Site icon The News Nest

বাবুলের বাংলোয় আধ ডজন সাংসদ, জম্পেস খাওয়া দাওয়া ‘জানতেনই না’ দিলীপ

babul

বুধবার কেন্দ্রীয় মন্ত্রী তথা আসানসোলের সাংসদ বাবুল সুপ্রিয় বাড়িতে মধ্যাহ্নভোজের আয়োজন হল। অন্তত আধ ডজন সাংসদ খাওয়া-দাওয়া সারলেন একসঙ্গে। ছিলেন না দিলীপ ঘোষ। এই মধ্যাহ্নভোজ নেহাৎই ‘মধ্যাহ্নভোজ’? নাকি কোনও স্পষ্ট অক্ষের আভাস? দিলীপ বলেন ‘‘এই লাঞ্চের ব্যাপারে আমার কিছু জানা নেই।’’

বাবুলের অতিথি ছিলেন, রাজ্যসভার সাংসদ স্বপন দাশগুপ্ত, ব্যারাকপুরের সাংসদ তথা রাজ্য বিজেপির সহ-সভাপতি অর্জুন সিংহ, বিষ্ণুপুরের সাংসদ তথা রাজ্য যুব মোর্চার সভাপতি সৌমিত্র খাঁ, কোচবিহারের সাংসদ নিশীথ প্রামাণিক, রানাঘাটের সাংসদ জগন্নাথ সরকার-সহ আরও কয়েক জন।

এক সপ্তাহ ধরে বৈঠক চলেছে দিল্লিতে। কিন্তু এক মুহূর্তের জন্যও সেখানে হাজির হননি বাবুল। দেখা যায়নি স্বপন দাশগুপ্তকেও। প্রথম জন দু’বারের সাংসদ, দু’দফার কেন্দ্রীয় মন্ত্রী। দ্বিতীয় জন তিন দশক ধরে বিজেপির শীর্ষ নেতৃত্বের ঘনিষ্ঠ, বর্তমানে নরেন্দ্র মোদী এবং অমিত শাহের আস্থাভাজন হিসেবে পরিচিত।

আরও পড়ুন : র্বের ২৯শে জুলাই! মোহনবাগান দিবসে টাইমস স্কোয়ারের বিলবোর্ড ঢাকল সবুজ মেরুনে

বাবুল বা স্বপন বার বারই জবাব এড়িয়েছেন। রাজ্য বিজেপির সভাপতি দিলীপ ঘোষ বা সাধারণ সম্পাদক (সংগঠন) সুব্রত চট্টোপাধ্যায়দেরও সে বিষয়ে মুখ খুলতে দেখা যায়নি। এরই মাঝে সোমবার সন্ধ্যায়ই বঙ্গ বিজেপির পর্যবেক্ষক কৈলাস বিজয়বর্গীয়র সঙ্গে কেন্দ্রীয় মন্ত্রীএকান্তে বৈঠক করেন। রাজ্য দলের অন্দরমহলের পরিস্থিতি নিয়েই কৈলাস-বাবুলের কথা হয় বলে খবর।

রাজ্য বিজেপির সভাপতি দিলীপ ঘোষ এই মধ্যাহ্নভোজ সম্পর্কে বিরূপ মন্তব্য এড়িয়ে গিয়েছেন এ দিন। তিনি বলেন, ‘‘কেউ কারও বাড়িতে লাঞ্চে যেতেই পারেন। দিল্লিতে অনেক দিন পরে সবাই এক জায়গায় হয়েছেন। তাই হয়তো এক দিন সবাই মিলে লাঞ্চ করছেন।’’ তবে কেন্দ্রীয় মন্ত্রীর বাড়িতে এ দিন যে মধ্যাহ্নভোজের আমন্ত্রণ পেয়েছেন অনেকেই, সে কথা তিনি জানতেন না, বলেছেন দিলীপ ঘোষ।

নয়াদিল্লি সূত্রের খবর, রাজ্য বিজেপির অন্দরমহলে চলতে থাকা ঝড় উদ্বিগ্ন করেছে কেন্দ্রীয় নেতৃত্বকে। বৈঠকে তৈরি হওয়া মতানৈক্যের খবর সংবাদমাধ্যমে যে ভাবে প্রকাশিত হয়েছে, তাতে উদ্বেগ আরও বেড়েছে। তাই দিল্লি অবিলম্বে পরিস্থিতির রাশ হাতে নিতে সক্রিয় হয়েছে বলে জানা যাচ্ছে। যে সব সমস্যা নিয়ে দলের অন্দরে মতপার্থক্য তৈরি হয়েছে, সে সবের সমাধান নিয়ে ভাবনা তো শুরু হয়েছেই। কোনও শিবিরের গুরুত্বই যে দলে কম নয়, সে বার্তাও স্পষ্ট ভাবে দেওয়া হচ্ছে বলে খবর। বাবুল সুপ্রিয় বাড়ি গিয়ে কৈলাসের বৈঠক বা মুকুল রায়ের অসন্তোষ দ্রুত প্রশমিত করা সে সবেরই ইঙ্গিত বলে রাজনৈতিক পর্যবেক্ষকরাও মনে করছেন।

আরও পড়ুন : ৬১-তে সঞ্জয় দত্ত! জন্মদিনে কেজিএফ ২-এর অধীরা লুকে আত্মপ্রকাশ…

Exit mobile version