ফের সভায় প্রবল বিশৃঙ্খলা, নিয়ম করে ‘ভাইপো’র ঘাড়ে দায় চাপালেন শুভেন্দু!

Share on facebook
Share on twitter
Share on linkedin
Share on telegram
Share on whatsapp
Share on email
Share on reddit
Share on pinterest

নন্দীগ্রামের পুনরাবৃত্তি হল পুরুলিয়ায়। পুরুলিয়াতে কাশীপুর ন’পাড়া রোড শো শুরু করে কাশীপুর মোড় এলাকায় সভা করেন শুভেন্দু। শুভেন্দু বক্তব্য শুরুর আগেই চরম বিশৃঙ্খলা পরিস্থিতির সৃষ্টি হয় সভায়। শুরু হয় চেয়ার ছোড়াছুড়ি, হইহট্টগোল।

দিন দুই আগেই নিজের গড় নন্দীগ্রামে প্রবল বিক্ষোভ, চেয়ার ছোড়াছুড়ি, শেষে ইটবৃষ্টির মধ্যে ভণ্ডুল হয়ে গিয়েছিল বিজেপির যোগদান সভা। তড়িঘড়ি কয়েক মিনিটের বক্তব্য পেশ করে সভার ইতি টেনে দিতে হয়েছিল বিজেপি নেতা শুভেন্দু অধিকারীকেও। এবার একই চিত্র পুরুলিয়াতে। নন্দীগ্রামের মতোই পুরুলিয়াতেও আসরে নেমে শুভেন্দুকে জনতাকে শান্ত হতে অনুরোধ করতে দেখা যায়। শেষে এই বিশৃঙ্খল পরিস্থিতির জন্য ‘ভাইপো’ (অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়)-কে নিশানা করেছেন নয়া এই বিজেপি নেতা।

আরও পড়ুন: সৌরভ নন, এবার ICC-তে বোর্ডের প্রতিনিধি জয় শাহ

শুভেন্দু দাবি করেছেন, ‘এই সবই চক্রান্ত। পুলিশের অনুমতিতে মিছিল। তবু পুলিশের দেখা নেই। ডায়মন্ড হারবার থেকে অফিসার এনে এখানে বসিয়েছে। কিন্তু আর কয়েকদিন পরই সব থাকবে নির্বাচন কমিশনের হাতে। তখন বুঝতে পারবেন আসল খেলা।’ এদিন রোড শো করার সময়ই অবশ্য শুভেন্দু ফের তৃণমূলকে আক্রমণ করে বলেন, ‘নিজেদের স্বার্থসিদ্ধির জন্য পুলিশকে কাজে লাগানো হচ্ছে। পঞ্চায়েত নির্বাচনে মধ্যরাতে গণনায় কারচুপি করেছে তৃণমূল। কী ভাবে পঞ্চায়েতের ক্ষমতা দখল করেছে তৃণমূল, তা জানি। আমি এই দল ত্যাগ করে গর্বিত।’

শুভেন্দু বারবার অভিষেকের বিরুদ্ধে নিশানা করেন। অথচ তাদের পরিবার তৃণমূল জমানায় যে সুবিধা নিয়েছে,তেমনটা আর দুটি নেই। তৃণমূলীদের প্রশ্ন শুভেন্দুকে আর কোন পদ দিতে হত ?মমতা বন্দোপাধ্যায় কি তাকে মুখ্যমন্ত্রী করে নিজে সরে দাঁড়ালে তিনি খুশি হতেন? ক্ষুব্ধ তৃণমূলীদের অনেকের দাবি, তৃণমূলে একটাই নেত্রী। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি যাঁকে চান তাঁকে নেতা বানান। আর কটা দিন গেলেই এই সব নেতাদের সব লম্ফো -ঝম্প শেষ হয়ে যাবে।

দাদার কোনও অনুগামী নেই।ওরা সব বিজেপির লোক। এখন দাদার পাশে আর কেউ নেই। সে কারণেই আর সভা সামলাতে পারছে না। অসহায় হয়ে পড়ছে। আগামীতে আরও হবে। নিজের দিকে না তাকিয়ে যারা অন্যের দিকে তাকে তাদের এমন হালই হয়। কাঁচের ঘরে বসে ঢিল মারলে তার পরিণতি ভালো হয় না। বলছেন তৃণমূলপন্থীরা।

আরও পড়ুন: অল্পের জন্য শতরান ফস্কালেও অস্ট্রেলিয়ায় অসামান্য নজির পন্তের, ম্যাচ বাঁচাতে লড়ছে ভারত

Share on facebook
Share on twitter
Share on linkedin
Share on telegram
Share on whatsapp
Share on email
Share on reddit
Share on pinterest