Site icon The News Nest

ভরা বাজারে গুলিবিদ্ধ তৃণমূল নেতা, আশঙ্কাজনক অবস্থায় ভর্তি হাসপাতালে

Hooghly 1 768x432 1

প্রকাশ্যেই তৃণমূল নেতাকে (TMC) গুলি। অভিযোগ ঘিরে চাঞ্চল্য বাঁশবেড়িয়ার বেলতলায়। গুলিবিদ্ধ তৃণমূল নেতা কলকাতার হাসপাতালে চিকিৎসাধীন।

মঙ্গলবার সকালে বাঁশবেড়িয়ার বেলতলায় বাজারে গিয়েছিলেন পুরসভার প্রাক্তন ভাইস চেয়ারম্যান আদিত্য নিয়োগী। বাড়িতে কালী পুজো থাকায় ফল কিনতে গিয়েছিলেন। অভিযোগ, বাজারেই তাঁর ওপর অতর্কিতে হামলা হয়। দূর থেকে তাঁকে লক্ষ্য করে গুলি ছোড়ে দুষ্কৃতীরা। স্থানীয়রা কিছু বুঝে ওঠার আগেই দুষ্কৃতীরা পালিয়ে যায়।

রক্তাক্ত অবস্থায় মাটিতে লুটিয়ে পড়েন আদিত্য নিয়োগী। তাঁর পিঠে গুলি লাগে। স্থানীয়রা তাঁকে উদ্ধার করে একটি নার্সিংহোমে নিয়ে যান। সেখানে প্রাথমিক চিকিৎসা করা হয়। অবস্থার অবনতি হওয়ায় তাঁকে কলকাতায় স্থানান্তরিত করা হয়েছে। চিকিৎসকরা জানিয়েছেন, তাঁর শিরদাঁড়া ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। হাসপাতালের বেডে শুয়েই আদিত্য নিয়োগী আঙুল তুলেছেন বাঁশবেড়িয়া পুর প্রশাসক অরিজিতা শীলের স্বামী সত্যরঞ্জন শীলের বিরুদ্ধে।

আরও পড়ুন: অর্থে অমিত, শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য, পরিবহণে ফিরহাদ, উত্তরবঙ্গে মমতা…দেখুন কে কোন দায়িত্বে

কাতরাতে কাতরাতে আদিত্য নিয়োগী বলেন, “গত ছ’বছর ধরে আমাকে নানা ভাবে কষ্ট দিচ্ছে সত্যরঞ্জন শীল। আমাকে মিথ্যা মামলায় একাধিকবার ফাঁসিয়েছে। তাতেও শান্তি হয়নি। এবার মেরে ফেলার চেষ্টা করছে।” দলেরই একাংশের অভিযোগ, সত্যরঞ্জন শীলের বিরুদ্ধে এলাকায় তোলাবাজির অভিযোগ রয়েছে। আদিত্য নিয়োগী তাঁর প্রতিবাদ করতেন। সেই কারণেই এই হামলা বলে অভিযোগ।

স্থানীয় তৃণমূল নেতা অমিত ঘোষ জানান, আদিত্য নিয়োগির নেতৃত্বেই তাঁরা পুরসভার দুর্নীতির বিরুদ্ধে সরব হয়েছিলেন। সেই কারণেই এই হামলা। গুলিকাণ্ডের পরেই অভিযুক্ত সোনা শীলের বাড়িতে ভাঙচুর চালায় উত্তেজিত জনতা। হামলার পিছনে নির্দিষ্ট পরিকল্পনা। অভিযুক্তরা ভোটের আগে বিজেপির সঙ্গে হাত মিলিয়েছিল। তারাই এবার হামলা চালাচ্ছে, অভিযোগ সপ্তগ্রামের তৃণমূল বিধায়ক তপন দাশগুপ্তর। হামলাকারীরা দলের কলঙ্ক। এদের দলে রাখা মানে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বদনাম, মন্তব্য চুঁচুড়ার তৃণমূল বিধায়ক অসিত মজুমদারের।

আরও পড়ুন: গতবার মন্ত্রী ছিলেন, এবার জিতলেন, কিন্তু মন্ত্রিসভায় স্থান পেলেন না এই তৃণমূল নেতা – নেত্রী

 

Exit mobile version