Site icon The News Nest

KKR vs MI: রোহিত–বুমরাহর দুরন্ত পারফরম্যান্স, লজ্জার হার দিয়ে আইপিএল অভিযান শুরু নাইটদের

mi

মুম্বই ইন্ডিয়ান্স: ২০ ওভারে ১৯৫/৫ (‌রোহিত ৮০, মাভি ২/‌৩২)‌
কলকাতা নাইট রাইডার্স:‌ ২০ ওভারে ১৪৬/‌৯ (কামিন্স ৩৩, ‌প্যাটিনসন ২/২৫‌‌)‌
মুম্বই ইন্ডিয়ান্স ৪৯ রানে জয়ী।

ট্রেন্ট বোল্ট, জোশপ্রীত বুমরাহর তাণ্ডবের কাছে কার্যত আত্মসমর্পণ করল কলকাতা নাইটরাইডার্স। নামকরা বোলার হোক, বা বিশ্বখ্যাত ব্যাটসম্যান, এ দিন কেউ জ্বলে উঠতে পারেনি কেকেআরের হয়ে। ফল, বিশাল ব্যবধানে হার।

দলের প্রথম ম্যাচ। আর তাই হয়তো টস জিতে প্রথমে ফিল্ডিংয়ের সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন কলকাতা নাইট রাইডার্স অধিনায়ক দীনেশ কার্তিক। এছাড়া প্রথম ম্যাচে চেন্নাইয়ের কাছে হারতে হয়েছিল রোহিতদের। সেই জন্যও হয়তো এমন সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন ডিকে। অধিনায়কের এই সিদ্ধান্তের মর্যাদাও দেন দলের তরুণ পেসার শিবম মাভি। দ্বিতীয় ওভারেই ফেরান কুইন্টন ডি’‌কককে। কিন্তু এরপর গোটা ইনিংস জুড়েই ‘‌হিটম্যান’‌ শো। তাঁকে যোগ্যসঙ্গত দেন পুরনো নাইট সূর্যকুমার যাদব। তিন নম্বরে নামা সূর্যকুমার রানআউট হওয়ার আগে করেন ৪৭ রান। দু’‌জনে মিলে দ্বিতীয় উইকেটে যোগ করেন ৯০ রান।

আরও পড়ুন: IPL 2020: প্রথম ম্যাচের দর্শক সংখ্যা গড়ল বিশ্বরেকর্ড, হার মানল ফুটবল বিশ্বকাপও

তবে মুম্বইয়ের ইনিংসে লাইমলাইট কিন্তু ছিনিয়ে নেন সেই রোহিত শর্মাই (‌Rohit Sharma)‌। কামিন্সের এক ওভারে যেমন দু’‌টি বড় ছয় মারেন। তেমনই রেয়াত করেননি রাসেল–নারিন কোনও বোলারকেই। উলটোদিকে কেকেআর থাকলেই জ্বলে ওঠেন রোহিত। এদিনও যাঁর প্রমাণ রাখলেন মুম্বই অধিনায়ক। শেষপর্যন্ত রানরেট বাড়াতে গিয়ে শিবম মাভির বলেই আউট হন। যদিও স্কোরবোর্ডে তখন রোহিতের পাশে জ্বলজ্বল করছে ৫৩ বলে ৮০ রান। এই ইনিংসে রোহিত মারেন তিনটি চার এবং ছ’‌টি ছয়। সেই সঙ্গে টুর্নামেন্টে ২০০টি ছয় মারার রেকর্ডও গড়লেন। তবে রোহিত আউট হতেই রান তোলার গতি কমে যায় মুম্বইয়ের। যদিও সেক্ষেত্রে কৃতিত্ব কিছুটা রয়েছে কেকেআর বোলারদেরও। শেষদিকে তাঁদের আঁটসাট বোলিং ২০০ রানের গণ্ডি পেরোতে দিল না মুম্বইকে। শেষপর্যন্ত নির্ধারিত ২০ ওভারে পাঁচ উইকেটে ১৯৫ রানে থামে মুম্বই ইন্ডিয়ান্সের ইনিংস। মাভি দু’‌টি উইকেট পান। এছাড়া নারিন এবং রাসেল একটি করে উইকেট পান।

জবাবে ব্যাট করতে নেমে শুরুতেই পরপর দু’‌উইকেট হারিয়ে চাপে পড়ে যায় নাইট শিবির। ব্যর্থ দুই ওপেনার শুভমান গিল (৭‌)‌, সুনীল নারিন (৯‌)। তবে তিন নম্বরে নামা দীনেশ কার্তিক (Dinesh Kartick) এবং নীতীশ রানা দলের হাল ধরেন। কিন্তু ৩০ রান করেই প্যাভিলিয়নে ফেরেন নাইট অধিনায়ক। ‌২৪ রান করে ফিরে যান নীতীশ রানাও। জয়ের জন্য তখন প্রয়োজন ৫০ বলে ১১৯ রান। ক্রিজে আসেন আন্দ্রে রাসেল (Andre Russel)। কিন্তু গতবার যে রাসেল একার কাঁধে টেনেছিলেন, তিনিও এদিন ব্যর্থ। মর্গ্যান–রাসেল জুটি চেষ্টা করলেও শেষরক্ষা হয়নি। ১৬তম ওভারের প্রথম বলে রাসেলকে বোল্ড করেন বুমরাহ। মাত্র ১১ রান করেই ফিরে যান ক্যারিবিয়ান তারকা। ওই ওভারেই ফিরে যান মর্গ্যানও (‌১৬)‌। আর সেখানেই নাইটদের আশা শেষ হয়ে যায়। শেষদিকে কামিন্স কিছুটা চেষ্টা করলেও তা যথেষ্ট ছিল না। তবে দলের হয়ে সর্বোচ্চ রান করেন তিনিই। করেন ১২ বলে ৩৩ রান। মারেন একটি চার এবং চারটি ছয়। শেষপর্যন্ত ২০ ওভারে ৯ উইকেটে ১৪৬ রানে থামে নাইটদের ইনিংস।

IPL-এর শুরু থেকে এই একটি দলের কাছেই সবচেয়ে বেশিবার হেরেছে নাইট শিবির। আইপিএল ১৩–তেও কাটল না সেই গেড়ো। ২৬ বারের মুখোমুখি সাক্ষাতের ফল ২০-৬ ব্যবধানে নিজেদের অনুকূলে বাড়িয়ে নিল মুম্বই।

আরও পড়ুন: IPL 2020: ধোনির ফলস ক্যাচের দাবি নিয়ে সোশ্যাল মিডিয়ায় বিতর্ক, আগুনে ঘি ঢাললেন সাক্ষী

 

Exit mobile version