Site icon The News Nest

গলার নলি কাটা, রক্তে ভেসে যাচ্ছে বিছানা, পড়ে মা-ছেলের নিথর দেহ! পর্ণশ্রীর আবাসনে চাঞ্চল্য

murder story 647 112015010311

হাড় হিম করা ঘটনা ঘটল বেহালার পর্ণশ্রী এলাকায়। ১৩ বছরের এক ছেলের সঙ্গে তার মা-কে গলা কেটে নৃশংসভাবে খুন করার ঘটনা ঘটেছে বেহালায়। সূত্রের খবর, সোমবার ঘরে ফিরে গৃহকর্তা বিছানার উপর তাঁর স্ত্রী সন্তানের রক্তে ভেসে যাওয়া দেহ দেখতে পান। কিছুক্ষণের জন্য দিকবিদিকজ্ঞানশূন্য হয়ে পড়েন। প্রতিবেশীদের খবর দেওয়া হলে তাঁরাও দেখে হতবাক হন। স্থানীয় সূত্রে খবর, জোড়া খুনের ঘটনা ঘটে গেলেও ঘুণাক্ষরেও কেউ টের পাননি। পর্ণশ্রীর বহুতলে ইতিমধ্যেই পুলিশ গিয়ে পৌঁছে গিয়েছে। দেহগুলি এখনও পর্যন্ত উদ্ধার করা হয়নি বলেই খবর। লালবাজারের হোমিসাইড শাখা এসে তদন্ত করতে শুরু করেছে।

সূত্র জানাচ্ছে, সেনপল্লি নামক একটি এলাকায় এই ঘটনাটি ঘটেছে। সোমবার সন্ধ্যায় বাড়ির ফিরে গৃহকর্তা তপন মণ্ডল দেখতে পান, বিছানা রক্তে ভেসে যাচ্ছে। পড়ে রয়েছে তাঁর স্ত্রী ও ছেলের নিথর দেহ। সামনে গিয়ে দেখতে পান, দুজনের গলার নলি নৃশংসভাবে কেটে হত্যা করা হয়েছে। প্রতিদিনই এই সময়ের তপনবাবু বাড়ি ফেরেন বলে খবর। তবে যখন তিনি ঘরে ফেরেন, তখন বাড়ির দরজা খোলা ছিল। তবে যে এলাকায় ঘটনাটি ঘটেছে, তা যথেষ্ট জনবহুল এলাকা। ফলে ফ্ল্যাটের মধ্যে জোড়া খুন ঘটে গেলেও কেন কোনও সাড়া-শব্দ পাওয়া গেল না সেই নিয়ে ধন্দ তৈরি হয়েছে।

আরও পড়ুন: অসুস্থ হয়ে SSKM -এ ভরতি মুকুল রায়, শুভ্রাংশুকে ফোন করে খবর নিলেন মুখ্যমন্ত্রী

পুলিশ ইতিমধ্যেই গোটা ঘটনার তদন্তে নেমে পড়েছে। গোটা ঘটনাস্থল পুলিশ কঠোর নিরাপত্তার মুড়ে ফেলেছে। ফ্ল্যাটের বাকি আবাসিকদের ইতিমধ্যেই জিজ্ঞাসাবাদ করা শুরু হয়েছে বলে খবর। গৃহকর্তাকেও পুলিশ জিজ্ঞাসাবাদ করছে বলে খবর। তবে এই ধরনের ঘটনা কখনই এলাকায় ঘটেনি বলে দাবি স্থানীয়দের। তপন মণ্ডল পেশায় ব্যাঙ্ক কর্মী ছিলেন বলে খবর। তবে যেহেতু ফ্ল্যাটের ভিতর ঢুকে খুন করা হয়েছে, এবং কোনও চিৎকার বা শোরগোল শুনতে পাওয়া যায়নি, সেই কারণে পরিচিত কেউ এই খুন করে থাকতে পারে, সেই তত্ত্বও খারিজ করে দেওয়া যাচ্ছে না।

পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, মৃতা মহিলার নাম সুস্মিতা মণ্ডল, তাঁর বয়স ৪০ এর আশেপাশে। মৃত ছেলেটির নাম তমোজিৎ মণ্ডল, বয়স ১২ বা ১৩ বলে খবর। প্রাথমিক তদন্ত চালিয়ে পুলিশ যেমন পাড়া প্রতিবেশীকে জিজ্ঞাসাবাদ করছে, তেমনই তপন মণ্ডলকে প্রশ্ন করা হচ্ছে। যেহেতু তপনবাবুর পরিবারের সদস্য মাত্র ৩-ই ছিল, তাই চেনাশোনা কোনও ব্যক্তি ছাড়া এই ঘটনা ঘটনো একপ্রকার অসম্ভব বলেই ধারণা পুলিশের। কে বা কারা এই ঘটনার পিছনে রয়েছে তা জানতে সিসিটিভি ফুটেজ খতিয়ে দেখারও চেষ্টা করা হয়। কিন্তু ওই আবাসনের সিসিটিভি অচল বলে জানা গিয়েছে।

আরও পড়ুন: চলতি সপ্তাহেই ভবানীপুরে প্রচারে নামছেন মমতা, তারকা প্রচারকের তালিকা থেকে বাদ নুসরত

Exit mobile version