Site icon The News Nest

বাড়ছে কৃষক আন্দোলনের উত্তাপ, আজ আলোচনার জন্য ডাকল কেন্দ্র, বৈঠকে নেতৃত্ব দেবেন রাজনাথ

farmar 2

ক্রমশ বাড়ছে কৃষক আন্দোলনের উত্তাপ। বারবার মোদী-শাহ ও বিজেপির অন্যান্য শীর্ষ নেতাদের আশ্বাস সত্ত্বেও চাষীরা নিরস্ত হচ্ছেন না। বরং যতদিন যাচ্ছে বাড়ছে কৃষি আন্দোলনের উত্তাপ। শুধু পঞ্জাব নয়, প্রতিবাদ ছড়িয়ে পড়ছে সংলগ্ন রাজ্যগুলিতে। এই পরিস্থিতিতে আজ, কৃষক প্রতিনিধিদের সঙ্গে আলোচনায় বসতে চায় কেন্দ্র। ৩২টি সংগঠনকে আজ কথা বলার জন্য আমন্ত্রণ জানান হয়েছে।

কৃষকদের সঙ্গে ৩ ডিসেম্বর বৈঠকের জন্য দিন নির্দিষ্ট ছিল আগেই। কিন্তু কোভিড পরিস্থিতি এবং প্রবল ঠান্ডার বিষয়টি উল্লেখ করে কেন্দ্রীয় কৃষিমন্ত্রী নরেন্দ্র সিংহ তোমার বৈঠকের দিন এগিয়ে নিয়ে আসার জন্য জানায় কৃষক সংগঠনের প্রতিনিধিদের। সোমবার স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহের সঙ্গে কৃষিমন্ত্রীর আলোচনার পরই কৃষকদের সঙ্গে বৈঠকের দিন এগিয়ে আনার সিদ্ধান্ত হয়েছে।

সোমবার কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহের সঙ্গে কৃষিমন্ত্রীর আলোচনার পরই কৃষকদের সঙ্গে বৈঠকের দিন এগিয়ে আনার সিদ্ধান্ত হয়েছে বলে সূত্রের খবর। অমিত শাহ মঙ্গলবার তাঁর একটি কর্মসূচি বাতিল করেছেন। সরকারি এক সূত্র বলছে, ‘‘মঙ্গলবার গুরুত্বপূর্ণ একটি বৈঠকের জন্য তিনি ওই অনুষ্ঠানে যাচ্ছেন না।’’ এরই মধ্যে সোমবার গভীর রাতে বিক্ষোভরত এক কৃষকের মৃত্যু হয়েছে।জানা গিয়েছে, প্রবল ঠান্ডায় তাঁর শারীরিক অবস্থার অবনতি হয়। শেষে মারা যান তিনি।

কৃষকদের সঙ্গে বৈঠকের দিন এগিয়ে আনা নিয়ে কৃষিমন্ত্রী বলেছেন, ‘‘১৩ নভেম্বরের বৈঠকে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছিল ৩ ডিসেম্বর কৃষকদের সঙ্গে বৈঠক করা হবে। কিন্তু কোভিড পরিস্থিতি এবং ঠান্ডার মধ্যেই প্রতিবাদ করছে কৃষকরা। তাই ৩ ডিসেম্বরের আগেই তাঁদের সঙ্গে বৈঠক করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।’’

আরও পড়ুন: তান্ত্রিকের পরামর্শে বাতিল নোট কিনে পুজো যুবকের, তারপর কি হল জেনে নিন

সোমবার রাতেই ৩২টি কৃষক সংগঠনকে এই বৈঠকে আমন্ত্রণ জানিয়ে চিঠি পাঠিয়েছে কৃষিমন্ত্রক। ক্রান্তিকারি কিসান ইউনিয়ন, ভারতীয় কিসান সভা, কুল সহিন্দ কিসান সভা, কৃতি কিসান ইউনিয়ন এবং পঞ্জাব কিসান ইউনিয়ন-এর মতো বিভিন্ন কৃষক সংগঠনকে মঙ্গলবার বৈঠকের জন্য আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে।

এ ব্যাপারে স্বরাজ ইন্ডিয়ার এবং কৃষক আন্দোলের অন্যতম নেতা যোগেন্দ্র যাদব বলেছেন, ‘‘আলোচনার দরজা আমরা কখনই বন্ধ করিনি। কিন্তু সেই আলোচনা হতে হবে শর্তহীন, আন্তরিক এবং সর্বব্যাপী। আমরা কৃষি আইন প্রত্যাহারের দাবি জানাচ্ছি। সরকারকে পরিষ্কারভাবে জানাতে হবে তারা এই আইন পুনর্বিবেচনার কথা ভাবছে।’’

তবে বৈঠকের জন্য কেন্দ্র সরকার মাত্র ৩২টি সংগঠনকে ডাকায় খুশি নন পঞ্জাব কিসান সংঘর্ষ কমিটির যুগ্ম সম্পাদক সুখবিন্দর এস সভরণ। তিনি সংবাদ সংস্থা এএনআই-কে বলেছেন, ‘‘দেশে ৫০০টির বেশি কৃষক সংগঠন রয়েছে। কিন্তু সরকার আলোচনার জন্য মাত্র ৩২টি সংগঠনকে ডেকেছে। বাকিদের ডাকেনি। সব দলকে যতক্ষণ না ডাকা হচ্ছে আমরা আলোচনার জন্য যাব না।’’

প্রসঙ্গত, ২০২০-তে পাশ হওয়া কৃষি আইন নিয়ে শুরু থেকেই ক্ষোভ রয়েছে দেশের কৃষক সমাজের। সেই আইন প্রত্যাহারের দাবিতে গত ৫ দিন ধরে আন্দোলেন নেমেছে একাধিক কৃষক সংগঠন। দিল্লির বিভিন্ন সীমানায় জড়ো হয়ে প্রবল ঠান্ডার মধ্যেই শান্তিপূর্ণ প্রতিবাদ করছেন তাঁরা। শুরুতে তাঁদের আন্দোলন পুলিশ দিয়ে দমনের চেষ্টা করলেও পরে সে পথ থেকে সরে আসে সরকার। দিল্লির বুবারির মাঠে আন্দোলন করতে বলা হয় কৃষকদের। কিন্তু তা মানতে রাজি হননি আন্দোলনকারীরা। তাঁরা দিল্লির কয়েকটি সীমানাতেই অবস্থান করে প্রতিবাদ চালিয়ে যাচ্ছেন। ইতিমধ্যেই অমিত শাহের দেওয়া শর্তসাপেক্ষে আলোচনার প্রস্তার ফিরিয়ে দিয়েছেন তাঁরা। নতুন আইন অধিকার ছিনিয়ে নিয়ে তাঁদের আরও অসহায় করবে বলেই মত অধিকাংশ কৃষক সংগঠনের।

আরও পড়ুন: হাসপাতালে রাখা দেহ খুবলে খাওয়ার চেষ্টা কুকুরের, নিশানায় যোগী-রাজ্যে

Exit mobile version