Site icon The News Nest

সীমান্ত-চ্যালেঞ্জের জবাব দিতে জানে ভারত! চিনের নাম না করে ভাষণ মোদীর, তোপ বিরোধীদের

সারা ভাষণ জুড়ে বারবার ঘুরে ফিরে এল আত্মনির্ভর হওয়ার কথা। নয় নয় করেও ৩২ বার এই শব্দটি বললেন প্রধানমন্ত্রী। স্বাভাবিকভাবেই করোনার কথা এল ২৫ বার। কিন্তু সরাসরি একবারও এল না চিনের নাম। এই নিয়ে ফের মোদীকে তোপ কংগ্রেসের।

৭৪তম স্বাধীনতা দিবসে শনিবার লালকেল্লায় ভাষণ দেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। সেখানে নাম না করে চিন ও পাকিস্তানের উদ্দেশে কড়া বার্তা দেন তিনি। প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘‘নিয়ন্ত্রণরেখা (এলওসি) থেকে প্রকৃত নিয়ন্ত্রণরেখা (এলএসি) পর্যন্ত যখনই দেশের সার্বভৌমত্বকে চ্যালেঞ্জ জানিয়েছে কেউ, ভারতীয় সেনাবাহিনী তাদের উচিত জবাব দিয়েছে।’’ প্রধানমন্ত্রীর ভাষণ শেষ হতেই দিল্লিতে দলের সদর দফতরে পতাকা উত্তোলন করে সাংবাদিক বৈঠক করেন দলের মুখপাত্র রণদীপ সুরজেওয়ালা।

আরও পড়ুন: অর্ধ শতাব্দী ধরে জাতীয় পতাকা তৈরি করে আসছেন ঝান্ডেওয়ালি’ গাফফার

সেখানে তিনি বলেন, ‘‘প্রত্যেক কংগ্রেস সদস্য এবং দেশের ১৩০ কোটি মানুষ সেনাবাহিনীকে নিয়ে গর্ব অনুভব করেন এবং সেনাবাহিনীর উপর পূর্ণ আস্থা রয়েছে তাঁদের। যখনই চিন আমাদের আক্রমণ করেছে, প্রত্যেক বার তাদের উপযুক্ত জবাব দিয়েছে সেনাবাহিনী। তাই তাদের কুর্নিশ জানাই। কিন্তু যাঁরা ক্ষমতায় বসে রয়েছেন, তাঁরা চিনের নাম মুখে আনতে ভয় পাচ্ছেন কেন? ’’ সুরজেওয়ালা আরও বলেন, ‘‘চিন যে ভারতীয় এলাকায় ঢুকে এসেছে, তা নিয়ে প্রত্যেক ভারতবাসীর সরকারকে প্রশ্ন করা উচিত। জানতে চাওয়া উচিত, চিনকে ফেরত পাঠাতে এবং দেশেকে রক্ষা করতে তারা কী পদক্ষেপ করছে। এই স্বাধীনতা দিবসে সরকারের সামনে এই প্রশ্নগুলি তুলে ধরা দরকার। সরকারকে প্রশ্ন করাই আসল অর্থে গণতন্ত্র।’’

আত্মনির্ভর থিমের ওপর মোদীর জোর দেওয়ার প্রসঙ্গে কংগ্রেস নেতা বলেন যে এই আত্মনির্ভরতার বুনিয়াদ তো সৃষ্টি করেছিলেন জওহারলাল নেহেরু, বল্লবভাই প্যাটেল ও অন্যান্য স্বাধীনতা সংগ্রামীরা। সরকারকে প্রশ্ন করা উচিত যে সব সরকারি সংস্থা বেসরকারি হাতে দিয়ে দিলে দেশের স্বাধীনতা কী করে নিশ্চিত থাকবে, বলেন সুরজেওয়ালা। এর বিরুদ্ধে কংগ্রেস লড়াই করবে ও সেটাই হবে সত্যিকারের জাতীয়তাবাদ, বলে জানান রণদীপ সুরজেওয়ালা।

আরও পড়ুন: স্বাধীনতা দিবসের আগের রাতে আচমকা ঘোষণা, ৪৮ জন পাইলটকে ছাঁটাই এয়ার ইন্ডিয়ার

 

Exit mobile version