Site icon The News Nest

Breaking : কৃষি বিল নিয়ে ‘সুপ্রিম’ ধাক্কা কেন্দ্রের, আপাতত আইন স্থগিত রাখার নির্দেশ

farmer

কৃষি আইন নিয়ে সুপ্রিম কোর্টে বড় ধাক্কা খেল কেন্দ্র। আপাতত কৃষি আইন স্থগিত রাখার নির্দেশ দেওয়া হল কেন্দ্রকে। প্রধান বিচারপতি এস ও বোবদে কেন্দ্রের ভূমিকা নিয়ে সমালোচনা করে বলেন, “আপনারা আইন স্থগিত রাখুন, নয়তো আমরা স্থগিতাদেশ জারি করব।”

সোমবার ৩ কৃষি আইন নিয়ে শুনানি ছিল দেশের শীর্ষ আদালতে। সেই মামলার শুনানিতেই কেন্দ্রের ভূমিকা নিয়ে কড়া সমালোচনা করে শীর্ষ আদালত। প্রধান বিচারপতি এস এ বোবদে বলেন, “যদি খারাপ কিছু হয়, তবে আমরা সকলে তার জন্য দায়ী থাকব। কোনও ক্ষয়ক্ষতি হোক বা আমাদের হাতে রক্ত লাগুক, তা কাম্য নয়।” কৃষকদের আন্দোলনের পক্ষেই সায় দিয়ে শীর্ষ আদালত জানায়, কৃষি আইনে স্থগিতাদেশ জারি করার পরও তাঁরা আন্দোলন চালিয়ে যেতে পারবে। তবে দিল্লি সীমান্তেই তাঁরা আন্দোলন জারি রাখতে চান কিনা, সেই সিদ্ধান্ত কৃষকদের উপরই ছেড়ে দেওয়া হয়েছে।

গতবারের শুনানিতে সুপ্রিম কোর্ট অবস্থার কোনও উন্নতি হয়নি বললে কেন্দ্রের তরফে বলা হয়, “দুই পক্ষের মধ্যে একটি সুষ্ঠ আলোচনা হচ্ছে”। আজ কেন্দ্রের সেই মন্তব্যকে উল্লেখ করেই প্রদান বিচারপতি সমালোচনা করে বলেন, “গতবারের শুনানিতেও আমরা এই প্রশ্ন করেছিলাম, কিন্তু কোনও জবাব মেলেনি। পরিস্থিতি আরও খারাপ হয়ে গিয়েছে। কৃষকরা আত্মহত্যা করছেন। এই ঠান্ডা আবহাওয়াতেও বয়স্ক ও মহিলারা আন্দোলনে যোগ দিচ্ছেন কেন?”

আরও পড়ুন: সৌরভ নন, এবার ICC-তে বোর্ডের প্রতিনিধি জয় শাহ

কৃষি আইন কেন্দ্র করে যে সমস্যার সৃষ্টি হয়েছে, তা সমাধানে ফের একবার কেন্দ্রকে একটি কমিটি গঠনের প্রস্তাব দিয়ে সুপ্রিম কোর্টের তরফে বলা হয়, “যদি সরকার নিজে থেকে এই কাজ না করে, তবে আইন কার্যকরের সিদ্ধান্তে স্থগিতাদেশ জারি করে আমরা কথা বলব।” কমিটি গঠন না হওয়া অবধি কৃষি আইনে স্থগিতাদেশ জারি করার উপরই জোর দেয় সুপ্রিম কোর্ট। একইসঙ্গে জানানো হয়, কৃষি আইনে স্থগিতাদেশ জারি করার প্রস্তাব দেওয়া হলেও ১৯৫৪ সালের সংবিধান সংশোধনীর উপর স্থগিতাদেশ জারি করা হচ্ছে না।

কৃষি আইন প্রত্যাহারের দাবিতে গত বছরের নভেম্বর মাসের শেষভাগ থেকে দিল্লির সিংঘু সীমান্তে আন্দোলন করছেন দেশের বিভিন্ন প্রান্তের কৃষকরা। এদের মধ্যে অধিকাংশই পঞ্জাব ও হরিয়ানার বাসিন্দা। আন্দোলনকারী কৃষকদের প্রধান দুটি দাবি হল, কেন্দ্রের নয়া তিন কৃষি আইন প্রত্যাহার করতে হবে এবং ফসলের ন্যূনতম সহায়ক মূল্যের আইনি গ্যারান্টি দিতে হবে।

ইতিমধ্যেই কেন্দ্রের সঙ্গে আট দফা বৈঠক হলেও কোনও আলোচনাতেই মেলেনি সমাধানসূত্র। আইন প্রত্যাহারের দাবিতেই অনড় রয়েছেন কৃষকরা। অন্যদিকে কেন্দ্রের তরফেও বলা হয়েছে, “আইন প্রত্যাহার ছাড়া অন্য কোনও প্রস্তাব থাকলে তা কেন্দ্রকে জানাক কৃষকরা, সে বিষয়ে আলোচনা করা হবে।” আগামী ১৫ জানুয়ারি ফের বৈঠকে বসতে চলেছে কেন্দ্র ও কৃষক পক্ষ।

আরও পড়ুন: রিলায়েন্সকে পিছনে ফেলে দেশে প্রথম TCS, আম্বানিকে পিছনে ফেললেন টাটা!

 

Exit mobile version