Site icon The News Nest

দেশে নভেম্বরে শীর্ষে যাবে সংক্রমণ, কম পড়বে বেড- ভেন্টিলেটর, বলছে সমীক্ষা

The News Nest: দেশে করোনার সংক্রমণ শীর্ষ ছুঁতে পারে মাঝ-নভেম্বরে। আর তখনই ঘাটতি দেখা দিতে পারে আইসিইউ-শয্যা ও ভেন্টিলেটরের। এমনই বলছে ইন্ডিয়ান কাউন্সিল অব মেডিক্যাল রিসার্চ (আইসিএমআর) গঠিত অপারেশনস রিসার্চ গ্রুপের সমীক্ষা। 

গবেষণায় দাবি করা হয়েছে, জন স্বাস্থ্যের উপর কড়া নজরদারি ৬০ শতাংশ পর্যন্ত বাড়ানো হলে সংক্রমণের শীর্ষে পৌঁছেও ৭০ শতাংশ পর্যন্ত কম রাখা যাবে আক্রান্ত এবং মৃতের সংখ্যা। সঠিক পদক্ষেপ গ্রহণ করলে কমবে আইসিইউ এবং ভেন্টিলেটরের চাহিদাও। তাও প্রায় ৮৩ শতাংশ। এখানে আরও একটি কথার উল্লেখ করা হয়েছে—কোনও রকম ‘ইন্টারভেনশন’ ছাড়া কোভিড ১৯ সংক্রমণ সামলানোর খরচ পড়বে জিডিপি-র ৪.৫শতাংশ। অন্যদিকে কড়াভাবে জন স্বাস্থ্য নজরদারিতে এই খরচ গিয়ে দাঁড়াবে জিডিপি-র ৬.২ শতাংশ।

আরও পড়ুন: পাকিস্তানে নিখোঁজ ভারতীয় দূতাবাসের দুই কর্মী, উদ্বিগ্ন নয়াদিল্লি

‘আনলক’ পর্বে ভারতের বিভিন্ন এলাকায় বিভিন্ন গতিতে ছড়াচ্ছে সংক্রমণ। কাল থেকে মুম্বইয়ে সীমিত সংখ্যায় লোকাল ট্রেন চালু হবে জরুরি পরিষেবার কর্মীদের জন্য। সমীক্ষাটির মতে, জনস্বাস্থ্য পরিকাঠামোর আওতা ৮০ শতাংশ পর্যন্ত বাড়ানো গেলে অতিমারির প্রকোপ কমতে পারে। লকডাউনের সময়ে পরিকাঠামো যে ভাবে বেড়েছে, তাতে শীর্ষ ছোঁয়ার পরে মোট আক্রান্তের সংখ্যা ৭০% এবং নতুন রোগীর সংখ্যা ২৭% কমে আসতে পারে। করোনার চিকিৎসায় ৬০% মৃত্যু ঠেকানো গিয়েছে। তার এক-তৃতীয়াংশই সম্ভব হয়েছে জরুরি চিকিৎসার ঘাটতি পূরণের ফলে।

গত কাল প্রকাশিত ‘কোভিড প্রোটোকল’-এ বিভিন্ন অবস্থার সঙ্কটজনক রোগীদের চিকিৎসায় রেমডেসিভিয়ার ও টসিলিজ়ুম্যাব ওষুধ এবং প্লাজ়মা থেরাপির কথা বলেছিল স্বাস্থ্য মন্ত্রক। তবে আজ কেন্দ্র জানিয়েছে, ওই প্রতিটি চিকিৎসা কত দূর কার্যকর হবে, তা নিয়ে আপাতত সীমিত জ্ঞানই রয়েছে।

আরও পড়ুন: সবাই করোনা আতঙ্কে অস্থির, পর পর আট দিন বাড়ল পেট্রল-ডিজেলের দাম

Exit mobile version