Site icon The News Nest

পৌষের শেষবেলায় কনকনে হাওয়ার দাপট বঙ্গে, কুয়াশার চাদরে মুড়ল পথঘাট

fog

কয়েকদিনের হাঁসফাস দশা থেকে মুক্তি। অবশেষে ফের নামতে শুরু করল তাপমাত্রার পারদ। বৃহস্পতিবার ও শুক্রবারও রাজ্যজুড়ে শীতের আমেজ জারি থাকবে বলেই হাওয়া অফিস সূত্রের খবর। নতুন করে শীতের দেখা মেলায় খুশি শীতপ্রেমীরা।

কলকাতায় বুধবার সকালের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ১৬.৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস। স্বাভাবিকের থেকে যা দু’ ডিগ্রি বেশি। মঙ্গলবার সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিল ২৭.৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস। স্বাভাবিকের থেকে তা-ও দু’ডিগ্রি বেশি। গত কয়েকদিনের তুলনায় বাতাসে জলীয় বাষ্পের সর্বোচ্চ পরিমাণ এদিন অনেকটাই কম, ৮৫ শতাংশ। তাই অস্বস্তিটা একেবারেই উধাও। আবহাওয়া দফতর বলছে আগামী ২ দিনও নামতে পারে তাপমাত্রা। পাশাপাশি জেলাগুলিতেও শীতের আমেজ থাকবে বলেই জানাচ্ছে হাওয়া অফিস।

জানুয়ারির প্রথম দিকে ২ -৩ দিন পর থেকেই ঊর্ধ্বমুখী হয় তাপমাত্রার গ্রাফ। পরিস্থিতি এমন দিকে পৌঁছায় যে বেলা বাড়লে একপ্রকার গায়ে গরম পোশাক রাখাই যাচ্ছিল না। অফিস টাইমে লোকাল ট্রেনে ঘুরতে দেখা যায় পাখা। স্বভাবতই মানুষের মনে প্রশ্ন উঠতে শুরু করে তবে কি শীত বিদায় নিল বঙ্গ থেকে? তার মাঝেই মঙ্গলবার ভোর থেকে ফের শীতের আমেজ অনুভূত হয়। ফের নামতে শুরু করে তাপমাত্রা। আবহাওয়া দফতরের পূর্বাভাস অনুযায়ী মকর সংক্রান্তিতে বঙ্গবাসীর সঙ্গেই থাকবে শীত।

আরও পড়ুন: ফের সভায় প্রবল বিশৃঙ্খলা, নিয়ম করে ‘ভাইপো’র ঘাড়ে দায় চাপালেন শুভেন্দু!

উত্তরবঙ্গে ঘন কুয়াশার দাপট চলছে টানা। সে সমতল হোক বা ডুয়ার্স। মঙ্গলবারও কুয়াশার কারণে বাগডোগরা বিমান বন্দরে ২১টি বিমান বাতিল হয়। সকাল থেকে দিল্লি, মুম্বই ও কলকাতা থেকে অধিকাংশ বিমান এসে নামতে পারেনি। বুধবারও একই পরিস্থিতির জেরে বিমান বাতিলের সম্ভাবনা রয়েছে। জাতীয় সড়কে যানবাহন ধীর গতিতে চলছে। সিকিমের আবহাওয়া দফতরের অধিকর্তা গোপীনাথ রাহা জানিয়েছেন, উত্তরবঙ্গ জুড়েই এই পরিস্থিতি রয়েছে। সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ১০ ডিগ্রির আশেপাশে। স্বাভাবিকের থেকে তুলনায় তা অনেকটাই কম। আরও ২৪ ঘণ্টা এই পরিস্থিতি চলবে।

আগামী দু’ তিন দিন পঞ্জাব, হরিয়ানা, চণ্ডীগড়, দিল্লি, উত্তরপ্রদেশ, উত্তরাখণ্ড, রাজস্থানে শৈত্যপ্রবাহের আভাস। দক্ষিণ ভারতে আবার বৃষ্টি অব্যাহত। ভারী বৃষ্টির আভাস রয়েছে তামিলনাড়ু, পুদুচেরী, কেরলে।

আরও পড়ুন: নিয়মিত তোপ দাগছেন দিলীপ, আর ‘স্বাস্থ্যসাথী’-র কার্ড নিল তাঁর পরিবারই!

Exit mobile version