Site icon The News Nest

অসমে ধাক্কা বিজেপির, এনডিএ ছেড়ে কংগ্রেসের মহাজোটে শামিল বিপিএফ

assam

ভোট ঘোষণা হতেই অসমে ধাক্কা খেল বিজেপি। এনডিএ জোট ছেড়ে বেরিয়ে গেল শরিক দল বড়োল্যান্ড পিপলস ফ্রন্ট বা বিপিএফ। শনিবারই বিপিএফের সুপ্রিমো হাগ্রামা মহিলারি জানিয়ে দিয়েছেন, এবারের নির্বাচনে কংগ্রেস নেতৃত্বাধীন মহাজোটে শামিল হচ্ছেন তাঁরা। আসামের মুখ্যমন্ত্রী সর্বানন্দ সোনওয়ালের মন্ত্রিসভায় তিন জন মন্ত্রী রয়েছে বিপিএফের। সেই জায়গায় বড়োল্যান্ডের এই শরিক দলের প্রস্থান নিঃসন্দেহে বড় ধাক্কা বিজেপির।

শনিবার হাগ্রামা জানিয়েছেন, “শান্তি-একতা এবং উন্নয়নয়ের জন্য চাই স্থায়ী সরকার। আসামে দুর্নীতিমুক্ত সরকার চাই। তাই বিপিএফ সিদ্ধান্ত নিয়েছে তারা। বিজেপির সঙ্গে সব সম্পর্ক ছিন্ন করে আগামী বিধানসভা নির্বাচনে মহাজোটের শরিক হয়ে লড়বে বিপিএফ।” বিভিন্ন সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্মে এই ঘোষণা করেছেন হাগ্রামা। তার এই সিদ্ধান্ততে স্বাগত জানিয়েছেন কংগ্রেস সাংসদ প্রদ্যুত বরদলুই। তিনি জানিয়েছেন, কংগ্রেস জোটই ক্ষমতায় আসছে এবং বিপিএফকে সঙ্গী হিসাবে পেয়ে গর্বিত।

২০০৫ সালে অসমে এই দল তৈরি হয়েছিল। শেষ বিধানসভা নির্বাচনে অসমের ১২৬টি আসনের মধ্যে ১২টি আসনে জয় পেয়েছিল তারা। শুরুর দিকে কংগ্রেসের সঙ্গে জোটে ছিল বড়োভূমির এই দলটি। পরে বিজেপি-র সঙ্গে তাদের জোট তৈরি হয়। কিন্তু বড়োল্যান্ড টেরিটোরিয়াল কাউন্সিলের নির্বাচনে বিজেপি জোটসঙ্গী বিপিএফ-কে দূরে সরিয়ে হাত ধরে বড়োভূমির অন্য একটি দলের।

আরও পড়ুন: অযথা যাতায়াত রুখতে স্বল্প দূরত্বের ট্রেনে ‘একটু বেশি’ ভাড়া নেওয়া হচ্ছে- সাফাই দিয়ে নোটিশ রেলওয়ের

কিন্তু তার পরেও গত বছর ডিসেম্বরে বড়োল্যান্ড কাউন্সিলের নির্বাচনে ৪০টি আসনের মধ্যে ১৭টিতে জয় পায় বিপিএফ। একক বৃহত্তম দল হিসাবে উঠে আসার ফলে রাজনৈতিক গুরুত্ব অনেকটাই বেড়ে যায় দলের। তাতেও বিজেপি-র মন গলেনি। স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী এই ভোটের পর বড়োভূমির অন্য দল ‘ইউনাইটেড পিপলস পার্টি লিবারাল’-কে ১২টি আসন জেতার জন্য শুভেচ্ছা জানান।

সম্পর্ক তিক্ততার পর্যায়ে পৌঁছয় এই মাসের শুরুর দিকে। অসমের অর্থমন্ত্রী হিমন্ত বিশ্বশর্মা স্পষ্ট করে দেন, আসন্ন বিধানসভা নির্বাচনে বিপিএফ-এর সঙ্গে হাত মিলিয়ে লড়বে না গেরুয়া শিবির। সেই পথ দিয়েই বিজেপি-র সঙ্গ ত্যাগের কথা জানাল বিপিএফ।

তারপরেই গেরুয়া শিবিরের বিরুদ্ধে তোপ দাগলেন বিপিএফ নেত্রী প্রমীলা রানি ব্রহ্ম। দাবি করলেন, তাঁদের অত্যন্ত ‘অপমান করেছেন’ এক বিজেপি নেতা। সংবাদসংস্থা এএনআইকে তিনি বলেন, ‘বিজেপির রঞ্জিত দাস আমাদের অত্যন্ত অপমান করেছেন। পরবর্তী নির্বাচনগুলিতে আমরা বিজেপির সঙ্গে যাব না। আমরা কংগ্রেসের নেতৃত্বাধীন জোটে সামিল হওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছি।’ রঞ্জিত বিধানসভার স্পিকারও ছিলেন।

২০১৬ সালের বিধানসভা ভোটে এনডিএ জোট ৮৬ টি আসন পেয়েছিল। একক সংখ্যাগরিষ্ঠতার থেকে ঢের বেশি আসন পেয়ে অসমের ক্ষমতা দখল করেছিল বিজেপির নেতৃত্বাধীন জোট। ৮৪ টি আসনে লড়াই করে ৬০ টিতে জিতেছিল বিজেপি। অসম গণ পরিষদ (অগপ) এবং বিডিএফের ঝুলিতে এসেছিল যথাক্রমে ১৪ এবং ১২ টি আসন। মুখ্যমন্ত্রী হন সর্বানন্দ সোনেয়াল।

আরও পড়ুন: লোকদেখানো পাত পেড়ে খাওয়া নয়, বারাণসীতে লঙ্গর-ভোজে সামিল প্রিয়াঙ্কা, বার্তা ‘খাঁটি ধর্মের’

Exit mobile version