শিক্ষা ও চাকরি ক্ষেত্রে সংরক্ষণ আর কত প্রজন্ম ধরে চলবে— আজ এই প্রশ্ন তুলল সুপ্রিম কোর্ট। বিচারপতি অশোক ভূষণের নেতৃত্বাধীন পাঁচ সদস্যের সাংবিধানিক বেঞ্চ একই সঙ্গে বলেছে, সংরক্ষণের ক্ষেত্রে যদি ৫০ শতাংশের অথবা কোনও ঊর্ধ্বসীমাই না-থাকে, সে ক্ষেত্রে সকলের সমান অধিকারের বিষয়টিরই বা কী হবে?
চাকরি ও শিক্ষা ক্ষেত্রে মরাঠাদের জন্য ১৬% সংরক্ষণের ব্যবস্থা করে বিল পাশ করেছিল মহারাষ্ট্র। তা চ্যালেঞ্জ করে দায়ের হওয়া মামলা গিয়েছে সুপ্রিম কোর্টে। তার শুনানিতেই আজ এই মন্তব্য করেছে সাংবিধানিক বেঞ্চ। ১৯৯৩ সালে ইন্দিরা সহায় মামলায় সুপ্রিম কোর্ট রায় দিয়েছিল যে, সংরক্ষণের ঊর্ধ্বসীমা ৫০% পেরোনো চলবে না। মরাঠাদের ১৬% ধরলে ওই ঊর্ধ্বসীমা পেরিয়ে যায়।
আরও পড়ুন: সেনায় নিয়োগে বড় দুর্নীতি, অভিযুক্ত ৭ শীর্ষ আধিকারিক-সহ ২৩
মহারাষ্ট্র সরকারের আইনজীবী মুকুল রোহতগির যুক্তি, ১৯৩১ সালের জনগণনার ভিত্তিতে আগের রায়টি দেওয়া হয়েছিল। তাই পরিবর্তিত পরিস্থিতিতে কোর্টের তা পুনর্বিবেচনা করা উচিত। সংরক্ষণ কত দূর হবে, তা স্থির করার ভার রাজ্যগুলির উপরে ছাড়া উচিত বলেও মন্তব্য করেন তিনি। পাশাপাশি রোহতগি জানান, আর্থিক ভাবে দুর্বল শ্রেণির জন্য কেন্দ্রীয় সরকার যে ১০ শতাংশ সংরক্ষণ ঘোষণা করেছিল, তা ধরলেও ঊর্ধ্বসীমা ৫০% পেরোচ্ছে।
সুপ্রিম কোর্টে বিচারপতি অশোক ভূষণ, বিচারপতি নাগেশ্বর রাও, বিচারপতি এস আবদুল নাজ়ির, বিচারপতি হেমন্ত গুপ্ত ও বিচারপতি এল রবীন্দ্র ভট্ট প্রশ্ন করেন, যদি উর্ধ্বসীমা না থাকে তাহলে সাম্যের কী হবে? পাশাপাশি অনগ্রসরতা কাটিয়ে না উঠতে পারার প্রসঙ্গ তুলে ধরেন। তখন রোহতগি জানান, দেশে উন্নয়ন হয়েছে। তবে অনগ্রসর শ্রেণির শতাংশ ব্যাপক হারে কমে যায়নি। এখনও মানুষকে অনাহারে মরতে হয়। দেশে অনগ্রসর শ্রেণিভুক্তদের সংখ্যাও বেড়েছে।
আরও পড়ুন: ‘হাঁটু দেখা যাচ্ছে!’, মোদি-গড়করির হাফপ্যান্ট পরা ছবি শেয়ার করে কটাক্ষ প্রিয়াঙ্কার