Site icon The News Nest

পাঁচ বছরে মোদি সফর করেছেন ৫৮ দেশ, খরচ ৫১৭ কোটি, সংসদে জানাল কেন্দ্র

PM modi

ঘনঘন বিদেশ সফরের কারণে বিভিন্ন সময়ে বিরোধীদের কটাক্ষ শুনতে হয়েছে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিকে। মঙ্গলবার রাজ্যসভায় এই সংক্রান্ত একটি প্রশ্নের উত্তর দিতে গিয়ে বিদেশ মন্ত্রকের প্রতিমন্ত্রী ভি মুরলীধরণ জানালেন, ২০১৫ সাল থেকে গত পাঁচ বছরে ৫৮টি দেশে সফর করার জন্য প্রধানমন্ত্রীর পিছনে ৫১৭ কোটি ৮২ লক্ষ টাকা খরচ হয়েছে কেন্দ্রের।

এরপরই এই বিষয় নিয়ে প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে। এই তথ্য বিরোধীদের হাতে নরেন্দ্র মোদিকে আক্রমণের নতুন অস্ত্র তুলে দিল বলে মত রাজনৈতিক পর্যবেক্ষকদের। ভি মুরলীধরণ (V Muraleedharan) বলেন, ‘২০১৫ সাল মার্চ থেকে ২০১৯ নভেম্বর পর্যন্ত মোট ৫৮টি দেশে ভ্রমণ করেছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (Narendra Modi)। এর ফলে মোট খরচ হয়েছে ৫১৭ কোটি ৮২ লক্ষ টাকা।’

আরও পড়ুন : সোনার দাম কমল অনেকটা, রূপোর দামও পড়ল ধড়াম করে

তিনি আরও বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রীর বিদেশ সফরের ফলে বিভিন্ন দেশের সঙ্গে ব্যবসায়িক সম্পর্ক বৃদ্ধি পাওয়ার সঙ্গে সঙ্গে ভারতে বিদেশি বিনিয়োগের পরিমাণ বেড়েছে। বিভিন্ন দেশের সঙ্গে তথ্যপ্রযুক্তি, মেধা, মহাকাশ ও প্রতিরক্ষা সংক্রান্ত বিষয়ে যৌথ উদ্যোগে অনেক কাজও শুরু হয়েছে। দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক দৃঢ় হওয়ার পাশাপাশি আঞ্চলিক ও বিশ্বের বিভিন্ন ইস্যুতে ভারতের মনোভাবের বিষয়ে বার্তা পৌঁছেছে অন্য দেশগুলির কাছে। ফলে ভারতের উন্নয়ন সংক্রান্ত ইস্যুর পাশাপাশি দেশের নাগরিকদের অর্থনৈতিক অবস্থা ও স্বাচ্ছন্দ্যের ক্ষেত্রে কিছুটা হলেও পরিবর্তন এসেছে।’

তবে বর্তমানে প্রতিবেশি দেশগুলির সঙ্গে সম্পর্ক যে জায়গায় পৌঁছেছে, তাতে অনেকেই বলছেন তাহলে মোদীর এমন ঘন ঘন বিদেশ সফরে লাভটা কি হল? এতদিন পর্যন্ত নয়া দিল্লি বারবার ইসলামাবাদের বিরুদ্ধে সন্ত্রাস ইস্যুতে সর্ব হয়েছে। কিন্তু চীন এবং নেপাল যে নয়াদিল্লির বিরুদ্ধে সুর চড়াতে পারে তা দেশবাসীর ধারণা ছিল না। তাছাড়া অনেকে মনে করছিলেন মোদির ঘন ঘন সফরে বৈদিশিক সম্পর্ক ভালো হবে। কিন্তু তা হল না।

নিরপেক্ষ সাংবাদিক ও কলম লেখকদের মতে মোদী আসলে সর্বদা ব্যাক্তি ভাবমূর্তি উজ্জ্বল করার চেষ্টা করেছেন। বিজেপিকে বোজানোর চেষ্টা করেছেন তিনি ছাড়া বাকি কারও এমন ক্যারিশমাটিক ভাবমূর্তি নেই। তা করতে গিয়ে তিনি একদল মিডিয়া বাহিনী বানিয়েছেন। যাদের কাজই ব্যাক্তি মোদীর ভজনা করা। গেরুয়া মিডিয়া মোদীর রাজনীতিতে খানিকটা সহায়তা করতে পারে। কেন্দ্র চাপে পড়লে তা সামাল দিতে তারা বিরোধীদের নাজেহাল করার চেষ্টা করতে পারে। কিন্তু তা দিয়ে শাক দিয়ে মাছ ঢাকা যায় না। বুঝছেন অনেকেই।

আরও পড়ুন : আত্মনির্ভর ভারত ! আর অত্যাবশ্যকীয় পণ্য নয় চাল-ডাল-আলু-পেঁয়াজ,সংসদে পাশ বিল

 

Exit mobile version