Site icon The News Nest

KXIP vs RCB: জঘন্য ফিল্ডিংয়ের খেসারত দিল আরসিবি, কোহলিদের বিরুদ্ধে জয় পাঞ্জাবের

KXIP vs RCB

কিংস ইলেভেন পাঞ্জাব: ২০ ওভারে ২০৬/‌৩ (কেএল রাহুল ১৩২*‌, শিবম দুবে ২/‌৩৩)

রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স ব্যাঙ্গালোর: ১৭ ওভারে ১০৯ (‌সুন্দর ৩০, অশ্বিন ৩/‌২১)‌

কিংস ইলেভেন পাঞ্জাব ৯৭ রানে জয়ী।

১৪ টি বাউন্ডারি, সাতটি ছক্কা। ৬৯ বলে ১৩২ রান।  একবার ক্যাচ দিলেন ৮৩ রানে। আরেকবার  ৮৯ রানে। এর বাইরে তাঁর ঝকঝকে ইনিংসে কোনও দাগ ছোপ নেই। শেষ ওভার পর্যন্ত টিকে রইলেন। ২০ ওভারের শেষ বলেও ছক্কা মারলেন। ইনিংসের শেষ তিন ওভারে যোগ করলেন ৬০ রান। ক্যাপ্টেন হিসাবে একটা ম্যাচে আর কী করতেন লোকেশ রাহুল! তাঁর একার দাপটেই কাত হল বিরাট কোহলির বেঙ্গালুরু।

তবে রাহুলের ব্যাটের পাশাপাশি জ্বলে উঠলেন কিংস ইলেভেন পাঞ্জাবের (Kings XI Punjab) বোলাররাও। আর এই দুইয়ের মিশ্রনে আইপিএলে লজ্জার হার বিরাটের আরসিবির। ২০৭ রান তাড়া করতে নেমে ১৭ ওভারে ১০৯ রানেই গুটিয়ে গেলেন ডেভিলিয়ার্সরা। এমনকী রাহুলের ব্যক্তিগত রানও টপকাতে পারল না তাঁরা।

এদিন টস জিতে প্রথমে ফিল্ডিংয়ের সিদ্ধান্ত নেন বিরাট। কিন্তু তাঁর সিদ্ধান্তকে ভুল প্রমাণ করেন পাঞ্জাবের দুই ওপেনার মায়াঙ্ক আগরওয়াল এবং রাহুল (KL Rahul)। দু’‌জনে মিলে ওপেনিং জুটিতে ৫৭ রান যোগ করেন। ২৬ রানে চাহালের বলে বোল্ড হন আগরওয়াল। এরপর তিন নম্বরে নামা নিকোলাস পুরানকে সঙ্গে নিয়ে দলের রান এগিয়ে নিয়ে যান রাহুল। অর্ধশতরান পূর্ণ করার পরই ধীরে ধীরে খোলস ছেড়ে বেরোতে থাকেন। এই সময় কোনও আরসিবি বোলারই রাহুলের হাত থেকে বাঁচেননি। ম্যাচে রাহুলের অত্যন্ত সহজ দু’‌টি ক্যাচ ফেলেছেন বিরাট।শেষপর্যন্ত অপরাজিতই থেকে যান রাহুল।  তাঁর সঙ্গে ক্রিজে অপরাজিত ছিলেন করুন নায়ার (‌১৫* )। তবে এদিনও ব্যর্থ হন গ্লেন ম্যাক্সওয়েল (‌৫)।

আরও পড়ুন: KXIP vs RCB: সচিনকে টপকে ‘রেকর্ড’ সেঞ্চুরি রাহুলের, রানের পাহাড় গড়ল পাঞ্জাব

এসবের মধ্যেই শচীন তেণ্ডুলকরের এক অনন্য রেকর্ড ভেঙে দেন এই কর্ণাটকী ব্যাটসম্যান। ভারতীয়দের মধ্যে দ্রুততম ২০০০ রান করার রেকর্ড গড়লেন। এই রেকর্ড গড়তে মাত্র ৬০টি ম্যাচ নিলেন তিনি। মাস্টার ব্লাস্টার এই রেকর্ড গড়েছিলেন ৬৩টি ম্যাচ খেলে। শেষপর্যন্ত ‌নির্ধারিত ২০ ওভারে তিন উইকেটে ২০৬ রানে থামে কিংসদের ইনিংস। RCB-র একমাত্র সফল বোলার শিবম দুবে। ৩৩ রান দিয়ে দু’‌উইকেট নেন তিনি। যদিও নিজের পুরো চার ওভার বোলিংও করতে পারেননি।

এদিকে, ব্যাট করতে নেমে শুরু থেকেই চাপে পড়ে যায় বিরাটরা। কটরেল–শামির দাপটে মাত্র চার রানে পড়ে যায় তিন উইকেট। গত ম্যাচে দুরন্ত ব্যাট করা পাল্লিকল (‌১)‌ থেকে শুরু করে তিন নম্বরে নামা জোস ফিলিপ (‌০) এবং খোদ অধিনায়ক বিরাট (‌১) ব্যর্থ হন। ফিঞ্চ (‌২০) এবং এবি ডেভিলিয়ার্স কিছুটা চেষ্টা করলেও পাওয়ার প্লে–র শেষ ওভারে বিষ্ণোই ফিঞ্চকে ফিরিয়ে সেই জুটি ভাঙেন। মুরগান অশ্বিনের বলে ২৮ রান করে ডেভিলিয়ার্স ফিরতেই আরসিবির সমস্ত আশা শেষ হয়ে যায়। ওয়াশিংটন সুন্দর (‌৩০), শিবম দুবেরা (‌১২) শেষ চেষ্টা করলেও সফল হননি। ফলে ১৭ ওভারে ১০৯ রানেই থেমে যায় বিরাটদের ইনিংস। পাঞ্জাবের হয়ে সবচেয়ে সফল মুরুগান অশ্বিন। তিনি ২১ রান দিয়ে তিন উইকেট নেন। তিন উইকেট পেয়েছেন রবি বিষ্ণোইও। এছাড়া কটরেল দু’‌টি, শামি–অশ্বিন–ম্যাক্সওয়েল একটি করে উইকেট পান। ‌‌ ‌‌‌

আরও পড়ুন: IPL 2020: ধোনির ফলস ক্যাচের দাবি নিয়ে সোশ্যাল মিডিয়ায় বিতর্ক, আগুনে ঘি ঢাললেন সাক্ষী

 

Exit mobile version