Site icon The News Nest

‘আসামী’ শি জিনপিং, ‘সাক্ষী’ মোদি ও ট্রাম্প! মামলা দেশের কোন আদালতে জানলে চোখ কপালে উঠবেই

modi

The News Nest: চিনা প্রেসিডেন্টের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের হল বিহারের বেতিয়া জেলার সিভিল আদালতে। মামলাটি দায়ের করেছেন আইনজীবী মুরাদ আলী। তিনি বিহারের বাসিন্দা। মামলার সাক্ষী হিসেবে তিনি নাম দিয়েছেন- মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প এবং ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির।

মুরাদ আলির অভিযোগ শুনতে রাজি হয়েছে আদালত। শুনানির দিন দেওয়া হয়েছে ১৬ জুন। আইনজীবী মুরাদ আলির অভিযোগ, বিশ্বজুড়ে করোনাভাইরাস ছড়ানোর কাজটা হাত মিলিয়ে করেছে চীন এবং বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা। সে কারণে লাখ লাখ মানুষের মৃত্যু হয়েছে।

আরও পড়ুন : করোনা সংকট : কলকাতা আবার দেশকে নেতৃত্ব দেবে,ভার্চুয়াল সভায় মমতার সুর নমোর গলায়!

ভারতীয় দণ্ডবিধির ২৬৯, ২৭০, ২৭১, ৩০২, ৩০৭, ৫০০, ৫০৪ এবং ১২০ (খ ) ধারায় মামলা করা হয়েছে। মুরাদ আলির অভিযোগ- গণমাধ্যমে এবং সামাজিক যোগাযোগের মাধ্যমে প্রচারিত হওয়া তথ্যের ভিত্তিতে অভিযোগ করেছেন।

এটা অবশ্য প্রথম নয়, করোনাভাইরাস ছড়িয়ে দেওয়ার অভিযোগে এর আগেও চীনের প্রেসিডেন্ট শি জিনপিংয়ের নামে মামলা হয়েছিল ভারতের বিহারে।

শি জিনপিংয়ের বিরুদ্ধে আমেরিকায় একাধিক মামলা দায়ের হয়েছে। সেসব মামলার শুনানিও হয়েছে। কিন্তু জিনপিংয়ের ডাক পড়েনি। এমনকী তাঁর কোনও ভোগান্তিও হয়নি। চিনের প্রেসিডেন্ট শি জিনপিং এবং ভারতীয় মুখপাত্র সান ওয়েডংয়ের বিরুদ্ধে করোনা সংক্রমণ ছড়ানোর অভিযোগে মামলা দায়ের হয়েছে ভারতেও। ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে সেসব মামলার শুনানিও হয়েছে। কিন্তু লাভ কিছুই হয়নি।

মারণ ভাইরাসের জন্য বহু দেশে লকডাউন চলছে। দেশের অর্থনীতি ধুঁকছে কাজ হারিয়েছেন বহু মানুষ। দুবেলা খাবার জুটছে না বহু মানুষের। লকডাউনের জেরে প্রবাসী শ্রমিকদের অনেক কষ্ট সহ্য করতে হয়েছে। আর এই যাবতীয় দুর্ভোগের জন্য দায়ি চিন। এমনটাই মনে করেন আইনজীবী। তাই তিনি সরাসরি আইনের দ্বারস্থ হয়েছেন। কোনওভাবেই চিনকে ছেড়ে দিতে রাজি নন তিনি। এখানেই শেষ নয়। মুরাদ আলি তাঁর দায়ের করা মামলায় দুজন সাক্ষী হিসাবে রেখেছেন নরেন্দ্র মোদী ও ডোনাল্ড ট্রাম্পকে। আর এসবের থেকেও বড় কথা, আদালত তাঁর মামলার শুনানিতে সায় দিয়েছে। ১৬ জুন এই মামলার শুনানি হবে বলে জানা গিয়েছে।

আরও পড়ুন : চিনা সেনা কী তবে সত্যিই ৮ কিমি ঢুকে বসে আছে? চুপ দিল্লি, নীরব শাহ- নমোও

Exit mobile version