Site icon The News Nest

করোনাভাইরাসের সঙ্গে বেঁচে থাকার অভ্যাস করতে হবে, স্পষ্ট জানিয়ে দিল স্বাস্থ্যমন্ত্রক

Lav Agarwal

নয়াদিল্লি: ভাইরাসর সঙ্গে বেঁচে থাকার অভ্যাস করতে হবে। শুক্রবার এই কথা স্পষ্ট জানিয়ে দিল স্বাস্থ্যমন্ত্রক।

লকডাউনের ৪৪ দিন কেটে গিয়েছে। শিথিল হয়েছে কিছু নিয়মকানুন। বিভিন্ন রাজ্য থেকে ফিরে আসতে শুরু করেছেন পরিযায়ী শ্রমিকেরা। যাঁদের অনেকেই সংক্রমিত বলে ধরে নিচ্ছে স্বাস্থ্য মন্ত্রক। ফলে আগামী দিনে করোনা-সংক্রমণ আরও বাড়বে, এমনটাই আশঙ্কা তাদের। এই অবস্থায় সাংবাদিক বৈঠকে স্বাস্থ্য মন্ত্রকের যুগ্মসচিব লব আগরওয়াল বলেন, ‘‘কী করে করোনাভাইরাসকে সঙ্গে নিয়েই বাঁচতে হবে, তা আমাদের শিখতে হবে। এটাই বড় চ্যালেঞ্জ।’’

আরও পড়ুন: বাংলার শ্রমিকরা ঘরে ফিরতে চাইছে, সাহায্য করুন, মমতাকে চিঠি অমিত শাহের

কয়েক দিন ধরেই দেশে ফি দিন প্রায় তিন হাজার ব্যক্তি সংক্রমিত হয়েছেন। সংখ্যাটা আরও বাড়বে বলে গত কালই সতর্ক করেছেন এমসের ডিরেক্টর রণদীপ গুলেরিয়া। এমনকি দেশে রোগীর সংখ্যা দ্বিগুণ হওয়ার দিনও কমে গিয়েছে। এখন কত দিনে রোগীর সংখ্যা দ্বিগুণ হচ্ছে তা অবশ্য আজ জানাতে চাননি লব। তবে সূত্রের মতে, ওই হার ১০ ও ১১ দিনের মাঝে গিয়ে দাঁড়িয়েছে। লবের মতে, মহারাষ্ট্র, গুজরাত, দিল্লি, তামিলনাড়ুর মতো রাজ্যে প্রচুর মানুষ নতুন করে সংক্রমিত হচ্ছেন।

শনিবার ভোরের পরিসংখ্যান অনুযায়ী, দেশে করোনা আক্রান্ত ৫৯,৬৬২, মৃত ১৯৮১। সেই পরিপ্রেক্ষিতে কেন্দ্রের এই বক্তব্য যথেষ্ট ইঙ্গিতবাহী বলে মনে করা হচ্ছে। অনেক বিশেষজ্ঞ মনে করছেন যে আগামী কিছুদিনের মধ্যে যে দেশ থেকে করোনাভাইরাস নির্মূল হবে না, কার্যত তা স্বীকার করে নিল কেন্দ্রীয় সরকারের স্বাস্থ্যমন্ত্রক। বিশেষজ্ঞদের মতে, আজ না-হোক কাল, গোষ্ঠী সংক্রমণ হবেই। তখন মানুষের মধ্যে গোষ্ঠী প্রতিরোধ ক্ষমতা তৈরি হবে। পরবর্তী ধাপে করোনা সংক্রমণ স্থানীয় রোগে পরিণত হবে। তখন আর চিন্তার কিছু থাকবে না।

আরও পড়ুন: বালোচিস্তানে ল্যান্ডমাইন বিস্ফোরণ, হত মেজর-সহ ৬ পাক সেনাকর্মী

Exit mobile version