Site icon The News Nest

রাফাল-চুক্তির শর্ত মানেনি ফরাসি সংস্থা দাসো, চাঞ্চল্যকর রিপোর্ট CAG’র

রাফাল ফাইটার জেট নির্মাতা সংস্থা ফ্রান্সের দাসো অ্যাভিয়েশনের সঙ্গে ৩৬টি রাফাল যুদ্ধবিমান কেনার চুক্তি হয়েছিল ভারতের। তার মধ্যে প্রথম দফায় পাঁচটি রাফাল চলে এসেছে দেশে। কিন্তু রাফাল নির্মাতা দাসো চুক্তির শর্ত পুরোপুরি পালন করেনি বলে এবার অভিযোগ তুলল দেশের কন্ট্রোলার অ্যান্ড অডিটর জেনারেল (সিএজি)।

রাফালে প্রস্তুতকারী সংস্থা দাসোর সঙ্গে চুক্তির শর্ত ছিল, চুক্তি-মূল্যের ৫০ শতাংশের  কাজের বরাত ভারতের কোনও সংস্থাকে দেবে। অথবা প্রযুক্তিগত ভাবে সাহায্য করবে। কিন্তু সেই শর্ত মানা হচ্ছে না বলেই প্রকাশিত হয়েছে ক্যাগ রিপোর্টে। বুধবার সংসদে প্রকাশিত রিপোর্টে CAG জানিয়েছে, দাসো ও এমবিডিএ সংস্থার প্রাথমিক প্রস্তাব ছিল, চুক্তির শর্তের ৩০ শতাংশ পূরণ করতে তারা ডিআরডিও-কে উন্নত মানের প্রযুক্তি দেবে। কিন্তু সেই সাহায্য এখনও পাওয়া যায়নি। এমনকী, কবে পাওয়া যাবে, তা নিয়েও নিশ্চিতভাবে ওই ফরাসি সংস্থা কিছু জানায়ওনি। প্রসঙ্গত, হালকা ওজনের যুদ্ধ বিমান তৈরি করতেই ওই প্রযুক্তি চেয়েছিল ডিআরডিও।

আরও পড়ুন:  বিহার নির্বাচনে তুরুপের তাস সুশান্ত! তদন্তকারী পুলিশ অফিসার এ বার এনডিএ প্রার্থী!

রাফাল-চুক্তি প্রসঙ্গে সিএজি তার রিপোর্টে বলেছেন, সব বিদেশি সংস্থাই চুক্তি করার সময় নানা রকম প্রস্তাব দিয়ে থাকে। দেশীয় সংস্থার সঙ্গে গাঁটছড়া বাঁধার আগে তাদের প্রযুক্তি ও উন্নত সংস্করণ নিয়ে নানারকম আলোচনা করে। কিন্তু একবার চুক্তি হয়ে গেলে তারা আর সে বিষয়ে বিশেষ দায়বদ্ধতা দেখায় না। দাসো অ্যাভিয়েশনও সেই পথেই হাঁটছে বলে অভিযোগ সিএজি-র। ডিআরডিও তাদের তৈরি লাইট কমব্যাট এয়ারক্রাফ্টের জন্য কাবেরী ইঞ্জিন তৈরির ব্যাপারে প্রযুক্তিগত সাহায্য চেয়েছিল দাসোর কাছে। কিন্তু এখনও অবধি সেই টেকনোলজি ভারতকে দেয়নি ফরাসি যুদ্ধবিমান নির্মাতা সংস্থা। সিএজি-র দাবি, প্রতিরক্ষা মন্ত্রক আরও একবার সেই চুক্তির শর্ত মিলিয়ে দেখুক। কীভাবে বিদেশি সংস্থা তাদের দায় এড়াচ্ছে সেটা বিবেচনা করা দরকার।

উল্লেখ্য, ২০১৬ সালে ভারত ও ফ্রান্সের মধ্যে প্রায় ৫৯ হাজার কোটি টাকার চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়। যেখানে ৩৬টি রাফালে যুদ্ধবিমান কেনার বিষয় ঠিক হয়। ইতিমধ্যে পাঁচটি রাফালে ভারতীয় সেনাবাহিনীতে অন্তর্ভুক্ত হয়েছে। প্রসঙ্গত, রাষ্ট্রায়ত্ত সংস্থা হ্যালের পরিবর্তে অনিল আম্বানির সংস্থার সঙ্গে ফরাসি দাসোর চুক্তি স্বাক্ষরিত হওয়ায় দুর্নীতির অভিযোগ এনেছিলেন কংগ্রেস নেতা রাহুল গান্ধী। CAG রিপোর্টে আরও একবার সেই বিষয়টি উসতে দিল বলেই মনে করছে ওয়াকিবহাল মহল।

আরও পড়ুন: TIME ম্যাগাজিনের ১০০ প্রভাবশালী ব্যক্তিত্বের তালিকায় এবার ‘শাহিনবাগের দাদি’

Exit mobile version