বিধিভঙ্গের অভিযোগে এ বার ফেসবুক এবং ইনস্টাগ্রামে ব্লক করা হল কিসান একতা মোর্চার পেজ। রবিবার ওই পেজ থেকেই নয়া কৃষি আইনের বিরোধিতায় কৃষক বিক্ষোভের লাইভ সম্প্রচার করা হয়েছিল। তার পরই ওই পেজ ব্লক করা হয় বলে অভিযোগ। এ দিনের ঘটনায় অনলাইন সেন্সরশসিপ নিয়ে বিতর্ক নতুন করে দানা বাঁধল।
কিসান একতা মোর্চা-র ওই পেজের ফলোয়ারের সংখ্যা ৭ লক্ষেরও বেশি। সংগঠনটির দাবি, কমিউনিটি স্ট্যান্ডার্ডের কারণ দেখিয়ে ফেসবুক থেকে সরানো হয়েছে পেজটি। ইনস্টাগ্রামেও কিসান একতা মোর্চার যে পেজ রয়েছে তাও ব্লক করা হয়েছে বলে অভিযোগ। বিক্ষোভকারীদের দাবি, স্বরাজ ইন্ডিয়া দলের প্রধান যোগেন্দ্র যাদবের একটি সাক্ষাৎকার লাইভ সম্প্রচারের পরেই ফেসবুক এবং ইনস্টাগ্রামের তরফে ওই পদক্ষেপ করা হয়েছে।
আরও পড়ুন: প্রধানমন্ত্রীর বারাণসীর অফিস বিক্রির বিজ্ঞাপন OLX-এ, গ্রেফতার ৪
This is what they can do when people raise their voices…….
When they can't beat us ideologically…….#DigitalKisan #SuppressingTheVoiceOfDissent pic.twitter.com/foK6k5zzM3
— Kisan Ekta Morcha (@Kisanektamorcha) December 20, 2020
যদিও এই ঘটনার পরেই শুরু হয় প্রতিবাদ। ইনস্টাগ্রাম ও টুইটারের সরব হন সকলে। কিছুক্ষণের মধ্যে টনক নড়ে ফেসবুক কর্তৃপক্ষের। কৃষক একতা মঞ্চের ফেসবুক পেজটি ফিরিয়ে দেওয়া হয়। চাপের মুখে পড়ে সেই পেজটি ফিরিয়ে দেয় ফেসবুক কর্তৃপক্ষ।
কৃষক নেতা যোগেন্দ্র যাদব এ বিষয়ে বলেন, কৃষক আন্দোলন থেকে সরকার কোনও বিষয়ে ভয় পেয়েছে। এই জন্য ফেসবুককে ভয় পাচ্ছে তারা। যদিও ফেসবুকের তরফ থেকে পরে এই ঘটনার জন্য ভুল স্বীকার করে নেওয়া হয়। কিন্তু তাতেও প্রতিবাদের স্বর থামছে না। প্রসঙ্গত, মাত্র একদিন আগেই কৃষকরা ঘোষণা করেছে আমরণ অনশন। যে সমস্ত জায়গায় প্রতিবাদ চলছে সেইসব জায়গায় অনশন চলবে। ডিসেম্বরের ২৫ তারিখ থেকে ২৭ তারিখ পর্যন্ত হারিয়ানা টোল আদায় বন্ধ করবে।
এমনিতে টানা চলা এই কৃষক আন্দোলন ঘিরে চাপ বাড়ছে কেন্দ্রীয় সরকারের উপর। একাধিকবার প্রতিবাদী কৃষকদের সঙ্গে বৈঠক করেছে কেন্দ্র। কিন্তু তাতেও মেলেনি সমাধানসূত্র। পরিস্থিতি দ্রুত মিটবে বলে আশাবাদী কেন্দ্রীয় সরকার। অন্যদিকে নিজের অবস্থানে অনড় কৃষকরা।
ফেসবুকের এই কমিউনিটি স্ট্যান্ডার্ড নিয়ে মাঝে মধ্যেই ওঠে প্রশ্ন। কোন বিষয়টি কমিউনিটি স্ট্যান্ডার্ড – এর মধ্যে পরে আর কোনটি পারেন না তা বুঝতে পারেন না অনেকেই। মাঝে মধ্যেও বোধয় ফেসবুক কতৃপক্ষ ও পারে না। সেই কারণেই কোনো আপাত নিরীহ পোস্টও পরে যায় এই খপ্পরে। আর ব্যাবসার তাগিদে কোনো প্ররোচনামূলক ভিডিও কিংবা শাসক দলের নেতাদের হুমকি ভিডিও ও চলে রমরম করে।
আরও পড়ুন: জন্মদিনের পরদিনই প্রয়াত নবতিপর কংগ্রেস নেতা মোতিলাল ভোরা, শোক জ্ঞাপন প্রধানমন্ত্রীর