Site icon The News Nest

সেপটিক ট্যাঙ্ক কাজ করতে নেমে বিষাক্ত গ্যাসের শিকার, মৃত্যু ৬ শ্রমিকের

সেপটিক ট্যাঙ্ক তৈরি করতে গিয়ে প্রাণ গেল ৬ শ্রমিকের। রবিবার ওই মর্মান্তিক ঘটনা ঘটে ঝাড়খণ্ডের দেওঘরের দেবীপুর বাজারে।

জানা গিয়েছে, দেবীপুর বাজার এলাকার বাসিন্দা ব্রজেশ চন্দ্র বার্নওয়াল একটি সেপটিক ট্যাংক বানাচ্ছিলেন। সেই সেপটিক ট্যাংকের ভিতরের বিষাক্ত গ্যাসে প্রাণ গেল ব্রজেশ চন্দ্র বার্নওয়াল (৫০) ছাড়াও মিথিলেশ চন্দ্র বার্নওয়াল (৪০), গোবিন্দ মাঝি (৫০), বাবলু মাঝি (৩০), লালু মাঝি (২৫) ও লিলু মুর্মুর।

স্থানীয় বাসিন্দাদের সূত্রে জানা গিয়েছে, ওই সেপটিক ট্যাংকটি ২০ ফুট গভীর ও ৭ ফুট চওড়া। এদিন সকালে প্রথমে লিলু মুর্মু সেপটিক ট্যাংকের কভার খোলার জন্য নিচে যান। এরপর থেকেই তাঁর কোনও সাড়াশব্দ মিলছিল না। বেশ কিছুক্ষণ ধরে লিলুর খোঁজ না মেলায় ঠিকাদার গোবিন্দ মাঝি নির্মীয়মান ওই ট্যাংকের ভিতরে নামেন। কিন্তু তাঁরও কোনও সাড়াশব্দ পাওয়া যায়নি আর।

আরও পড়ুন:  Breaking: এবার করোনা ভাইরাসের কবলে প্রাক্তন রাষ্ট্রপতি প্রণব মুখোপাধ্যায়

পরিস্থিতি আন্দাজ করে গোবিন্দর দুই ছেলে বাবলু ও লালু দুজনে একসঙ্গে ট্যাংকের ভিতরে নামলেও লাভের লাভ কিছু হয়নি। বরং তাঁদের দুজনেরও কোনও খোঁজ মিলছিল না। এরপর ব্রজেশও অপেক্ষা করেন। কিন্তু ডাকাডাকি করেও কোনও লাভ না হওয়ায় তিনিও ভিতরে নামেন। কিন্তু তার পরিণতিও হয় বাকি চারজনের মতোই মর্মান্তিক। তাঁরও মৃত্যু হয় সেখানেই। কিন্তু তা আন্দাজ না করেই ব্রজেশের ভাই মিথিলেশও দাদা ও বাকিদের খোঁজে ওই ট্যাংকের ভিতরে নামেন।

কিন্তু তিনিও আর ফেরেননি। পরপর ৬ জনের কোনও খোঁজ না মেলায় স্থানীয় বাসিন্দারা আতঙ্কিত হয়ে পড়েন। খবর দেওয়া হয় পুলিশে। এরপর প্রশাসনের কর্মীদের ডাকা হয়। কর্মীরা নিচে নেমে ৬ জনের মৃতদেহ উদ্ধার করা হয়। পুলিশের তরফে জানানো হয়েছে, সেপটিক ট্যাংকে কার্বন ডাই অক্সাইড বা মনোক্সাইডের মতো মারাত্মক গ্যাস থেকেই শ্বাসরোধ হয়ে মৃত্যু হয়ে থাকতে পারে ওই ৬ জনের। দেওঘরের ডেপুটি পুলিশ কমিশনার কমলেশ্বর প্রসাদ সিং জানান, ঘটনাস্থলে পৌঁছে ৬ জনকে উদ্ধার করে সদর হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হলে চিকিৎসকরা প্রত্যেককেই মৃত বলে ঘোষণা করেন। ঘটনার পর থেকেই গোটা এলাকায় নেমে এসেছে শোকের ছায়া।

আরও পড়ুন: একদিনে মৃত্যু হাজারেরও বেশি, দেশে মোট আক্রান্ত ২২ লক্ষ ছাড়াল

Exit mobile version