Site icon The News Nest

অবসরের ১৭ বছর পর বিজয়নের নাম পদ্মশ্রীর জন্য মনোনয়ন ফেডারেশনের

ওয়েব ডেস্ক: পদ্মশ্রী পুরস্কারের জন্য আইএম বিজয়নের নাম মনোনয়ন করল সর্বভারতীয় ফুটবল সংস্থা। দেশের চতুর্থ সাম্মানিক পুরস্কারের জন্য কালো চিতাকেই বাছলেন ফেডারেশনের কর্তারা।

২০০৩ সালে অবসর। ২০২০ সালে পদ্মশ্রী (Padma Shri) পুরস্কারের জন্য আই এম বিজয়নের (IM Vijayan) নাম মনোনয়ন করতে চলেছে সর্বভারতীয় ফুটবল ফেডারেশন। AIFF-এর তরফে কেন্দ্রীয় ক্রীড়া মন্ত্রকের কাছে বিজয়নের নাম প্রস্তাব করা হতে পারে। কেন্দ্রীয় এক সূত্রে এমনই খবর জানা গেছে।

আরও পড়ুন : লাদাখে শহিদ জওয়ানদের নিয়ে বিতর্কিত পোস্ট; নির্বাসিত সিএসকে দলের এই সদস্য

এই খবরের সত্যতা স্বীকার করে ফেডারেশনের সচিব কুশল দাস বলেন, “কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকের কাছে বিজয়নের নাম পদ্মশ্রী পুরস্কারের জন্য পাঠানো হয়েছে।” ২০০০ থেকে ২০০৪ সাল পর্যন্ত জাতীয় দলকে নেতৃত্ব দিয়েছেন। বাইচুং ভুটিয়ার সঙ্গে আপফ্রন্টে স্বপ্নের পার্টনারশিপ গড়ে তুলেছিলেন তিনি। ক্লাব স্তরে মোহনবাগান, কেরালা পুলিশ, জেসিটি, এফসি কোচিনের জার্সিতে চুটিয়ে খেলেছেন।

২০০৩ সালে অর্জুন পুরস্কার পেয়েছিলেন বিজয়ন। ৫১ বছরের প্রাক্তন ভারত অধিনায়ক তিনবার AIFF-এর বর্ষসেরা ফুটবল নির্বাচিত হয়েছেন। দেশের সেরা ফুটবল-প্রতিভার মধ্যে অন্যতম বিজয়ন।

কেরিয়ারের শুরুতে ত্রিশুর করপোরেশনের মাঠে সোডা বিক্রি করতেন। কেরালা পুলিশের জার্সিতে মাত্র ১৭ বছর বয়সে ফুটবল মাঠে আত্মপ্রকাশ। সেখান থেকে বিচ্ছুরণ ছড়িয়েছেন আন্তর্জাতিক মঞ্চেও।

আন্তর্জাতিক ফুটবলে অন্যতম দ্রুততম গোলের মালিক তিনি। ১৯৯৯ সালের সাফ গেমসে ভুটানের বিরুদ্ধে ১২ সেকেন্ডে গোল করেছিলেন তিনি। এছাড়াও ২০০৩ সালে আফ্রো-এশিয়ান গেমসে চার গোল করে টুর্নামেন্টের সর্বোচ্চ স্কোরার হন তিনি। এটাই তার কেরিয়ারের শেষ টুর্নামেন্ট। কারণ এই টুর্নামেন্টের পরেই অবসর নেন বিজয়ন।

কেরালা পুলিশের হয়ে ক্লাব স্তরে খেলা শুরু করলেও মোহনবাগান ও ইস্টবেঙ্গলেরও হয়ে খেলেছিলেন বিজয়ন।ফুটবল থেকে অবসরের পর মালয়ালম ও তামিল সিনেমায় অভিনয় শুরু করেন বিজয়ন। ২০টির বেশি সিনেমায় অভিনয় করেছেন আই এম বিজয়ন। ২০১৯ সালের পদ্মশ্রী বিজেতা ও ভারত অধিনায়ক সুনীল ছেত্রী সম্প্রতি এক সাক্ষাৎকারে বলেন, ‘বিজয়নের সঙ্গে খেলতে পারলে আমি খুশি হতাম।’

আরও পড়ুন : লাদাখে শহিদ জওয়ানদের শ্রদ্ধার্ঘ জানালেন বিরাট-রোহিত-যুবরাজরা

Exit mobile version