Site icon The News Nest

ভেঙে যাচ্ছে স্বপ্নের বিয়ে, বিচ্ছেদ চেয়ে আদালতের দ্বারস্থ টিনা দাভি-আতহার খান

athar

স্বপ্নের বিয়ে, স্বপ্নভঙ্গ ও বিচ্ছেদের আবেদন। এ ভাবেই বোধহয় বর্ণনা করা যায় টিনা দাভি এবং তাঁর কাশ্মীরি স্বামী আতাহার খানের কাহিনি।

২০১৫ সালের ইউপিএসসি পরীক্ষায় আইএএস-বিভাগের প্রথম দুই উত্তীর্ণ তাঁরা। টিনা ছিলেন প্রথম স্থানে। আর আতহার দ্বিতীয়।স্বাভাবিক কারণেই তাঁদের বিয়ে দেশে এক সময়ে দারুন আলোচিত হয়। কারণ, আইএএস-এ একই বছরে প্রথম দুই স্থানে থাকা উত্তীর্ণ পরীক্ষার্থীরা বিয়ে করছেন এমন ঘটনা তো আর চট করে চোখে পড়ে না। তাছাড়া, আইএএস-এর মেধাতালিকায় একদম উপরে থাকলেও টিনা দলিত সমাজের প্রতিনিধি এবং আতহার কাশ্মীরের পহেলগ্রামের বাসিন্দা।

আর সেজন্যই তাঁদের বিয়েকে সম্প্রীতির মেলবন্ধন হিসেবে বর্ণনা করেছিলেন অনেকে নামী মানুষ। রাহুল গাঁধী সহ বিভিন্ন রাজনৈতিক ব্যক্তিত্ব তাঁদের শুভেচ্ছা জানিয়েছিলেন। ২০১৮-তে তাঁদের বিয়ে হয়। জয়পুর, পাহেলগ্রাম এবং দিল্লিতে রিসেপশন হয়েছিল টিনা ও আতহারের। অতিথি হয়েছিলেন ভেঙ্কাইয়া নাইডু, সুমিত্রা মহাজন, রবিশঙ্কর প্রসাদের মতো প্রথম সারির প্রভাবশালী রাজনীতিকরা।

আরও পড়ুন: শুরুতেই মোক্ষম ধাক্কা নীতীশ সরকারের, তিন দিন পরই ইস্তফা দিলেন মন্ত্রী

ফেসবুকে তাঁদের ছবি পোস্ট করতে অভিনন্দনের বন্যা যেমন বয়ে গিয়েছিল, সঙ্গে নিন্দাতেও মুখর হয়েছিলেন অনেকেই।বিয়ের মাত্র ২ বছরের মধ্যেই তাঁদের বিচ্ছেদের খবরে ফের এক বার শিরোনামে উঠে এসেছেন এই আইএএস দম্পতি। এ নিয়ে সোশ্যাল মিডিয়ায় অনেকে আবার কুমন্তব্য করতেও ছাড়েননি। অনেকে এটাকে ‘লভ জিহাদ’ বলে মন্তব্য করেছেন। এমন মন্তব্যের বিরোধিতাও করেছেন কেউ কেউ।

কিছু দিন আগে করোনা-মোকাবিলায় সারা দেশকে পথ দেখিয়েছিল ‘ভিলওয়াড়া মডেল’। রাজস্থানের ভিলওয়াড়াকে সম্পূর্ণ করোনা-মুক্ত করতে দিনরাত এক করে পরিশ্রম করেছলেন এঁরা।টিনা এবং আতহার এখন রাজস্থানেই কর্মরত। কিন্তু কী কারণে তাঁদের এই সিদ্ধান্ত, তা নিয়ে দু’জনের কেউই প্রকাশ্যে কোনও মন্তব্য করেননি।

টিনা-র আদি বাড়ি ভোপালে। বাবা-মা উভয়ই ইঞ্জিনিয়ারিং সার্ভিসে কর্মরত। দিল্লির লেডি শ্রীরাম কলেজ থেকে রাষ্ট্রবিজ্ঞানে স্নাতক হন টিনা। অন্যদিকে কাশ্মীরের বাসিন্দা আতাহার হিমাচল প্রদেশের মান্ডি আইআইটি থেকে বিটেক ডিগ্রির পর আইএএস-এর প্রস্তুতি শুরু করেন। টিনা ও আতহার দুজনেই রাজস্থান ক্যাডারে আইএএস হন ২০১৫ সালে। মুসৌরির লালবাহাদুর শাস্ত্রী ন্যাশনাল অ্যাকাডেমি ফর অ্যাডমিনিস্ট্রেশন-এ তাঁরা কাছাকাছি আসেন। জমে ওঠে প্রেম, ক্রমে বিবাহ। আর এবার বিচ্ছেদ!

আরও পড়ুন: সিবিআই তদন্ত শুরু করতে রাজ্যের সম্মতি বাধ্যতামূলক, রায় দিল শীর্ষ আদালত

 

Exit mobile version