Site icon The News Nest

চিন-নেপালের পর ভারতের কৃষকদের জল দেওয়া বন্ধ করল ভুটান!

The News Nest: কলকাঠি নাড়ছে চিন।তাদের সঙ্গে সংঘাত কোথায় পৌঁছবে, তা এখনই বলা যাচ্ছে না। তবে উত্তেজনার পারদ চড়ছে। আগেই ভারতের তিনটি এলাকাকে অন্তর্ভুক্ত করে নতুন মানচিত্র আগেই সংসদে পাশ করিয়েছিল নেপাল সরকার। বাংলাদেশকে ‘পাশে’ রাখতে সে দেশ থেকে আমদানি করা পণ্যের উপর প্রায় ৯৭% শুল্ক মকুবের সিদ্ধান্ত নিয়েছে চিন। অর্থাৎ প্রতিবেশী নিয়ে কার্যত প্রবল চাপেই রয়েছে ভারত। এই পরিস্থিতিতে নতুন ‘দোসর’ হিসেবে যোগ দিল ভুটান!

সীমান্ত নিয়ে জেরবার ভারতের কৃষকদের চাষের জল দেওয়া বন্ধ করে দিল ভুটান। বিষয়টি নিয়ে প্রতিবাদে নেমেছেন গরীব চাষিরা। কেন্দ্রীয় সরকারের হস্তক্ষেপ চাইছেন তাঁরা। ভুটান সরকার অবশ্য মুখে কুলুপ এঁটেছে।

আরও পড়ুন : ল্যাম্বরগিনি চড়ে বাড়ি বাড়ি আম বিলি করছেন খোদ মালিক! ঝড়ের বেগে ভাইরালে আর দোষ কী

ভারতের বাসিন্দা চাষিদের জল অবশ্য আজ থেকে দিচ্ছে না ভুটান। সেই ১৯৫৩ সাল থেকে অসমের বাকসা জেলায় একটি সেচ চ্যানেল দিয়ে এ দেশের কৃষকদের জল দিত ভুটান। আর সেই জল দিয়ে চাষ করেই পেট চলত প্রায় ২৬ গ্রামের চাষিদের।

হঠাতই সেই জল দেওয়া বন্ধ করে দেয় ভুটান। মাথায় হাত চাষিদের। কীভাবে মিটবে এই সমস্যা, তা নিয়ে কিছুই ভেবে পাচ্ছেন না তাঁরা। লকডাউনে এমনিতেই হাতে পয়সা নেই, তার মধ্যে বন্ধ চাষ। খাবার জুটবে কী করে, সেটাই এখন চিন্তা কালীপুর, বোগাজুলি ও কালানদী গ্রামের চাষিদের।

সরকারের তরফে এখনও কোনও বন্দোবস্ত না নেওয়ায় চাষিরাই ওই চ্যানেল রক্ষণাবেক্ষণ দায়িত্বে থাকা কৃষক সমিতির ব্যানারে জেলা প্রশাসনকে ডেপুটেশন জমা দিয়েছেন। কেন্দ্রীয় সরকারের কাছে আর্জি জানিয়েছেন বিষয়টিতে অবিলম্বে হস্তক্ষেপ করার।

কূটনীতিকদের একাংশের মতে, প্রতিবেশী দেশগুলিকে হাতিয়ার করেই ভারতকে কোণঠাসা করার কৌশল নিয়েছে চিন। পাকিস্তান তো বটেই, উত্তরে নেপাল, দক্ষিণে শ্রীলঙ্কাতেও ক্রমশই বাড়ছে চিনা প্রভাব। পূর্বে বাংলাদেশকে ইতোমধ্যে নিশানা করেছে চিন। বাংলাদেশের বাজারে ব্যাপক বিনিয়োগ বাড়িয়েছে চিন। এবার ভুটানও কি চিনের আনুগত্য নিচ্ছে, চিন্তায় বিশেষজ্ঞরা।

অন্যান্য সীমান্ত নিয়ে চিন্তার মধ্যেই গলওয়ানে রক্তক্ষয়ী সংঘাতের পর থেকেই আলোচনা চলছে নয়াদিল্লি এবং বেজিং-এর মধ্যে। কথা হচ্ছে সামরিক এবং কূটনৈতিক, দুই স্তরেই। কখনও সরকারি বিবৃতিতে দাবি করা হচ্ছে ‘উত্তেজনা প্রশমন’-এর কথা তো কখনও পারদ চড়ছে দোষারোপ ঘিরে। এ সবের মধ্যেই বড় প্রশ্ন, গলওয়ান উপত্যকার বর্তমান ছবিটা কী? সেখানে কি এখনও আছে লাল ফৌজের উপস্থিতি? বুধবার এই প্রশ্নগুলিই উস্কে দিয়েছে একাধিকসূত্র মারফত প্রকাশ্যে আসা কিছু উপগ্রহ চিত্র!

কেউ কেউ বলছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্রমোদী দেশের মানুষের আবেগে হাওয়া দিতে গিয়ে চিনের সুবিধা করে দিয়েছেন। তিনি বলেছেন সাইন ভারতের মাটিতে ঢুকে আসেনি। তার এই মন্তব্যকে কাজে লাগাচ্ছে চিন। গালওয়ানকে তারা নিজেদের বলে দাবি করেছে। অনেকে বলছেন জয়শঙ্করের মত দুঁদে বিদেশমন্ত্রী থাকার পরও ভারত সামাল দিতে পারছে না কেন? এর জবাবে কেউ কেউ বলেছেন, চিত্রনাট্য যদি খুব দুর্বল হয় তাহলে কেবল অভিনয় দিয়ে বাজিমাত করা যায় না। জয়শঙ্করকে চলতে হচ্ছে গেরুয়া স্ক্রিপ্টে। ফলে অসুবিধা তো হবেই !

আরও পড়ুন : ধর্ষণের পরই ভারতীয় নারীরা ঘুমিয়ে পড়েন না, এই যুক্তিতে হাইকোর্টে জামিন পেল অভিযুক্ত

Exit mobile version