Site icon The News Nest

বউ শাঁখা, সিঁদুর পরে না, এর মানে সে বিয়ে মানে না, এই হাইকোর্ট কি বলল…!

The News Nest: হিন্দু মতে বিয়ে করে শাঁখা-সিঁদুর না পরলে এটা ধরে নিতে হবে নিজের বিবাহিত স্ট্যাটাস মানে না সেই মহিলা। এমনটাই বলল গৌহাটি হাইকোর্ট। এক ব্যাক্তিকে ডিভোর্সের আবেদন করার অনুমতি দিয়ে এই কথা বলে প্রধান বিচারপতির ডিভিশন বেঞ্চ।

এদিন প্রধান বিচারপতি অজয় লাম্বা ও বিচারপতি সৌমিত্র সইকিয়ার ডিভিশন বেঞ্চে ছিল মামলার শুনানি। আদালত বলেছে, যে একেবারে যদি কেউ শাঁখা ও সিঁদুর পরতে মানা করে দেয়, তার মানে হল যে সেই মহিলা তাঁর স্বামীর সঙ্গে বিবাহিত থাকতে চান না।যিনি এমনটা করেন তাঁকে জোর করে বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ করে রাখা কার্যত হেনস্থার স্বরূপ বলে জানিয়েছে আদালত।

আরও পড়ুন : আচ্ছে দিন !ফের ঊর্ধ্বমুখী জ্বালানির দাম, এখনও ডিজেল দামি পেট্রলের থেকে

এর আগে পারিবারিক আদালত আবেদনকারীকে ডিভোর্স দেয় নি। পারিবারিক আদালত বলেছিল যে তাঁর স্ত্রী ভদ্রলোক কোনও হেনস্থা করেনি। হাই কোর্ট বলে যে ভদ্রলোক নিম্ম আদালতে বলেছে যে তাঁর স্ত্রী শাঁখা-সিঁদুর পরতে চায় না। সেই কথা অস্বীকারও করেনি তাঁর স্ত্রী।

আদালত বলেছে যে হিন্দু মতে বিয়ের ক্ষেত্রে শাঁখা ও সিঁদুর না পরা মানে এটা বোঝায়  যে মহিলা দেখাতে চান যে তিনি অবিবাহিত বা আবেদনকরীর সঙ্গে বিয়ের কথা স্বীকার করতে চান না। 

ফ্য়ামিলি কোর্টে আবেদনকারীর পিটিশন খারিজ করে দেয়। তবে সেই সিদ্ধান্ত বদলে দিল গৌহাটি হাইকোর্ট। মহিলা দাবি করেন যে তাঁর ওপর পণের জন্য চাপ আসত। তাঁকে খেতে দেওয়া হত না ও নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিস দেওয়া হত না বলেও অভিযোগ করেন তিনি। 

২০১৩ সালে শ্বশুরবাড়ি ছেড়ে চলে যান মহিলা ও স্বামী ও তাঁর পরিবারের বিরুদ্ধে আইপিসি-র ৪৯৮-এ ধারায় মামলা দায়ের করেন। কিন্তু এই মামলায় বেকসুর খালাস পেয়ে যায় ভদ্রলোক ও তার পরিবার। এরপরই হেনস্থার অভিযোগ করে ডিভোর্সের মামলা করেন এই ভদ্রলোক। 

আরও পড়ুন : বিশ্বের অন্যতম দামি বাইক হার্লে ডেভিডসনে সওয়ার প্রধান বিচারপতি! ছবি ভাইরাল সোশ্যাল মিডিয়ায়

Exit mobile version