Site icon The News Nest

কমে গেল কেজরিওয়ালের ক্ষমতা, হাসপাতালের বসেই বিলে সই ‘অসুস্থ’ রাষ্ট্রপতির

kejri

দিল্লির ওপর কেন্দ্রের নিয়ন্ত্রণ আরও বাড়াতে লোকসভায় প্রস্তাব এসেছিল। এ বার সেই ‘গভর্নমেন্ট অব ন্যাশনাল ক্যাপিটেল টেরিটরি অব দিল্লি’ (GNCTD) সংশোধনী বিলে অনুমোদন দিলেন রাষ্ট্রপতি রামনাথ কোবিন্দ (Ram Nath Kovind)। এই বিলে একদিকে দিল্লির নির্বাচিত সরকারের ক্ষমতা হ্রাস করে বাড়ানো হয়েছে লেফট্যানেন্ট গভর্নরের শক্তি। সেই বিলেই সায় দিলেন রাষ্ট্রপতি।

অসুস্থ হয়ে দিল্লির এইমস হাসপাতালে ভর্তি রাষ্ট্রপতি রামনাথ কোবিন্দ৷ তাঁর বাইপাস অপারেশন হওয়ার কথা রয়েছে৷ সেই হাসপাতাল থেকেই রবিবার দিল্লির বিতর্কিত কেন্দ্রীয় বিল দ্য গভর্মেন্ট অফ ন্যাশনাল ক্যাপিটাল টেরিটরি অফ দিল্লি (সংশোধনী) বিল, ২০২০১-এ সই করলেন রাষ্ট্রপতি৷ রবিবার এদিন কেন্দ্রীয় সরকারের তরফে একটি বিজ্ঞপ্তি দিয়ে রাষ্ট্রপতির এই অনুমোদনের কথা জানানো হয়েছে।

গত বুধবার বিরোধীদের তীব্র বাগ-বিতণ্ডার মধ্যেই রাজ্যসভায় পাশ হয় এই বিল৷ বিল পাশ হওয়া রুখতে রাজ্যের ভোটের ব্যস্ততার মাঝেই মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্য়ায়ের নির্দেশে দিল্লি ছুটে যান তৃণমূলের রাজ্যসভার সাংসদরা৷ বিভিন্ন রাজ্যের ভোট মেটা পর্যন্ত এই বিল নিয়ে সংসদে আলোচনা স্থগিত রাখার আর্জি জানিয়েছিলেন তৃণমূল সাংসদ ডেরেক ও’ব্রায়েন৷ তবে এতে লাভের লাভ কিছু হয়নি৷

আরও পড়ুন: কৃষক সংগঠনের ডাকে আগামীকাল ১২ ঘণ্টার ভারত বনধ

কী রয়েছে এই বিলে?

সংশ্লিষ্ট বিলের মাধ্যমে কেন্দ্র চাইছে, দিল্লিতে যে কোনও আইন পাশের আগে কেজরীবাল সরকারকে লেফট্যানেন্ট গভর্নরের মত নিতে হবে। ২০১৮ সালে পাঁচ বিচারপতির সাংবিধানিক বেঞ্চ জানিয়েছিল, পুলিশ, জন নির্দেশিকা ও জমি ছাড়া অন্যান্য ক্ষেত্রে লেফট্যানেন্ট গভর্নরের সম্মতি প্রয়োজন নেই। তখন বেঞ্চ জানিয়েছিল, দিল্লির লেফট্যানেন্ট গভর্নর কোনও রাজ্যের রাজ্যপালের মতো নয়। তিনি একজন প্রশাসক। তাঁর ক্ষমতা সীমাবদ্ধ। এদিকে লাগাতার কেন্দ্রের এই বিলের বিরোধিতা করে এসেছেন দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরীবাল। দিল্লির বিধানসভায় ৭০টি আসনের ৬৭টি আম আদমি পার্টির দখলে। মাত্র তিনটি আসনে জিতেছে বিজেপি। অরবিন্দ কেজরীবাল অভিযোগ করেছিলেন, লেফট্যানেন্ট গভর্নরের ক্ষমতা বৃদ্ধি করে আদতে দিল্লি শাসন করতে চাইছে কেন্দ্র। যদিও লোকসভায় কেন্দ্রের তরফে দাবি করা হয়েছিল, এই সংশোধনী বিলে কোনও রাজনৈতিক উদ্দেশ্য নেই। সংশোধনীর মূলে রয়েছে টেকনিক্যাল কারণ। কেন্দ্রীয় মন্ত্রী  জি কিষাণ রেড্ডি জানান, সংবিধানের দেওয়া দিল্লি সরকারের ক্ষমতা খর্ব করার কোনও উদ্দেশ্য এই বিলে নেই। কিছু অস্বচ্ছতা দূর করতেই এই সংশোধনী বিল।

এদিকে রাজ্যসভায় এই বিল পাশ হওয়ার দিন কেজরীবালের মন্তব্য ছিল, “গণতন্ত্রের পক্ষে আজ দুঃখের দিন।” এদিনও এই বিলে রাষ্ট্রপতির সম্মতি দেওয়ার খবরের মধ্যে একটি টুইট করেন কেরলের মুখ্যমন্ত্রী পিনারাই বিজয়ন।

আরও পড়ুন: বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধে কারাবরণ করেছিলেন নরেন্দ্র মোদী! প্রমাণ চেয়ে ফাইল RTI

 

Exit mobile version