Site icon The News Nest

Cristiano Ronaldo: কাঁদলেন, কাঁদালেন! কাঁটার মুকুটে বিশ্বকাপ থেকে বিষণ্ণ বিদায় রোনাল্ডোর

ronaldo 2

বিশ্বকাপের উজ্জ্বল মঞ্চ থেকে বিষণ্ণ বিদায় হল ক্রিশ্চিয়ানো রোনাল্ডোর (Cristiano Ronaldo)।

কোয়ার্টার ফাইনালে মরক্কোর কাছে ০-১ গোলে হেরে গেল পর্তুগাল। ৩৭ বছর বয়সী রোনাল্ডো যে আর বিশ্বকাপ খেলবেন, এই অলীক স্বপ্ন কেউই দেখছেন না। ফলে শনিবার বিশ্বকাপ শেষ বারের মতো দেখে ফেলল ক্রিশ্চিয়ানো রোনাল্ডোকে। কাঁদতে কাঁদতে সাজঘরে ঢুকে যাওয়ার ভিডিয়ো ছড়িয়ে পড়ামাত্রই আকুল গোটা বিশ্ব। সমাজমাধ্যমে রোনাল্ডোকে সান্ত্বনা দিলেন মেসি-ভক্তরাও।

ইঙ্গিত আগেই পাওয়া গিয়েছিল। শনিবারও পর্তুগালের প্রথম একাদশে রাখা হয়নি রোনাল্ডোকে। যে দল সুইৎজ়ারল্যান্ডকে আধ ডজন গোল দিয়েছিল, সেই দলই নামিয়েছিলেন ফের্নান্দো সান্তোস। ওয়ার্ম-আপে নেমে বেশ ছুটোছুটি করলেন রোনাল্ডো। ভাল করে গা ঘামালেন। ম্যাচ শুরুর আগে দলের সঙ্গে ফিরলেন সাজঘরে। তার পর যথারীতি গোমড়া মুখে এসে ডাগআউটে বসে পড়লেন। আগের ম্যাচে ক্যামেরা যত বার তাঁর দিকে ফোকাস করেছিল, ততটা এ দিন করেনি। তবু যে কয়েক বার তাঁকে দেখা গেল, প্রতি বারই গোমড়া মুখে বসেছিলেন তিনি।

আরও পড়ুন: Cristiano Ronaldo: ‘অপয়া’ রোনাল্ডোকে প্রথম একাদশে চাইছেন না খোদ পর্তুগিজরাই! রিপোর্ট সমীক্ষায়

দ্বিতীয়ার্ধের শুরুতেই খেলতে নামেন তিনি। ভাবা গিয়েছিল, বেশি ক্ষণ খেলার সুযোগ পেয়ে হয়তো কাজে লাগাতে পারবেন তিনি। তা আর হল কই? বল যে পাননি তা নয়। কিন্তু এই রোনাল্ডো আর আগের বিশ্বকাপের রোনাল্ডোর মধ্যে অনেক তফাত। তখন ৩৫ গজ দূরের ফ্রিকিক থেকে অবলীলায় গোল করে দিতে পারতেন। অনেকটা লাফিয়ে হেড দিতে পারতেন। বল নিয়ে চোখের নিমেষে বিপক্ষের ডিফেন্ডারকে ধোঁকা দিয়ে এগিয়ে যেতে পারতেন। এ দিনও সবই করলেন। কিন্তু বয়সের ছাপ প্রতি মুহূর্তে ধরা পড়ল।  পরিসংখ্যান বলছে, গোটা ম্যাচে ১০ বার বল পেয়েছেন তিনি। গোলে শট মাত্র এক বার।

ম্যাচের পর চোখমুখ ইস্পাতকঠিন করে যখন তিনি বেরিয়ে যাচ্ছেন, তখন পাশে দাঁড়ানোর জন্য ছিলেন না কোনও সতীর্থ। বিপক্ষের দু’-একজন ফুটবলার এসে সান্ত্বনা দিয়ে গেলেন অবশ্য। টানেলে ঢোকার পরেই আর আবেগ বাঁধ মানল না। চোখ ফেটে বেরিয়ে এল জল। এই রোনাল্ডোকে আগে কোনও দিন দেখেনি বিশ্ব। এ ভাবে তিনি কাঁদতে পারেন, সেটাও অনেকের কাছে অবিশ্বাস্য লাগতে পারে। কিন্তু রোনাল্ডো যে আবেগপ্রবণ, তার প্রমাণ আগে বার বার দিয়েছেন। চোখের জলও বেরল সবার অলক্ষেই। টানেল দিয়ে সাজঘরে ঢোকার সময় পাশে হেঁটে যাচ্ছিলেন শুধু ফিফার এক কর্মী। সাপোর্ট স্টাফ, কোচ, সতীর্থ— কেউ ছিল না।

 

ফুটবলবিশ্বে তাঁরই প্রবল প্রতিদ্বন্দ্বী লিওনেল মেসি (Leo Messi) যেন একার কাঁধে টেনে নিয়ে যাচ্ছেন দলকে। সে-দেশের অতীত কিংবদন্তির সঙ্গে একাসনে তাঁকে বসিয়ে দিয়েছে তাঁর দেশের জনতা। ঠিক তার উলটো ছবি বরাদ্দ রইল ক্রিশ্চিয়ানোর জন্য। দেশের জন্য, ফুটবলের জন্য তিনিও কম কিছু করেননি। কিন্তু উৎসব থেকে দূরে থেকে গেল তাঁর গৌরবের ফুটবলজীবনের অন্তিম অধ্যায়টি। মহানায়কের বৈভবে নয়, কাঁটার মুকুট মাথায় নিয়েই বিষণ্ন পদক্ষেপে তিনি ছেড়ে গেলেন তাঁর সাধের রঙ্গমঞ্চ।

আরও পড়ুন: FIFA World Cup 2022: মরক্কোর দুরন্ত ফুটবলে হার মেনে এ বার বিদায় নিল পর্তুগালও

 

Exit mobile version