্যার সুরাহা করতে পারছিল না সে। এদিকে মাসতুতো বোন সুস্মিতার অবস্থা অনেকটাই স্বচ্ছল। বরাবরই সোনার গয়নার প্রতি আকর্ষণ ছিল তাঁর। সেই কথা ভেবেই বোনকে খুনের ষড়যন্ত্র করে সঞ্জয়।

জানা গিয়েছে, পরিকল্পনা মাফিক ৬ সেপ্টেম্বর  অর্থাৎ সোমবার দুপুর সাড়ে বারোটা নাগাদ বোন সুস্মিতার বাড়িতে যায় সঞ্জয় ও সন্দীপ। কারণ, তারা জানত ওই সময় সুস্মিতাদেবীর স্বামী বাড়িতে থাকেন না। দাদাদের দেখে স্বাভাবিকভাবেই আনন্দিত হন ওই মহিলা। সেই সময় পাশের ঘরে অনলাইন ক্লাস করছিল তাঁর ছেলে তমোজিৎ। যাতে এঘরের গল্পের কারণে ছেলের পড়াশোনার ক্ষতি না হয় সেই কারণে সুস্মিতাদেবী পাশের ঘরের দরজাও বন্ধ করে দিয়েছিলেন। সেই সময়ই বোনকে খুন করে সঞ্জয় ও সন্দীপ। তা দেখে ফেলেছিল বছর তেরোর তমোজিৎ। সেই কারণেই খুন করা হয় তাকেও। পুলিশের তরফে জানানো হয়েছে, সোমবারই আদালতে তোলা হবে ধৃতদের।

উল্লেখ্য, পর্ণশ্রীর সেনপল্লি এলাকার গোপাল মিশ্র রোডের বহুতল ফ্ল্যাট থেকে গত সোমবার রাতে উদ্ধার হয় সুস্মিতা মণ্ডল ও তার ছেলে তমোজিতের দেহ। শোওয়ার ঘরে সুস্মিতাদেবীর দেহ পড়ে ছিল। তমোজিতের দেহ ছিল তার পাশের ঘরে। তার পরনে ছিল স্কুলের পোশাক।ঘটনার তদন্তে নেমেই মহিলার স্বামী-সহ বেশ কয়েকজনকে আটক করেছিল পুলিশ।

আরও পড়ুন: পুজোর আগে অনেক সস্তা সোনা, কমল রুপোর দামও

Exit mobile version