Site icon The News Nest

নভেম্বরের বিল থেকে বকেয়া টাকা নিচ্ছে CESC, দিতে হবে ১০ কিস্তিতে

CESC

লকডাউনের সময়ের অনাদায়ি ইউনিট যোগ করে গত জুনে যখন বিদ্যুতের বিল পাঠিয়েছিল সিইএসসি, তখন তার ‘অস্বাভাবিক’ অঙ্ক দেখে ক্ষোভের বিস্ফোরণ ঘটে গ্রাহকদের বড় অংশের মধ্যে। বিক্ষোভ দেখায় তাঁদের সংগঠনগুলি। হস্তক্ষেপ করতে বাধ্য হয় রাজ্য সরকারও। তার জেরে ওই বিল আদায় সাময়িক স্থগিত রেখে পরে কিস্তিতে নেওয়ার ইঙ্গিত দিয়েছিল বেসরকারি বিদ্যুৎ বণ্টন সংস্থাটি। বৃহস্পতিবার সিইএসসি-র কর্তারা জানালেন, নভেম্বরের বিল থেকে (এখন বিলি হচ্ছে) ওই বকেয়া অঙ্ক ১০টি কিস্তিতে নেওয়া হবে। বিলে তার হিসেবও সবিস্তার দেওয়া থাকবে।

বিদ্যুৎ বণ্টন সংস্থার তরফে জানানো হয়েছে, লকডাউনের জেরে গত মার্চ থেকে জুন পর্যন্ত (২৩ মার্চ থেকে ৮ জুন) মিটার রিডিং নেওয়া সম্ভব হয়নি। সেজন্য শেষ ছ’মাসের বিলের গড় করে বিল পাঠানো হয়েছিল। তাতে গ্রীষ্মকালের তুলনায় বিল ‘অনেকটা কম’ ছিল বলে দাবি করা হয়। জুন থেকে সেই অনাদায়ী ইউনিট বিলে যোগ করতেই শুরু হয় বিপত্তি। গ্রাহকদের একাংশের ‘অস্বাভাবিক’ হারে বিল আসতে শুরু করে। বিলের অঙ্ক দেখে লকডাউন এবং আমফানের ধাক্কায় জর্জরিত আমজনতার মাথায় হাত পড়ে। তা নিয়ে ক্ষোভে ফেটে পড়েন গ্রাহকরা।

আরও পড়ুন: ‘বিজেপিকে ঝটকা দিতে পারেন আপনি’, ফের কৃষক নেতার ফোন মমতাকে

বিশেষত আমফানের পর বিভিন্ন এলাকায় যেভাবে দীর্ঘক্ষণ বিভিন্ন এলাকায় বিদ্যুৎ সংযোগ ছিল না, তাতে সেই ক্ষোভের মাত্রা গগনচুম্বী হয়ে ওঠে। ‘অস্বাভাবিক’ বিলের পরিস্থিতি সামলাতে আসরে নামতে হয় রাজ্য সরকারকে। যে পদ্ধতিতে অনদায়ী ইউনিটের হিসাব করছিল সিইএসসি, তা নিয়েও প্রশ্ন ওঠে। তারপর কিছুটা পিছু হটে সেই অনাদায়ী ইউনিট যোগ করার কাজ স্থগিত রাখে সিইএসসি।

তারইমধ্যে অক্টোবরে বিদ্যুৎমন্ত্রী শোভনদেব চট্টোপাধ্যায় জানান, আমফান-পরবর্তী সময় বাড়তি বিল সংক্রান্ত যে সমস্যা হয়েছিল, তার ৯৯ শতাংশই সমাধান হয়ে গিয়েছে। কিস্তিতে সেই বাড়তি বিদ্যুতের বিল মেটানো যাবে। বাড়তি বিল কীভাবে নেওয়া হবে, তা নিয়ে সিইএসসির সঙ্গে আলোচনা হয়েছে বলেও জানান বিদ্যুৎমন্ত্রী।

তারপর নভেম্বরের বিল থেকে (যা এখন বিলি করা হচ্ছে) ওই বকেয়া টাকা ধার্য করা শুরু করেছে সিইএসসি। সিইএসসির এমডি দেবাশিস বন্দ্যোপাধ্যায় জানিয়েছেন, শীতকালে বিদ্যুতের ব্যবহার সাধারণত কম হওয়ায় গ্রাহকদের উপর কম বোঝা পড়বে। তাই লকডাউনের সময় আদতে যে পরিমাণ ইউনিট ব্যবহৃত হয়েছিল, তা এবার থেকে আসল মাসিক বিলে যোগ করা হবে। সংস্থার ভাইস-প্রেসিডেন্ট (বণ্টন পরিষেবা) অভিজিৎ ঘোষ জানিয়েছেন, চলতি বছরের নভেম্বরের বিল থেকে আগামী বছরের অগস্ট পর্যন্ত বিলে সেই বকেয়া অঙ্ক নেওয়া হবে। সেই সংক্রান্ত বিস্তারিত হিসাব বিলের অপরদিকের পাতায় দেওয়া থাকবে বলে জানিয়েছেন তিনি।

গ্রাহক সংগঠনগুলির প্রশ্ন , বিলের হিসেবেই যখন ‘সমস্যা’ রয়েছে,  তখন সেই টাকা পরে নিয়ে কোন সুরাহা দিচ্ছে সিইএসসি? সংস্থার পাল্টা দাবি, অনাদায়ি ইউনিট যোগ হওয়াতেই বিলের অঙ্ক বড় দেখাচ্ছে।

আরও পড়ুন: বড়দিনে খোলা থাকবে কি পানশালা? জেনে নিন বিজ্ঞপ্তি…

Exit mobile version