Site icon The News Nest

শুক্রবার ভোরেই ফাঁসি: কোনও আইনি সহায়তা বাকি নেই, নির্ভয়ার দোষীদের স্পষ্ট জানিয়ে দিল কোর্ট

Nirbhaya convicts

নয়াদিল্লি: এর আগে তিন বার তাদের ফাঁসির তারিখ শেষ মুহূর্তে এসে পিছিয়ে গিয়েছে। ফাঁসি পিছনোর চেষ্টা এখনও জারি রয়েছে নির্ভয়া কাণ্ডের অপরাধীদের। তবে তাদের আর কোনও আইনি সহায়তা বাকি নেই বলে এবার জানিয়ে দিল দিল্লির আদালত।

আরও পড়ুন: করোনা: স্টেশনে ভিড় কমাতে পাঁচ গুণ বাড়াল প্ল্যাটফর্ম টিকিটের দাম

বৃহস্পতিবার দিল্লির নিম্ন আদালতের বিচারপতি ধর্মেন্দ্র রানা জানিয়ে দেন যে আর কোনও আইনি সাহায্য এই চারজন নিতে পারবে না। নির্ভয়া কাণ্ডে মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত চার অপরাধীর মধ্যে তিনজন এই মর্মে আদালতে যায়, যে তাদের মধ্যে দুজন, অর্থাত্‍ অক্ষয় কুমার সিং এবং পবন গুপ্তার দ্বিতীয় ক্ষমাভিক্ষার আরজিতে এখনও চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত হয়নি। এই যুক্তি দেখিয়ে ফের ফাঁসি পিছিয়ে দেওয়ার আবেদন করে তারা।বিচারপতিকে পাবলিক প্রসিকিউটর জানিয়ে দেন যে চার জনেরই দ্বিতীয় ক্ষমাভিক্ষার আরজি খারিজ হয়ে গিয়েছে। এই কথা শোনার পরেই বিচারপতি জানিয়ে দেন আইনি সাহায্য এই চারজনের বাকি নেই।

অন্যদিকে, শেষ চেষ্টাও ব্যর্থ হল অপরাধী পবন গুপ্তর। ঘটনার সময় সে নাবালক ছিল বলে সুপ্রিম কোর্টে আবেদন করেছিল পবন। সেই আবেদন পত্রপাঠ খারিজ করে দিয়েছেন ছয় বিচারপতির বেঞ্চ। এই প্রথম বার নয়। দিল্লি হাইকোর্ট থেকে শুরু করে সুপ্রিম কোর্ট অবধি, একাধিক আবেদনে নির্ভয়াকাণ্ডের সময় নিজেকে নাবালক বলে দাবি করে আসছিল পবন। এ বারও শীর্ষ আদালতে সেই কৌশল প্রয়োগ করেছিলেন পবনের আইনজীবী। কিন্তু এ দিন বিচারপতি এনভি রামানার নেত়ৃত্বাধীন ছয় বিচারপতির বেঞ্চ ওই আবেদন খারিজ করে দেন। এমনকি মৌখিক শুনানিতেও রাজি হননি তাঁরা।

আরও পড়ুন: সার্বভোম রাষ্ট্রে জাতীয় নাগরিকপঞ্জি জরুরি, কোর্টকে বলল কেন্দ্র

নির্ভয়ার চার ধর্ষক-খুনির মধ্যে তিনজন তাদের পরিবারের সঙ্গে শেষবারের জন্য দেখা করলে ফেলেছেন। রুদ্ধদ্বার ঘরে পরিবারের সঙ্গে দেখা করে তারা। ছুঁয়ে দেখে পরিজনেদের। তবে আর এক অপরাধী অক্ষয় ঠাকুরের পরিবার এখনও শেষবারের জন্য তার সঙ্গে দেখা করতে আসেনি। তার স্ত্রী ও বাবা-মাকে বৃহস্পতিবারের মধ্যে দেখা করে যাওয়ার জন্য ডেকে পাঠানো হয়েছে। তিহাড় সংশোধনাগার সূত্রে এই খবর মিলেছে।

 

 

 

 

এ সবের মধ্যেই তিহাড়ে জোরকদমে চলছে ফাঁসির প্রস্তুতি। পৌঁছে গিয়েছেন ফাঁসুড়েও। এখন ফাঁসি কি শুক্রবারই হয়, নাকি আবার তা পিছিয়ে দিতে হয়, সে দিকেই নজর দেশবাসীর।

Exit mobile version