Site icon The News Nest

গেরুয়া শিবিরে দেব! ট্যুইট করে জল্পনার জবাব দিলেন TMC সাংসদ

DEV

আগামী রবিবার সরকারি কর্মসূচিতে হলদিয়ায় আসছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। প্রথমে সরকারি অনুষ্ঠান। তার পরে স্থানীয় রাজনৈতিক সমাবেশ। মোদীর সফরসূচিতে প্রথম সরকারি অনুষ্ঠানে আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে রাজ্যপাল জগদীপ ধনখড় এবং মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে। তবে তারও আগে আমন্ত্রণ পৌঁছেছে তমলুকের তৃণমূল সাংসদ দিব্যেন্দু অধিকারীর কাছে। ক্রমশ তৃণমূলের সঙ্গে দূরত্ব বাড়তে থাকা দিব্যেন্দুকে ওই অনুষ্ঠানে আমন্ত্রণ জানানো নিয়ে যখন রাজনৈতিক জল্পনা তুঙ্গে, তখন আবার ওই একই অনুষ্ঠানে আমন্ত্রণ পেলেন তৃণমূলের আরও দুই সাংসদ শিশির অধিকারী এবং অভিনেতা দীপক অধিকারী ওরফে দেব।

বুধবার একটি সংবাদমাধ্যমের খবর শেয়ার করে দেবকে ট্যাগ করে সৌমিত্র খাঁ (Saumitra Khan) লেখেন, “হলদিয়ায় মোদির সাথে একই মঞ্চে থাকবেন দেব আর শিশির অধিকারী! শোরগোল রাজ্য রাজনীতিতে।” রাজ্য-রাজনীতিতে দল-বদলের হাওয়ার মাঝে বিজেপি নেতার এমন টুইট প্রকাশ্যে আসার পর থেকেই রীতিমতো শোরগোল পড়ে যায়। স্বাভাবিকবশতই নেটদুনিয়ায় প্রশ্ন ওঠে, “দেবও কি তাহলে গেরুয়া শিবিরের পথিক?” এই বিতর্ক নজর এড়ায়নি ঘাটালের তৃণমূল সাংসদের। অতঃপর সৌমিত্র খাঁয়ের আমন্ত্রণ নেটদুনিয়াতেই নাকচ করে দিলেন দেব।

সৌমিত্রর উদ্দেশে দেব টুইটে লিখেছেন, ‘রাজনৈতিক মতপার্থক্য থাকলেও এক দলে থাকার সময়ে আপনার সঙ্গে অনেক ভাল সময় কাটিয়েছি এবং উপভোগ করেছি। আমার পক্ষ থেকে আপনার ও আপনার দলের প্রতি সব সময় শুভকামনা থাকবে। ভাল থাকবেন’।

আরও একটি টুইটে সৌমিত্রর নাম উল্লেখ করে দেব লিখেছেন, ‘আমি আপনার লড়াই ও সাফল্যের জন্য গর্ব অনুভব করি। আমি খুবই দুঃখিত যে ওই অনুষ্ঠানে আমি যেতে পারছি না, তবে আমি আমন্ত্রণ পেয়ে আনন্দিত। রাজনৈতিক মতপার্থক্য থাকলেও আপনি সব সময় আমার কাছে বিশেষ ভালবাসা ও শ্রদ্ধার’।

আরও পড়ুন: বিজেপি ছেড়ে তৃণমূলে ‘ঘরওয়াপসি’ মুকুল রায়ের শ্যালকের, বিড়ম্বনায় গেরুয়া শিবির, উল্লাস শাসক দলে

বস্তুত, পেশাদারি ব্যস্ততার কারণে দেব ইদানীং রাজনৈতিক মঞ্চ থেকে দূরে দূরে থাকছেন। রাজনৈতিক কর্মসূচিতে তাঁকে কমই দেখা যাচ্ছে। মেদিনীপুরের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সভাতেও তিনি যেতে পারেননি পেশাগত ব্যস্ততার কারণেই। টুইটে সৌহার্দ্য প্রকাশ করলেও গত লোকসভা নির্বাচনের সময় বিজেপিতে যোগ দেওয়া নেতাকে যে তিনি অতীতের কথা স্মরণ করিয়ে দিয়েছেন, তা নজর এড়ায়নি রাজনৈতিকমহলের। দেবের পালটা উত্তরকে একপ্রকার ‘সুচারু খোঁচা’ হিসেবেই দেখছে রাজনৈতিক ময়দানের একাংশ।

এখনও পর্যন্ত যা খবর, রবিবার মোদীর সরকারি অনুষ্ঠান ও রাজনৈতিক সমাবেশের মধ্যে খুব একটা ভৌগোলিক দূরত্ব থাকবে না। দু’টি অনুষ্ঠানই হওয়ার কথা হলদিয়ার হেলিপ্যাড ময়দানে। এমনিতেই বিধানসভা নির্বাচনের মুখে এসে যে প্রকল্পের সূচনা ও শিলান্যাসে মোদী আসছেন, তার মধ্যেও কেন্দ্রীয় সরকারের ‘রাজনৈতিক লক্ষ্য’ রয়েছে বলে সরব বিরোধীরা।

তবে এখন সরকারি অনুষ্ঠানের থেকেও বেশি করে আলোচনায় মোদীর রাজনৈতিক সমাবেশ। শুভেন্দু অধিকারী বিজেপি-তে যোগ দেওয়ার পরে যা পূর্ব মেদিনীপুর গেরুয়া শিবিরের কাছে বাড়তি গুরুত্ব পাচ্ছে। হলদিয়াও শুভেন্দুর অন্যতম ‘শক্তিকেন্দ্র’ বলে তাঁর ঘনিষ্ঠদের দাবি। দীর্ঘ দিন হলদিয়া উন্নয়ন পর্ষদের চেয়ারম্যান ছিলেন শুভেন্দু। সেই হলদিয়া থেকেই নীলবাড়ি দখলের লক্ষ্যে বাংলার মোদীর নির্বাচনী অভিযান শুরু হচ্ছে। ওই দিন মোদীর মঞ্চে প্রথমবার থাকতে চলেছেন শুভেন্দু।

আরও পড়ুন: ডিভোর্স দেব না, তোমার সঙ্গেই ঘর করতে চাই’, সৌমিত্র খাঁ-কে চিঠি দিলেন ‘উইথ লাভ’ সুজাতা!

Exit mobile version