Site icon The News Nest

যাবতীয় বাধা-বিপত্তি দূর করতে চান? জপ করুন গণেশের দ্বাদশ নাম অক্ষর…

ganesha

২২ অগস্ট গণেশ চতুর্থী। গণেশের পুজো করলে ব্যক্তির জীবনের বাধা-বিঘ্ন দূর হয়। গণেশের শ্রেষ্ঠ মন্ত্রে দ্বাদশনামাক্ষরের চর্চা সবচেয়ে বেশি হয়, তা হল—

সুমুখশ্চৈকন্দতশ্চ কপিলো গজকর্ণক:। লম্বোদরশ্চ বিকটো বিঘ্ননাশো বিনায়ক:।ধূমকেতুর্গণাধ্যক্ষো ভালচন্দ্রো গজানন:। দ্বাদশৈতানি নামানি য: পঠেচ্ছৃণুযাদপি।বিধ্যাংরভে বিবাহে চ প্রবেশ নির্গম তথা। সংগ্রামে সংকটে চৈব বিঘ্নস্তস্য ন জায়তে।।

অর্থাৎ, সুমুখ, একদন্ত, কপিল, গজকর্ণ, লম্বোদর, বিকট, বিঘ্ননাশক, বিনায়ক, ধূম্রকেতু, গণাধ্যক্ষ, ভালচন্দ্র তথা গজানন। যাঁরা বিদ্যা শুরুর পূর্বে, বিবাহ, গৃহ প্রবেশ, সংগ্রাম বা সংকটের সময় গণেশের এই ১২টি নাম জপ বা পাঠ করেন, তাঁদের জীবনে কোনও ধরণের বিঘ্ন আসে না। গণেশের এই ১২টি নামের সংক্ষিপ্ত গুরুত্ব হল—

সুমুখ- গণেশের মুখে কোটি কোটি সূর্যের তেজ ও চন্দ্রের সম্পূর্ণ কলা বিদ্যমান। তাই তাঁর মুখের শোভার মূর্তিমান নাম সুমুখ।

আরও পড়ুন: জন্মাষ্টমীতে কেন শ্রীকৃষ্ণকে ছাপ্পান্ন ভোগ দেওয়া হয়, নেপথ্যের পৌরানিক কারণ জানেন?

একদন্ত- একাধিক পৌরাণিক কাহিনী রয়েছে এই নামের পিছনে। যার মধ্যে অন্যতম হল পরশুরামের সঙ্গে সংঘর্ষের কাহিনী। পরশুরাম নিজের পরশুর প্রহারে তাঁর একটি দাঁতের বিচ্ছেদ ঘটান। এর ফলে তাঁর নাম হয় একদন্ত। এটি ব্রহ্মের একরূপতার প্রতীক।

কপিল- কপিলা গোরুর একটি রঙের প্রতীক এটি। গোরুর মধ্যে ৩৩ কোটি দেবী-দেবতাদের বাস। শাস্ত্র মতে, তাঁর এই নামের উচ্চারণ করলে সমস্ত দেব-দেবীর স্তূতি হয়।

গজকর্ণ- অর্থাৎ যাঁর কান হাতির কনের মতো। এর তাৎপর্য অতি ধীর গম্ভীর ও সূক্ষ্ম বুদ্ধিসম্পন্ন, সবার কথা শোনেন যিনি। গণেশের পুজো করলে ব্যক্তির মধ্যে এই গুণের সঞ্চার হয়।

লম্বোদর- গণেশের পঞ্চম নাম লম্বোদর। যাঁর অর্থ, অন্যের বলা কটূ কথা নিজের মধ্যেই সমাহিত করতে পারেন যিনি, তা সার্বজনিক করেন না। না-হলে ব্যক্তি উপহাসের পাত্র হয়ে উঠতে পারে।

বিকট- এর অর্থ ভয়ঙ্কর। এই নাম থেকে এই শিক্ষাগ্রহণ করা যায় যে, দুষ্ট প্রবৃত্তির ব্যক্তির সঙ্গে তেমনই ব্যবহার করা উচিত। গণেশ নিজের ভক্তদের বরদান ও দুষ্টদের দণ্ড দেন।

বিঘ্ননাশক- নিজের ভক্তদের জীবনের সমস্ত বাধা এবং বিঘ্নের নাশ করেন।

বিনায়ক- অর্থাৎ সমস্ত নায়কদের অধিপতি। বিনায়কের আশীর্বাদে ব্যক্তি সমাজের সর্বোচ্চ পদে অধিষ্ঠীত হন। শিব গণেশের এই নামকরণ করার সময় বলেছিলেন, হে পাবতী! এই কুমার আমার মতো নায়ক ছাড়াই পুত্র রূপে উৎপন্ন হয়েছে, অতএব এর নাম বিনায়কই সংসারে বিখ্যাত হবে।

ধূম্রকেতু- এই নামের অর্থ সাফল্যের ধ্বজাধারী। গণেশের ধূম্রকেতু নামের স্মরণ মাত্রের ফলে ব্যক্তি নিজের সাফল্যের শিখড়ে পৌঁছয়।

আরও পড়ুন: খুশি করে এই সব গাছ বাড়িতে লাগিয়ে থাকলে সাবধান,পরিণতি খারাপ হতে পারে, কেন জেনে নিন

Exit mobile version