Site icon The News Nest

করোনা থেকে সেরে উঠে ভাল থাকতে কী কী খেতেই হবে, জেনে নিন

HEALTHY DIET

কোভিড-সহ যে কোনও ভাইরাল জ্বর হলে শরীরে জলের পরিমাণ কমে যায়। তাই পর্যাপ্ত পরিমাণে জল ও জলীয় খাবার খেতে পরামর্শ দিলেন ডায়েটিশিয়ান ইন্দ্রাণী ঘোষ। স্যুপ, টাটকা ফলের রস, ডাবের জল, লেবুর সরবত, দইয়ের ঘোল, পাতলা ডালের সঙ্গে দিনে ৮ – ১০ গ্লাস জলপান করা দরকার। তবে এই নিয়ম স্বাভাবিক মানুষের জন্যে। কিডনির সমস্যা বা অন্য কারণে জলপানে নিয়ন্ত্রণ থাকলে তা মেনে চলা উচিত।

সকালের জলখাবার, মধ্যাহ্ন ভোজন ও রাতের খাবার তিন বারের পথ্য প্রোটিন সমৃদ্ধ হওয়া উচিত। তার মানে এই নয় যে কষা মাটন দিয়ে লুচি খেতে হবে। বিভিন্ন ডাল, রাজমা,ডিম, চিকেন, মাছ, ছানা প্রোটিনের ভাল উৎস।

আরও পড়ুন : ‘হিন্দু ভাবাবেগে আঘাত’, অমিতাভ বচ্চন ও কেবিসি টিমের বিরুদ্ধে দায়ের এফআইআর

বাড়িতে অল্প তেলে রান্না করা চিকেন, মাছ, ডিম সহ অন্য প্রোটিন খেতে হবে। নভেল করোনা ভাইরাসের সংক্রমণের কারণে শরীরের অভ্যন্তরে যে ক্ষয় ক্ষতি হয়, তা পূরণ করতে প্রোটিন উল্লেখযোগ্য ভূমিকা নেয়। তবে চিংড়ি, কাঁকড়া জাতীয় সামুদ্রিক মাছ খাওয়া যাবে না। এই সময় হজম শক্তি কিছুটা দুর্বল হয়ে যায়।

চিকেন স্ট্যু, মাছের ঝোল বা মাছ ভাজা, ডাল সেদ্ধ, অল্প তেলে সাঁতলে রান্না ডাল ইত্যাদি বাড়িতে হালকা করে রান্না খাবার খাওয়া দরকার। বাইরের খাবার ও বেশি তেল মশলা দিয়ে রান্না করা খাবার একেবারেই বাদ দিন।

গোটা মুগ, কলাই ডাল দিয়ে তৈরি তড়কা বা গোটা সেদ্ধ খাওয়া যায় বদলে বদলে। আবার ছানা, চিজ টোস্ট, রুটি ডালও খাওয়া যায়। মাছের  টুকরোতে নুন লেবুর রস দিয়ে অল্প তেলে সেঁকে খাওয়া যায়। ভাইরাল সংক্রমণের পর খাবার খেতে ইচ্ছে করে না। অরুচি কাটাতে তেতো অত্যন্ত উপযোগী, জানান ইন্দ্রাণী।

করলা, উচ্ছে, নিমপাতা রোজকার মধ্যাহ্ন ভোজনে থাকলে ভাল হয়। তেতো ও নানা সব্জি দিয়ে বানানো শুক্তো খাওয়া যেতে পারে। এছাড়া তেতো সব্জিতে থাকা বিভিন্ন ভিটামিন ও মিনারেলস একদিকে হজম শক্তি বাড়ায়, অন্য দিকে রোগ প্রতিরোধ ব্যবস্থাকে জোরদার করে। পালং শাক, মেথি শাক, গাজর, বিনস, ক্যাপসিকাম, কুমড়ো, লাউ ইত্যাদি সব্জি বদলে বদলে খেলে ভাল।যাঁরা নিরামিষাশী তাঁদের রোজকার ডায়েটে সয়াবিন, ডাল, রাজমা, ছোলা, দুধ, ছানার মতো উদ্ভিজ্জ প্রোটিন রাখা উচিত।

 

আরও পড়ুন : নিজের যৌন হেনস্থা নিয়ে মুখ খুললেন আমির খানের মেয়ে ইরা !

 

Exit mobile version