Site icon The News Nest

ঘরে জায়গা নেই, নিমগাছেই কোয়ারেন্টাইনে সুরাত-ফেরত পাপ্পু

জয়পুর: ভিন রাজ্য থেকে ফিরলেই কোয়ারেন্টাইন। গৃহবন্দী হতে আপত্তি নেই কারও। কিন্তু তার জন্য তো পৃথক গৃহ থাকতে হবে। সে বন্দোবস্ত টুকু এদেশের কোনও সরকার করে উঠতে পারেনি। ফলে বাধ্য হয়েই সুরাট ফেরত পাপ্পুকে মাচা বাঁধতে নিমগাছের মগডালে।

করোনার দাপট রুখতে সামাজিক দূরত্ব বিধি পালনে নতুন দৃষ্টান্ত স্থাপন করল রাজস্থানের উদয়পুর ব্লকের ডাবকিয়া গ্রামের বাসিন্দা, পেশায় পরিযায়ী শ্রমিক বছর আঠারোর পাপ্পু। সরকারি নিষেধাজ্ঞা মানতে একটি নিমগাছের উপরে আশ্রয় নিয়েছে এই তরুণ।

পাপ্পুদের বাড়িতে মাত্র দুইটি ঘর। কিছু দিন আগে পাপ্পুর দুই দাদা, মহারাষ্ট্র থেকে ফেরার পরে তার অকটি ঘরে কোয়ারেন্টাইনে রয়েছেন। তাঁরা শ্রমিক হিসেবে মহারাষ্ট্রে কর্মরত ছিলেন। লকডাউন ঘোষণা হওয়ার পরে কাজ হারিয়ে বাড়ি ফিরেছেন। বাড়ির অন্য ঘরটিতে তাঁদের পরিবারের বাকি সদস্যরা থাকছেন। 

আরও পড়ুন: পাক ক্রিকেটারকে বিয়ে করছেন বাহুবলীর অভিনেত্রী! সরগরম নেটপাড়া

গত ৩ মে সুরাত থেকে ফিরে গোটা পরিস্থিতি দেখে অভিনব সিদ্ধান্ত নেয় পাপ্পু। সরকারি বিধি মেনে কোয়ারেন্টাইন পালনের জন্য বাড়ির পাশে নিমগাছটিকেই সে বেছে নেয়। ভিনরাজ্য থেকে ফেরার পরে ১৪ দিনের আবশ্যিক হোম কোয়ারেন্টাইন বিধি এখন সকলেরই জানা বিষয়। বাড়িতে ঘরের সংখ্যা যাঁদের বেশি, তাঁরা নিজেদের একটি ঘরে বিচ্ছিন্ন রাখতে পারছেন। কিন্তু পাপ্পুর মতো যাঁদের বসতবাড়িতে ঘরের সংখ্যা কম, তাঁরাই পড়েছেন সমস্যায়। 

মাত্র ১৮ বছর বয়সেই কিন্তু বাস্তব পরিস্থিতি বিচার করে সঠিক সিদ্ধান্ত নেওয়ার ক্ষমতা আয়ত্ত করেছে পাপ্পু। গুজরাত থেকে ফিরে তাঁি সে তড়িঘড়ি নিমগাছের ডালের উপরে বাঁশের মাচা তৈরি করে ফেলে চটপট। তার পর থেকে সেখানেই সে দিন-রাত কাটাচ্ছে। সে জানিয়েছে, সংক্রমণ রোধ করতে সরকারি নিষেধাজ্ঞা সে অক্ষরে অক্ষরে পালন করবে।

আরও পড়ুন: বাড়িতে বসে মেয়েকে নিয়ে শর্টফিল্ম বানিয়ে ফেললেন মিথিলা

Exit mobile version