Site icon The News Nest

ধর্ষণের চেষ্টা, জানাজানির ভয়ে ১৭ বছরের ভাইঝিকে খুন দিল্লির দম্পতির

murder story 647 112015010311

শ্যালিকার কন্যাকে ধর্ষণের চেষ্টা করেছিল মেসো। সেই কথা যাতে পাঁচকান না-হয়, সে জন্য সে ও তার স্ত্রী মিলে মেরেই ফেলল ১৭ বছরের মেয়েটিকে। কিশোরীকে খুন করে তার দেহ বিছানার বাক্সে লুকিয়ে রাখে তারা। দু জনকেই গ্রেফতার করেছে পুলিশ।

খুনের দায়ে অভিযুক্ত ভাকিল পোদার (৫১) এবং তাঁর স্ত্রীর সঙ্গে পড়াশোনার জন্য থাকত ওই কিশোরী। উত্তর-পূর্ব দিল্লির তাহিরপুর এলাকার লেপ্রোসি কলোনিতে থাকত তারা। সেখান থেকেই ২৫ অক্টোবর ওই কিশোরীর দেহ উদ্ধার হয়েছে বলে জানিয়েছে পুলিশ। ওই কিশোরী ভাকিলের শ্যালিকার মেয়ে।

পুলিশ জানিয়েছে, দিল্লিতে পড়াশোনা করত কিশোরীটি। সে তার ৫১ বছরের মেসো ভকিল পোদ্দার ও ৪৫ বছরের মাসির সঙ্গে থাকত। ২৩ অক্টোবর থেকে মেয়েটির খোঁজ মিলছিল না। সোমবার ওই দম্পতির ঘরের বিছানার বাক্স থেকে মেয়েটির পচা-গলা মৃতদেহ উদ্ধার করা হয়।

মেয়েটির মাসি ভিক্ষা করে দিন চালায়। সে পুলিশকে জানায়, ২৩ অক্টোবর বেলা ১২.৩০টা নাগাদ ভিক্ষে করে ফেরার পর সে দেখে তার বোনঝি বাড়িতে নেই। তার স্বামী মেয়েটিকে উত্তরপ্রদেশের গাজিয়াবাদের অনাথ আশ্রমে রেখে এসেছে বলে দাবি করে ওই মহিলা। পুলিশ তদন্তে নেমে গাজিয়াবাদের আশ্রমে গিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করে জানতে পারে যে, ২৩ অক্টোবর ওই নামে কারওকে সেখানে নিয়ে যাওয়া হয়নি। এতেই সন্দেহ দানা বাঁধে বলে জানিয়েছেন ডেপুটি কমিশনার অফ পুলিশ বেদ প্রকাশ সূর্য।

আরও পড়ুন: New India : মেঙ্গালুরু বিমানবন্দর হাতে পেল আদানি গ্রুপ, শুরু বেসরকারি পরিষেবা

তদন্তে নেমে পুলিশ জানতে পারে, ভাকিলও ২৩ অক্টোবর থেকে নিখোঁজ। ২৩ অক্টোবর গাজিয়াবাদের অনাথ আশ্রমে কাউকে নিয়ে আসা হয়নি বলেও তদন্তে উঠে আসে। তার পর প্রতিবেশীদের সঙ্গে কথা বলে মাসখানেক আগের ধর্ষণের বিষয়টি জানতে পারে পুলিশ।

এর পর ভাকিলের খোঁজ শুরু হয়। মোবাইল লোকেশন ট্র্যাক করে তাকে বিহার থেকে গ্রেফতার করে নিয়ে আসে পুলিশ। পুলিশি জেরায় সে খুন করার কথা স্বীকার করেছে। জানিয়েছে, ভাইঝির সঙ্গে শারীরিক সম্পর্ক স্থাপন করতে চেয়েছিল সে। কিন্তু তাতে আপত্তি ছিল ওই কিশোরীর। গোটা ঘটনার কথা জানত ভাকিলের স্ত্রী। এর পরই কিশোরীকে গ্রামে ফেরত পাঠানোর জন্য তাদের মধ্যে ঝগড়াও হত। কিন্তু পড়াশোনা শেষ করার জন্য দিল্লিতে থাকতে চাইত ওই কিশোরী। ভাকিলও কিশোরীকে সেখানে রাখতেই আগ্রহী ছিল।

এই সব বিষয় নিয়ে ২৩ অক্টোবর ঝগড়া হয় দম্পতির। তখনই কিশোরীকে খুন করার জন্য ভাকিলকে বলে তার স্ত্রী। তার পরই লোহার রড দিয়ে কিশোরীর মাথায় মেরে তাকে খুন করে ভাকিল। সে সময় তার স্ত্রী বাড়ির বাইরে অপেক্ষা করছিল। তার পর কিশোরীর দেহ বিছানার মধ্যে ভরে রাখে তারা। ঘরের মেঝে, লোহার রডও পরিষ্কার করে ২ জন মিলে। কিন্তু চেষ্টা করেও কিশোরীর দেহ বাইরে ফেলে আসতে পারেনি তারা। তখনই ভাকিলকে চলে যেতে বলে তাঁর স্ত্রী। এবং পুলিশকে বিভ্রান্ত করতে মিথ্যা গল্প ফাঁদে।
Exit mobile version