দেশজুড়ে করোনার টিকাকরণের দ্বিতীয় পর্যায়েই প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী ও অন্যান্য সব মুখ্যমন্ত্রীদের ভ্যাকসিন দেওয়া হবে। দ্বিতীয় পর্যায়ে ৫০ বছরের বেশি বয়সের মানুষদের টিকা দেওয়া হবে। ভ্যাকসিন নিয়ে মুখ্যমন্ত্রীদের সঙ্গে বৈঠকে মোদী জানান, টিকা নিয়ে ভয় পাওয়ার কিছু নেই। দ্বিতীয় পর্যায়ে সবাইকে টিকা দেওয়া হবে, যাঁরই ৫০ বছরের ঊর্ধ্বে বয়স।
দেশের সব সাংসদ, বিধায়ক, যাঁদের বয়স ৫০ বছরের বেশি, তাঁদের সবাইকে দ্বিতীয় দফায় টিকা দেওয়া হবে। বর্তমানে করোনা টিকাকরণের প্রথম দফার টিকা অভিযান চলছে। ইতিমধ্যেই ৭ লক্ষের বেশি স্বাস্থ্যকর্মীকে টিকার প্রথম ডোজ দেওয়া হয়েছে। করোনার টিকাকরণের দ্বিতীয় পর্যায়ে সেনা, আধাসেনা ও ৫০ বছরের ঊর্ধ্বে যাঁদের বয়স, তাঁদের ভ্যাকসিন দেওয়া হবে। তবে দ্বিতীয় পর্যায়ের টিকাকরণ কবে থেকে শুরু হবে, তা এখনও জানা যায়নি। স্বাস্থ্যকর্মীদের টিকাকরণের পরে দ্বিতীয় পর্যায়ের টিকাকরণ শুরু হবে।
গত ১৬ জানুয়ারি থেকে দেশজুড়ে করোনার গণটিকাকরণ প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে। প্রথম দিনে ভালই সাড়া মিললেও আশ্চর্যজনকভাবে দ্বিতীয় দিন থেকেই টিকা গ্রহীতাদের সংখ্যা কমতে থাকে। ভ্যাকসিনের পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া ও তিনটি মৃত্যুর খবর সামনে আসতেই দেশবাসীর মনে আরও ভয়ের সঞ্চার হয়েছে। এই পরিস্থিতি সামাল দিতে এবার ময়দানে নামলেন স্বয়ং প্রধানমন্ত্রী। দ্বিতীয় দফার টিকাকরণ শুরু হলেই তিনিও করোনা টিকা নেবেন বলে জানা গিয়েছে।
আরও পড়ুন: বৃক্ষরোপণ, পতাকা উত্তোলনের মাধ্যমে ২৬ জানুয়ারি মসজিদের ভিত্তিপ্রস্থর স্থাপন অযোধ্যায়
উল্লেখ্য, টিকাকরণ কর্মসূচি শুরুর আগে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী সব রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীদের সঙ্গে বৈঠকে বসেছিলেন। সেই বৈঠকে হরিয়ানা, বিহার ও ওড়িশার মুখ্যমন্ত্রী বলেছিলেন, সাংসদ, বিধায়ক সহ সমস্ত জনপ্রতিনিধি, যাদের বয়স ৫০-র বেশি, তাঁদের যেন প্রথম সারির যোদ্ধা হিসাবেই গণ্য করা হয় ও ভ্যাকসিন দেওয়া হয়।
সেইসময় তিনি হুঁশিয়ারি দিয়েছিলেন যে, নেতা-মন্ত্রীরা যেন টিকা নেওয়ার জন্য লাফালাফি না করেন। নির্দিষ্ট সময় এলেই তাঁরা টিকা পাবেন। তবে তাঁদের পালা যে এত তাড়াতাড়ি এসে যাবে, সেই বিষয়টি ভাবতে পারেননি কেউই।
আরও পড়ুন: ১৮ মাসের জন্য কৃষি আইন স্থগিতের প্রস্তাব কেন্দ্রের! ‘সমঝোতা’য় নারাজ অন্নদাতা