Site icon The News Nest

মমতা একা নন, বিধায়ক না হয়েও মুখ্যমন্ত্রী হওয়ার নজির অতীতেও রয়েছে এ দেশে

didi

তিনিই ছিলেন দলের গোলরক্ষক। লড়াই করে তৃণমূলকে ২১৩ আসনে জিতিয়েও দিয়েছেন। কিন্তু শেষরক্ষা হয়নি। নিজের নির্বাচনী কেন্দ্র নন্দীগ্রামেই ধাক্কা খেয়েছেন তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee)। এখন প্রশ্ন হল, ভোটে পরাজিত হলে কি মুখ্যমন্ত্রী হিসেবে শপথ নেওয়ায় কোনও বাধা থাকে?

সংবিধান বলছে, নির্বাচনে না জিতলেও মুখ্যমন্ত্রী পদে বসতে কোনও বাধা থাকছে না মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের। ভারতীয় সংবিধানের ১৬৪(৪) নং ধারা অনুযায়ী, নির্বাচনে না জিতেও মুখ্যমন্ত্রী হওয়া যায়। তবে মসনদে বসার ৬ মাসের মধ্যে তাঁকে অন্য কোনও আসন থেকে জিতে আসতে হবে। একই কথা শোনা গিয়েছে তৃণমূল নেতা সুব্রত মুখোপাধ্যায়ের গলাতেও। তিনি বলেন, “যে কোনও প্রতিনিধি মুখ্যমন্ত্রীর দায়িত্ব নিতে পারেন। তবে ছয় মাস পরেও তিনি কাজ চালিয়ে গেলে তাকে রাজ্যের কোনও একটি কেন্দ্র থেকে নির্বাচিত হয়ে আসতে হয়।” ২০১১ সালে প্রথমবার মুখ্যমন্ত্রী পদে বসার সময়ও বিধায়ক ছিলেন না মমতা। পরে উপ নির্বাচনে ভবানীপুর কেন্দ্র থেকে বিধায়ক হন তিনি।

আরও পড়ুন: করোনার ভারতীয় রূপ আরও মারাত্মক হবে, মার্চেই হুঁশিয়ারি দেন বিজ্ঞানীরা

পরাজিত হয়েও মুখ্যমন্ত্রীর গদিতে বসার নজির বহু রয়েছে। সম্প্রতি উত্তরাখণ্ডের মুখ্যমন্ত্রীর কুরসিতে বসেছেন তিরথ সিং রাওয়াত। তিনি নির্বাচিত বিধায়ক নন। তবে এটা নতুন কিছু নয়। স্বাধীনতার পর থেকেই এ ধরনের ঘটনার নজির রয়েছে ভারতীয় রাজনীতির ইতিহাসে।

সালটা ১৯৫২। সে বছর দেশে প্রথম সাধারণ নির্বাচন হয়। পাশাপাশি বম্বেতেও বিধানসভা ভোট হয়। সেই সময় নির্বাচনে লড়াই করেও হারতে হয়েছিল দাপুটে কংগ্রেস নেতা মোরারজি দেশাইকে। এর পর বম্বে কংগ্রেসের পরিষদীয় নেতা হিসেবে নির্বাচিত হন তিনি। পরে মুখ্যমন্ত্রীর পদেও বসেন।

সে বছর নির্বাচনে না লড়েই তৎকালীন মাদ্রাজের মুখ্যমন্ত্রী হয়েছিলেন সি গোপালাচারী। হেরে যাওয়ার ভয়ে তিনি নির্বাচনে লড়াই করেননি। পরে রাজ্যের বিধান পরিষদের সদস্য হন। এমনকী, মুখ্যমন্ত্রীর গদিতেও বসেন।

এরপর ১৯৭০ সালে উত্তরপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী পদপ্রার্থী ছিলেন ত্রিভুবন নারায়ণ সিং। কিন্তু নির্বাচনে হারেন তিনি। ৬ মাসের জন্য গদিতে বসেওছিলেন। পরে অবশ্য উপনির্বাচনেও পরাজিত হন। এর পর মুখ্যমন্ত্রীর পদ থেকে পদত্যাগ করেন।

২০০৯ সালে ঝাড়খণ্ডে পরাজিত হন শিবু সোরেন। তবে মুখ্যমন্ত্রী পদে শপথ নেন তিনি। ৬ মাস পর ফের মেয়াদ বাড়াতে চেয়েছিলেন। শেষপর্যন্ত কংগ্রেসের চাপে পদত্যাগ করেন তিনি। রাষ্ট্রপতি শাসন জারি হয় রাজ্যে।

আরও পড়ুন: করোনা লকডাউন : এপ্রিলেই কাজ হারিয়েছেন ৭০ লক্ষ মানুষ

Exit mobile version