Site icon The News Nest

করোনা আক্রান্ত ২৬ নার্স, ৩ চিকিৎসক- সিল করা হল মুম্বইয়ের ওখার্ড হাসপাতাল

Wockhard hospi close

মুম্বই: করোনা আক্রান্ত রোগীর চিকিৎসা করতে করতেই সংক্রমণ ছড়ালো ডাক্তার-নার্সদের মধ্যে। সূত্রের খবর, মুম্বইয়ের ওকহার্ড হাসপাতালে কোভিড-১৯ পজিটিভ তিন জন ডাক্তার। সংক্রমণ ছড়িয়েছে অন্তত ২৬ জন নার্সের মধ্যেও। সংক্রমণ যাতে বাইরে ছড়িয়ে না পারে সেই আশঙ্কায় বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে হাসপাতালের দরজা। ওকহার্ড হাসপাতাল ও লাগোয়া চত্বরকে ইতিমধ্যেই সংক্রামিত এলাকা বলে ঘোষণা করেছে বৃহন্মুম্বই মিউনিসিপ্যাল কর্পোরেশন।

হাসপাতাল সূত্রে খবর, সংক্রামিতদের আলাদা আইসোলেশন ওয়ার্ডে রেখে চিকিৎসা চলছে। এই মুহূর্তে হাসপাতালে রোগী ভর্তি বন্ধ রাখা হয়েছে। কোনও রোগী, ডাক্তার-নার্স বা স্বাস্থ্যকর্মীদের হাসপাতালে বাইরে যাওয়ার অনুমতি নেই। সকলের নমুনা পাঠানো হয়েছে পরীক্ষার জন্য। যতক্ষণ না পর্যন্ত হাসপাতালের বাকি রোগী ও কর্মীদের রিপোর্ট পাওয়া যাচ্ছে, হাসপাতালের দরজা বন্ধই রাখা হবে বলে জানা গেছে।

আরও পড়ুন: ৪৮ ঘন্টার মধ্যে করোনাকে খতম করছে উকুন মারার ওষুধ! চাঞ্চল্যকর দাবি অস্ট্রেলিয়ান গবেষকদের

হাসপাতাল সূত্রে খবর, ৭০ বছর বয়সী এক কোভিড-১৯ পজিটিভ রোগীর দেখাশোনা করতে গিয়েই দু’জন নার্সের মধ্যে সংক্রমণ ছড়িয়ে পড়ে। সেখান থেকেই সংক্রামিত হন বাকিরা। তিনজন ডাক্তারও কোভিড-১৯ পজিটিভ। আক্রান্ত নার্সদের কোয়ার্টার থেকে হাসপাতালে নিয়ে এসে আলাদা কেবিনে রাখা হয়েছে। দু ‘জন আক্রান্ত ডাক্তারের মধ্যে একজনের চিকিৎসা চলছে সেভেনহিলসে, অন্যজনের এসএল রাহেজা হাসপাতালে। আরও ২৭০ জন স্বাস্থ্যকর্মীর লালারসের নমুনা পাঠানো হয়েছে ল্যাব-টেস্টের জন্য।

বৃহন্মুম্বই কর্পোরেশনের এক শীর্ষ কর্তা সুরেশ কাকানি বলেছেন, “খুবই দুঃখজনক ঘটনা। ডাক্তার-নার্সদের আরও সচেতন হওয়া দরকার ছিল।” যদিও আক্রান্ত নার্স ও ইউনাইটেড নার্স অ্যাসোসিয়েশনের দাবি, করোনা আক্রান্ত রোগীর চিকিৎসার জন্য আলাদা কোনও সুরক্ষার ব্যবস্থাই রাখা হয়নি হাসপাতালে। সংক্রমণ ঠেকানোর মতো পোশাক, পিপিই কিছুই ছিল না। প্রথম যখন একজন নার্সের মধ্যে সংক্রমণ ধরা পড়ে তাঁকেও বাকিদের থেকে আলাদা রাখা হয়নি। সেই কারণেই বাকি নার্সদের মধ্যে দ্রুত সংক্রমণ ছড়িয়ে পড়েছে।

আরও পড়ুন: ৬৮ বছরের শাসনে এই নিয়ে পঞ্চমবার! জাতির উদ্দেশে বিরল ভাষণ রানি এলিজাবেথের

হাসপাতাল সূত্রে জানানো হয়েছে, ওপিডি ও অন্যান্য জরুরি পরিষেবা বন্ধ রাখা হয়েছে। হাসপাতালের ভেতর ও বাইরের এলাকা স্যানিটাইজ করা হচ্ছে। হাসপাতাল থেকে বাইরে ও হাসপাতালের ভেতরে যাতে এখন কেউ ঢুকতে না পারেন সেই কারণে দু’জন পুলিশকর্মী মোতায়েন করা হয়েছে।

দেশে মারণ ভাইরাসের ছড়িয়ে পড়া আটকাতে ইতিমধ্যেই ২০ পাতার একটি পরিকল্পনা প্রকাশ করেছে স্বাস্থ্য মন্ত্রক। অন্তত চার সপ্তাহ কোনও নতুন করোনার সংক্রমণ ধরা না পড়লে তবেই ওই পরিকল্পনা অনুযায়ী ‘হটস্পট’গুলিকে বন্ধ করা হবে। মুম্বইয়ে এখনও পর্যন্ত সাড়ে চারশোর বেশি মানুষ আক্রান্ত হয়েছেন করোনা ভাইরাসে। মহারাষ্ট্রে সংক্রমণের শিকার ৭৮১ জন। এশিয়ার বৃহত্তম বসতি এলাকা ধারাভিতেও পাঁচজনের শরীরে সংক্রমণ ধরা পড়ার পর আতঙ্ক আরও বেড়েছে। গত সপ্তাহে ধারাভির এক আক্রান্তের মৃত্যু হয়।

আরও পড়ুন: সামনে কঠিন লড়াই, দলের প্রতিষ্ঠা দিবসে দেশবাসীকে বার্তা প্রধানমন্ত্রীর

Exit mobile version