Site icon The News Nest

সুশান্তের মৃত্যুকে হাতিয়ার করে বিহারে ভোটপ্রচার বিজেপির! শুরু বিতর্ক

bjp

স্টিকারে সুশান্ত সিং রাজপুতের ছবি। তাতে লেখা – ‘আমরা ভুলিনি, আর ভুলতেও দেব না।’ পাশেই পদ্মফুলের ছবি। বিহার বিজেপির সেই ‘জাস্টিস ফর সুশান্ত’ অভিযান ঘিরে বিধানসভা নির্বাচনের আগে বিহারে শুরু হয়েছে রাজনৈতিক তরজা।

বিহার বিজেপির সাংস্কৃতিক সেলের তরফে সেই স্টিকার তৈরি করা হয়েছে। মোট ৩০ হাজারটি এই ধরনের স্টিকার ছাপা হয়েছে। বিহারের বিজেপি নেতাদের গাড়িতে এবং বিভিন্ন যানবাহনে এই স্টিকারগুলি লাগানো থাকবে। শুধু তাই নয়, বিহার বিজেপি প্রয়াত অভিনেতার ছবি-সহ ‘জাস্টিস ফর সুশান্ত’ লেখা ৩০ হাজার মাস্কও বিতরণ করেছে। যা কিনা ভোটের প্রচারে গিয়ে গেরুয়া শিবিরের কর্মীরা পরবেন। অর্থাৎ সব মিলিয়ে সুশান্তের প্রতি বিহারবাসীর ভালবাসাকে পুরোপুরি কাজে লাগাতে চাইছে বিজেপি।দলের সাংস্কৃতিক সেলের আহ্বায়ক বরুণ কুমার সিং বলেন, ‘জুন থেকেই আমরা সুশান্তের ন্যায়বিচারের জন্য আমরা প্রচার করছি। উনি যুব প্রজন্মের হৃদয়ে রাজত্ব করতেন।’

আরও পড়ুন:  দেশের অর্থনীতির ব্যর্থতার দায় ঈশ্বরের ! নির্মলাকে কটাক্ষ করলেন তাঁরই স্বামী

সুশান্তের মৃত্যু যে রাজনীতির ইস্যু হতে চলেছে সে ইঙ্গিত অবশ্য আগেই মিলেছিল। নিন্দুকেরা বলেন, অভিনেতার মৃত্যুর তদন্তে বিহার পুলিশের অতি সক্রিয়তা, সিবিআই তদন্তের দাবিতে বিহারের মুখ্যমন্ত্রীর আন্দোলন এবং সর্বোপরি কংগ্রেসশাসিত মহারাষ্ট্র পুলিশকে ক্রমাগত কাঠগড়ায় তোলার চেষ্টা, অনেক আগেই জানান দিচ্ছিল যে বিজেপি সুশান্তের মৃত্যুকে বিহারের ভোটে কাজে লাগাতে চাইবে। আর সেকারণে শুরু থেকেই এই মামলার তদন্তকে মহারাষ্ট্র এবং বিহার এই দুই রাজ্যের মধ্যেকার লড়াই হিসেবে তুলে ধরার চেষ্টা হয়েছে। আসলে সুশান্ত মামলায় মহারাষ্ট্র পুলিশের বিরুদ্ধে যত গাফিলতির অভিযোগ উঠেছে, বিহারে তত ব্যাকফুটে চলে গিয়েছে কংগ্রেস-আরজেডি (RJD) জোট। স্বাভাবিকভাবেই গেরুয়া শিবিরের নতুন পোস্টার দেখে তাঁরা ক্ষুব্ধ।

বিজেপির প্রচারকে ‘সস্তার রাজনীতি’ হিসেবে উল্লেখ করেছেন লালুপ্রসাদ যাদবের দলের মুখপাত্র মৃত্যুঞ্জয় তিওয়ারি। বলেন, ‘এটায় (সুশান্তের মৃত্যুর ঘটনা) রাজনৈতিক রং চড়ানো বাজে।’ তবে সুশান্তের ভাবাবেগ নিয়ে জনতার কাছে যাতে ‘ভুলবার্তা’ না যায়, তা নিশ্চিত করতে তিনি দ্রুত যোগ করেন, আরজেডি নেতা তেজস্বী যাদবই প্রথম সুশান্তের মৃত্যুর ঘটনায় সিবিআই তদন্তের দাবি তুলেছিলেন।

আরও পড়ুন: জাপানি সংস্থাগুলি আগ্রহ হারাচ্ছে, বাড়ছে খরচ! বুলেট ট্রেন প্রকল্প পিছোতে পারে আরও ৫ বছর

 

 

Exit mobile version